নিজস্ব প্রতিনিধি: আর মাত্র কয়েক ঘন্টার অপেক্ষা। তার পরেই কেপটাউনের নিউল্যান্ডস স্টেডিয়ামে টি টুয়েন্টি বিশ্বকাপের শিরোপা জয়ের লক্ষে মাঠে নামবে অস্ট্রেলিয়া ও স্বাগতিক দক্ষিণ আফ্রিকা। ভারতীয় সময় সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টা থেকে শুরু হবে মহিলাদের বিশ্বকাপ জয়ের মহারণ। অস্ট্রেলিয়ার কাছে যেমন ফের ট্রফি জয়ের হ্যাটট্রিকের হাতছানি, তেমনই দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে সুবর্ণ সুযোগ প্রথমবার ট্রফি জেতার। পরিসংখ্যান ও শক্তির নিরিখে অজিরা এগিয়ে থাকলেও ঘরের মাঠে দর্শকদের বাড়তি সমর্থন পেয়ে প্রোটিয়ারাও হিসেব উল্টে দিতে পারে বলে মনে করছেন ক্রিকেট বোদ্ধারা।
২০০৯ সালে ইংল্যান্ডের মাটিতে প্রথম বসেছিল মহিলাদের টি টুয়েন্টি বিশ্বকাপের আসর। এ নিয়ে আটবার বসছে আসর। আগের সাত বারের মধ্যে পাঁচ বারই চ্যাম্পিয়ান হয়েছে অস্ট্রেলিয়া। আর একবার রানার্স। প্রথম বিশ্বকাপ ছেড়ে দিলে প্রতিবারই ফাইনালে ওঠার অসামান্য নজির গড়েছে অজিরা। অন্যদিকে এবারই প্রথম ফাইনালে উঠল দক্ষিণ আফ্রিকা। প্রতিযোগিতার লিগ পর্যায়ে দুদলই মুখোমুখি হয়েছিল। তাতে শেষ হাসি হেসেছিল অজিরা। অ্যাশলে গার্ডনার, ম্যাকগ্র, বেথ মুনি, মেগ ল্যানিংরা ব্যাট হাতে যে কোনও মুহুর্তে ম্যাচের রং বদলে দিতে পারেন।
অন্যদিকে, ইংল্যান্ডকে সেমিফাইনালে হারিয়ে ফাইনালে খেলার ছাড়পত্র পাওয়া প্রোটিয়াদের বড় ভরসা তাজমিন ব্রিটস, লরা উলভার্ডট, মারিজানে কাফে। ব্রিটস ও মারিজানে লিগ ম্যাচে অস্ট্রেলিযার বিরুদ্ধে রান পেয়েছিলেন। সেমিফাইনালে বল হাতে ভেলকি দেখানো খাকা ও শবনিম ইসমাইলের দিকেও তাকিয়ে প্রোটিয়া। ঘরের মাঠে ট্রফি জিতে দেশের মানুষের মুখে হাসি ফোটাতে চাইবে সুনে লাসরা। প্রতিপক্ষ অস্ট্রেলিয়া ধারে-ভারে এগিয়ে থাকলেও তা নিয়ে মাথা ঘামাতে চাইছেন না প্রোটিয়া অধিনায়ক। নিজের দলের খেলোয়াড়দের স্বাভাবিক খেলাটা খেলতে অনুরোধ জানিয়েছেন।