নিজস্ব প্রতিনিধি : ঘরের মাঠে সানরাইজার্স হায়দরাবাদের বিরুদ্ধে নামছে গুজরাত টাইটান্স। প্রথম ম্যাচে মুম্বইয়ের বিরুদ্ধে শুভমন গিলরা জিতলেও পরের ম্যাচে চেন্নাই সুপার কিংসের বিরুদ্ধে হেরে যায়। চেন্নাইয়ের বিরুদ্ধে ৬৩ রানে হেরে যাওয়ার পর ক্রিকেট মহলে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে গুজরাত কি সত্যিই এবারে আইপিএল চ্যাম্পিয়ান হওয়ার দাবিদার। রবিবারের ম্যাচে গুজরাত কি পারবে সানরাইজার্স হায়দরাবাদকে হারিয়ে নিজেদের শ্রেষ্ঠত্ব জাহির করতে, এখন সেটাই দেখার।
গুজরাত টাইটান্সের কাছে সবচেয়ে বেশি সমস্যা ডেভিড মিলার, রশিদ খানের ফর্ম। পরিসংখ্যান থেকে জানা গিয়েছে, ডেভিড মিলার গত ১৫টি ইনিংসে ৩০-এর ওপর রান করতে পারেননি। স্ট্রাইক রেট ১১৯, গত ১৩ বছরের ইতিহাসে যা সবচেয়ে খারাপ। অন্যদিকে রশিদ খানের পারফরমেন্সও তলানিতে রয়েছে। পাশাপাশি মহম্মদ সামির অভাব এখনও পূরণ করতে পারেনি গুজরাত টাইটান্স। এদিন মোহিত শর্মা ও সাই সুদর্শন ইমপ্যাক্ট প্লেয়ার হিসাবে কাজ করবে বলে জানা যাচ্ছে, অর্থাৎ সাই সুদর্শন খেললে মোহিত শর্মা খেলবে না আর মোহিত শর্মা খেললে সাই সুদর্শন খেলবে না। জানা গিয়েছে, গুজরাত টাইটান্সের দলে যোগ দিয়েছে ম্যাথু ওয়াদে।
অন্যদিকে সানরাইজার্স হায়দরাবাদের অনেক খেলোয়াড়ই রয়েছেন যাদের কাছে গুজরাতের নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়াম খুব চেনা। কারোর কাছে এই মাঠ খুবই লাকিও। সানরাইজার্স হায়দরাবাদের ওপেনার ট্রাভিস হেডের কাছে এই মাঠ খুবই লাকি কারণ, ২০২৩ সালের বিশ্বকাপে এই মাঠেই দুর্ধর্ষ পারফরমেন্স করেছিলেন হেড। সানরাইজার্সের মধ্যে অভিষেক শর্মা ও হেনরিচ ক্লাসেনের মতো ব্যাটসম্যানরাও রয়েছেন, যারা বর্তমান দুর্ধর্ষ ফর্মে রয়েছেন। যেহেতু নরেন্দ্র মোদী স্টেডিয়ামের পিচ ব্যাটিং সহায়ক, তাই এই পিচে ব্যাটসম্যানরা অ্যাডভানটেজ পাবে বলেই মনে করা হচ্ছে। জানা গিয়েছে, সাইরাইজার্স যদি প্রথমে বল করতে নামে, তাহলে উমরান মালিক বা নীতিশ রানাকে দিয়ে বল করাবে। সেক্ষেত্রে ব্যাটিংয়ের সময়ে এদের একজনের পরিবর্তে ব্যাট করতে নামবে ট্রাভিস হেড।