নিজস্ব প্রতিনিধি, বেঙ্গালুরু: এক দল বিশ্বকাপ থেকে বিদায় নিয়েছে। অন্য দলের শেষ চারে যাওয়ার ‘ক্ষীণ’ আশা রয়েছে। এক দলের হারলেও কিছু আসে-যায় না। অন্য দলের কাছে হার মানে স্বপ্নের মৃত্যু। এমন এক অদ্ভুতুড়ে সমীকরণ নিয়েই আজ বৃহস্পতিবার বেঙ্গালুরুর এম চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামে মুখোমুখি হচ্ছে শ্রীলঙ্কা ও নিউজিল্যান্ড। যদিও ওই ম্যাচ আদৌ হবে কিনা তা নিয়ে সংশয় রয়েছে। কেননা বেঙ্গালুরুর আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাসে জানানো হয়েছে, আজ শহরে বৃষ্টির সম্ভাবনা ৯০ শতাংশ। সত্যিই যদি পূর্বাভাস মিলে যায় তাহলে কপাল পুড়বে কিউইদের। কেননা, ম্যাচ ভেস্তে গেলে এক পয়েন্ট নিয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হবে কেন উইলিয়ামসনদের।
চলতি বিশ্বকাপে দুরন্ত শুরু করেছিল কিউইরা। প্রথম চার ম্যাচ জিতে সেমিফাইনালের দিকেই তরতরিয়ে এগোচ্ছিল। কিন্তু পঞ্চম ম্যাচে ছন্দপতন ঘটে। তার পরে টানা চার ম্যাচ হেরে কার্যত কোণঠাসা হয়ে পড়ে। সেমিফাইনালে ইতিমধ্যেই তিনটি দল পৌঁছে গিয়েছে। বাকি একটি স্থানের জন্য পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের সঙ্গে লড়তে হচ্ছে কিউইদের। দলের ওপেনাররা রান না পেলেও মিডল অর্ডারের ব্যাটাররা ফর্মে রয়েছেন। রাচিন রবীন্দ্র তো দুরন্ত ছন্দে রয়েছেন। আগের ম্যাচে অধিনায়ক উইলিয়ামসনও দুর্দান্ত ব্যাট করেছেন। তবে কিউই বোলাররা প্রত্যাশা অনুযায়ী জ্বলে উঠতে পারছেন না।
উল্টোদিকে অনেকটাই ছন্নছাড়া দশা ১৯৯২ সালের বিশ্বকাপজয়ী শ্রীলঙ্কার। চোট আঘাতে এমনিতেই জর্জরিত প্রাক্তন বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা। তার উপরে পাথুম নিশাঙ্কা-চারিথ আসলঙ্কা ছাড়া বাকি ব্যাটাররা তেমন দাগ কাটতে পারছেন না। উপরের সারির ব্যাটাররা দ্রুত আউট হলে প্রতিরোধ গড়তে পারছেন না নিচের সারির ব্যাটাররা। দলের প্রধান বোলাররা চোটের কারণে ছিটকে গিয়েছেন। ফলে যে দ্বিতীয় সারির বোলাররা রয়েছেন, তাঁরা কেউ বিপক্ষের ব্যাটারদের কাছে ত্রাস হয়ে উঠতে পারছেন না।
বিশ্বকাপের আসরে অবশ্য নিউজিল্যান্ড ও শ্রীলঙ্কার মুখোমুখি সাক্ষাত ‘সেয়ানে-সেয়ানে টক্কর’ এর মতো। মোট ১১ বার দুই দল মুখোমুখি হয়েছে। ৬ বার জিতেছে শ্রীলঙ্কা। আর পাঁচ বার নিউজিল্যান্ড। ২০১১ সালে শেষ বারের মতো জিতেছিল লঙ্কান লায়নরা। ২০১৫ এবং ২০১৯ সালে কিউইরা জয় পেয়েছিল।