নিজস্ব প্রতিনিধি, মুম্বই: এক দল কার্যত সেমিফাইনালে পৌঁছে গিয়েছে। অন্য দিকে অন্য দল সেমিতে ওঠার প্রবল দাবিদার। এক দল পয়েন্ট টেবিলে তিন নম্বরে। অন্যদিকে অন্যদল ছয় নম্বরে। এক দলের লক্ষ্য, ম্যাচ জিতে দুই নম্বর হওয়া। অন্য দলের লক্ষ্য, ম্যাচ জিতে সেমিফাইনালের দিকে আরও এক পা বাড়ানো। ভিন্ন দুই লক্ষ্য নিয়েই আজ মুম্বইয়ের ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে মুখোমুখি হচ্ছে অস্ট্রেলিয়া ও আফগানিস্তান।
চলতি বিশ্বকাপে দুই দলই হার দিয়ে অভিযান শুরু করেছিল। কিন্তু পরে দুই দলই দুর্দান্তভাবে ঘুরে দাঁড়িয়েছে। এখনও পর্যন্ত সাতটি ম্যাচ খেলেছে ৫ বারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন অস্ট্রেলিয়া। তার মধ্যে ভারত ও দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে হেরেছে। অন্যদিকে বাংলাদেশের মতো দুর্বল দলের কাছে হারলেও পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা ও আফগানিস্তানকে হারিয়ে চমকে দিয়েছে হাশমাতুল্লাহ শাহিদিরা। চার ম্যাচ জেতার সুবাদে নিউজিল্যান্ড ও পাকিস্তানের মতোই সমসংখ্যক পয়েন্ট পেয়েছে। তবে রান রেটের নিরিখে ছয় নম্বরে রয়েছে। আজকের ম্যাচে ফের অঘটন ঘটাতে পারলে নিউজিল্যান্ড ও পাকিস্তানের উপরে আরও বাড়তি চাপ তৈরি করতে পারবে।
ব্যাটিং ও বোলিংয়ের শক্তির নিরিখে আফগানদের চেয়ে অনেকটাই এগিয়ে অস্ট্রেলিয়া। ডেভিড ওয়ার্নার-ট্র্যাভিস হেড, মার্নুস লাবুশানেরা ব্যাট হাতে যে কোনও দলের বোলিং আক্রমণকে তছনছ করে দিতে সক্ষম। তাছাড়া অ্যাডাম জাম্পার মতো চলতি বিশ্বকাপে সর্বাধিক উইকেট শিকারি রয়েছে অস্ট্রেলিয়া দলে। আফগানিস্তানের রহমত শাহ, আজমাতুল্লাহ ওমরজাই ও অধিনায়ক হাশমাতুল্লাহ শাহিদিরাও প্রতিযোগিতায় ব্যাট হাতে চমক দেখাচ্ছেন। তবে আফগানিস্তানের মূল বোলিং শক্তি স্পিন নির্ভর হলেও এখনও পর্যন্ত রশিদ খান-মহম্মদ নবি-নাভিন উল হকরা নিজের নামের প্রতি তেমন সুবিচার করতে পারেননি। তবে যে কোনও মুহুর্তে তাঁরাও ভেল্কি দেখাতে পারেন।
একদিনের ক্রিকেটে অবশ্য অস্ট্রেলিয়া ও আফগানিস্তানের মধ্যে তেমন দেখা হয়নি। দুই দল পরস্পরের বিরুদ্ধে মাত্র তিন বার মুখোমুখি হয়েছে। তিন বারই জিতেছে অজিরা। ওই তিবারের মধ্যে বিশ্বকাপের আসরে দুবার দেখা হয়েছে দুই দলের। দু’বারই জিতেছে পাঁচ বারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা। ২০১৫ সালে আফগানিস্তানকে ২৭৫ রানে হারিয়েছিল অস্ট্রেলিয়া। আর ২০১৯ সালে হাশমাতুল্লাহ শাহিদিদের বিরুদ্ধে সাত উইকেটে জয়ী হয়েছিলেন প্যাট কামিংসরা।