নিজস্ব প্রতিনিধি, মুম্বই: গ্লেন ম্যাক্সওয়েল হয়ে উঠতে পারলেন না ড্যারিল মিচেল। বুধবার ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে একা কুম্ভ হয়ে লড়াই করেও ভারতের বিরুদ্ধে দলকে জয় এনে দিতে পারলেন না। জয়ের জন্য ৩৯৮ রানের লক্ষ্যমাত্রা তাড়া করতে নেমে ৩২৭ রানে থামল নিউজিল্যান্ডের ইনিংস। ৭০ রানে জিতে ১২ বছর বাদে বিশ্বকাপের ফাইনালে উঠল টিম ইন্ডিয়া। মহম্মদ শামি একাই ৭ উইকেট নিয়েছেন।
ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে প্রথমে টস জিতে বাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন ভারত অধিনায়ক রোহিত শর্মা। বিরাট কোহলি ও শ্রেয়স আইয়ারের জোড়া শতরানের সুবাদে চার উইকেটে ৩৯৭ রান তোলে ভারত। জয়ের জন্য ৩৯৮ রানের লক্ষ্যমাত্রা তাড়া করতে নেমে শুরুতে ধাক্কা খায়। ষষ্ঠ ওভারে বল করতে এসে প্রথম বলেই কিউই ওপেনার ডেভন কনওয়েকে (১৩) সাজঘরের রাস্তা দেখান মহম্মদ শামি। নিজের পরের ওভারে ফের কিউই শিবিরে ধাক্কা দেন শামি। ফিরিয়ে দেন দুরন্ত ফর্মে থাকা রাচিন রবীন্দ্রকে (১৩)। ৩৯ রানে দুই উইকেট হারিয়ে বিপর্যয়ের মুখে পড়ে কিউই শিবির। এর পরেই তৃতীয় উইকেটে জুটি বেঁধে ভারতীয় বোলারদের পাল্টা শাসন করে বিপর্যয় সামাল দেন নিউজিল্যান্ড অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসন ও ড্যারিল মিচেল। রবীন্দ্র যাদব-কুলদীপ যাদবদের স্পিন জাদু সামলে ৪৯ বলে অর্ধশতরান করেন মিচেল। খানিকবাদে ৫৮ বলে অর্ধ শতরানে পৌঁছন নিউজিল্যান্ড অধিনায়ক। অর্ধশতরানের পরে তাণ্ডব শুরু করেন মিচেল। ২৯তম ওভারে বুমরার বলে উইলিয়ামসনের লোপ্পা ক্যাচ ফেলে দেন শামি। ৮৫ বলে শতরান করেন মিচেল।
শেষ পর্যন্ত ৩৩ তম ওভারে বল করতে এসে কিউই শিবিরে জোড়া ধাক্কা দেন শামিই। দ্বিতীয় বলে উইলিয়ামসনকে (৬৯) ফিরিয়ে ১৮১ রানের জুটি ভাঙেন। এক বল বাদে শূন্য রানে ফিরিয়ে দেন টম লাথামকে। এর পরে জুটি বেঁধে ভারতের হাত থেকে ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নিজেদের হাতে নেওয়ার চেষ্টা চালান মিচেল ও গ্লেন ফিলিপস। ৪১ তম ওভারে মহম্মদ সিরাজকে তুলোধনা করে ২০ রান নেন। দুজনে ৭৫ রানের জুটি গড়েন। শেষ পর্যন্ত ৪৩ তম ওভারে এসে গ্লেন ফিলিপসকে (৪১) ফিরিয়ে জোর ধাক্কা দেন যশপ্রীত বুমরা। পরের ওভারেই ক্রিজের আসা মার্ক চ্যাপম্যানকে (২) ফিরিয়ে দেন কুলদীপ যাদব। ৪৬ তম ওভারে মিচেলকে (১৩৪) থামান শামি। পরের ওভারে বুমরার বলে টিম সাউদির লোপ্পা ক্যাচ ফেলে দেন ভারত অধিনায়ক। ৪৮তম ওভারে মিচেল স্যান্টনারকে ফেরান মহম্মদ সিরাজ। ৪৯তম ওভারের দ্বিতীয় বলে টিম সাউদিকে (৯) ফিরিয়ে নিজের নামে ৬ উইকেট লেখেন শামি। পঞ্চম বলে লকি ফার্গুসনকে (৬) ফিরিয়ে ৩২৭ রানে কিউইদের ইনিংস গুটিয়ে দেন বাংলার জোরে বোলার।