নিজস্ব প্রতিনিধি: ক্যাম্প ন্যুর শিবির ছেড়ে মেসি যখন প্যারিসে পাড়ি দিয়েছিলেন, তখনও মন খারাপ ছিল তাঁর। এটা স্বাভাবিক ব্যাপার। এক জায়গায় দীর্ঘদিন থাকার ফলে সেই জায়গার সঙ্গে মানিয়ে নেওয়ার পর আবার নতুন জায়গায় গিয়ে মানিয়ে নেওয়া সময় সাপেক্ষ ব্যাপার। মেসিও তার ব্যতিক্রম নয়। প্যারিসে এই সমস্যার সম্মুখীনও হয়েছিলেন তিনি। তবে ধীরে ধীরে তা জয় করে নেন মেসি ও তাঁর পরিবারের সদস্যরা।
এবার ফের পালা বদল। পিএসজি ছেড়ে মেসি এখন ইন্টার মিয়ামির পথে। সেখানেও মেসির সঙ্গী হবেন তাঁর পরিবার। তবে মেসি তাঁর তিন ছেলের ভবিষ্যতের কথা মাথায় রেখে একটি অবাসন কিনেছিলেন ২০২১ সালে। সেই সময়ই খরচ হয়েছিল ৭.৫ মিলিয়ন পাউন্ড। প্রশ্নটা এই জায়গাতেই। তাহলে কি মেসি তাঁর আগাম ভবিষ্যত ঠিক করেই রেখেছিলেন। যে পিএসজি থেকে বেরিয়ে তিনি মিয়ামিতেই যোগ দেবেন। তবে এই যুক্তি মানতে নারাজ মেসি ভক্তরা।
সে যাই হোক আটলান্টিকের পাড়ে বহুতল ভবনে আর্জেন্টিনার অধিনায়কের ফ্ল্যাটটি হচ্ছে নবম তলায়। যাঁর পুরো মালিকানাই হচ্ছে লিওনেল মেসি।
সূত্রের খবর, আর্জেন্টিনার অধিনায়ক আর এ দেশ ও দেশ পাড়ি দিতে ইচ্ছুক নন। এবার তিনি খুঁজতে চলেছেন একটি স্থায়ী ঠিকানা। তাই আটলান্টিকের পাড়ে এই বিলাসবহুল আবাসনের বাসিন্দা হওয়া তাঁর। নিজের ছেলেদের পড়াশোনার কথা মাথায় রেখেই আবাসনটি কিনেছেন মেসি। তাঁর ছেলেদের তিনি ফ্লোরিডার স্কুলে ভর্তি করার ব্যাপারেও মনস্থির করে ফেলেছেন। এছাড়া এই জায়গাটিতে লাতিন আমেরিকার অধিবাসীদের বসবাস রয়েছে, তাই এই জায়গাটিকেই মেসি তাঁর ভবিষ্যতের আস্তানার জন্য বেছে নিয়েছেন।
আবাসনটিতে রয়েছে, অত্যাধুনিক সব ব্যবস্থা। যেমন সুইমিং পুল, জিম, স্পা ইত্যাদি। এছাড়া পুরো মিয়ামি শহরটিকে দেখা যায় এই আবাসন থেকে। কাজেই আপাতত দীর্ঘ সময়ের জন্য আর্জেন্টিনার অধিনায়ককে যে আমেরিকার এই শহরেই কাটাতে হবে তা ভেবেই এমন পরিকল্পনা।