নিজস্ব প্রতিনিধি, চেন্নাই: নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে প্রাথমিক ব্যাটিং বিপর্যয় কাটিয়ে উঠতে পারলেও বড় রানের ইনিংস গড়তে পারল না বাংলাদেশ। নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে ২৪৫ রান তুলেছে টাইগাররা। মুশফিকুর রহিম ও মাহমুদুল্লাহ রিয়াধ রুখে না দাঁড়ালে বাংলাদেশকে চরম লজ্জার মুখে পড়তে হত। নিউজিল্যান্ডের পক্ষে লকি ফার্গুসন ৪৯ রানে ৩ উইকেট নিয়েছেন।
শুক্রবার চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামে টসে জিতে প্রথমে বাংলাদেশকে ব্যাটিংয়ে পাঠান নিউজিল্যান্ড অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসন। প্রথম বলেই লিটন দাসকে (০) ফিরিয়ে দেন ট্রেন্ট বোল্ট। এর পরে পর পর সাজঘরে ফেরেন তানজিদ হাসান (১৬), মেহেদি হাসান (৩০) ও নাজমুল হোসেন শান্ত (৭)। ৫৬ রানের মধ্যেই চার উইকেট হারিয়ে ফেলে টাইগাররা। শেষে কিউই বোলারদের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলেন বাংলাদেশ অধিনায়ক সাকিব আল হাসান ও উইকেটরক্ষক মুশফিকুর রহিম। দুজনে ৯৮ রানের জুটি গড়েন। দলকে ১৫০-র গণ্ডি পার করিয়ে দেন। ৩০তম ওভারে বাংলাদেশ অধিনায়ককে (৪০) ফিরিয়ে জুটি ভাঙেন লকি ফার্গুসন।
এর পরে তাওহিদ হৃদয়কে নিয়ে দলকে এগিয়ে নিয়ে যান মুশফিকুর। নিজের অর্ধশতরানও পূর্ণ করেন। যেভাবে খেলছিলেন তাতে এক সময়ে মনে হচ্ছিল শতরান না করে থামবেন না বাংলাদেশ উইকেটরক্ষক। শেষ পর্যন্ত ৩৬ ওভারে ম্যাট হেনরির স্লোয়ার ডেলিভারিতে বিভ্রান্ত হয়ে বোল্ড হলেন টাইগার উইকেটরক্ষক। ৭৫ বলে ৬৬ রান করে সাজঘরে ফেরেন মুশফিক। সাড়া জাগিয়ে শুরু করলেও এদিন ফের বৃ্যার্থ হন তাওহিদ। ২৫ বলে ১৩ রান করে ট্রেন্ট বোল্টের বলে ফেরেন। দ্রুত দুই উইকেট হারিয়ে ফের চাপে পড়ে যায় বাংলাদেশ। তখনই ব্যাট হাতে দলের পরিত্রাতা হয়ে হাজির হন অভিজ্ঞ ব্যাটার মাহমুদ্দাহ রিয়াধ। বোলার তাসকিন আমেদকে সঙ্গে নিয়ে দলকে দুশৌ রানের গণ্ডি পার করে দেন। ৪৮ তম ওভারে ফিরে যান মুস্তাফিজুর রহমান (৪)। শেষ পর্যন্ত ৫০ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে ২৪৫ রানে থামে বাংলাদেশের ইনিংস। মাহমুদুল্লাহ ৪১ এবং শরিফুল ইসলাম ২ রানে অপরাজিত থাকেন। কিউইদের পক্ষে লকি ফার্গুসন ৩টি, ট্রেন্ট বোল্ট ও ম্যাট হেনরি দুটি করে উইকেট নেন। বাকি দুঋই উইকেট ভাগাভাগি করে নেন মিচেল সান্তনার ও গ্লেন ফিলিপস।