নিজস্ব প্রতিনিধি: ঘরের মাঠ যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে জামশেদপুর এফসিকে ৩-০ গোলে হারিয়ে আইএসএলের পয়েন্ট তালিকায় দুই নম্বরে উঠে এলো সবুজ মেরুন ব্রিগেড। শুক্রবার মোহনবাগানের হয়ে গোল করেছেন তিন বিদেশি স্ট্রাইকার দিমিত্রি পেত্রাতোস, জেসন কামিংস এবং আর্মান্দো সাদিকু। এই জয়ের ফলে অনেকটাই স্বস্তিতে বাগান কোচ আন্তোনিয়ো লোপেস হাবাস। শীর্ষ স্থানে থাকা ওড়িশা এফসির চেয়ে মাত্র দুই পয়েন্ট পিছিয়ে সবুজ মেরুন ব্রিগেড। রয় কৃষ্ণাদের চেয়ে এক ম্যাচ কম খেলেছেন পেত্রাতোসরা। ফলে ওড়িশাকে টপকে শীর্ষস্থানে ওঠার সুবর্ণ সুয়োগ তৈরি হয়েছে।
এদিন শুরু থেকেই খানিকটা খোলসের ভিতরে গুটিয়ে ছিলেন দুই দলের ফুটবলাররা। রক্ষণাত্মক ভঙ্গিতেই খেলতে শুরু করেছিলেন। কিন্তু ম্যাচের ৭ মিনিটের মাথায় আচমকাই গোল পেয়ে যায় মোহনবাগান। কাউকোর ডিফেন্সচেরা পাস ডান দিকে পেয়ে যান মনবীর সিংহ। কিছুটা দৌড়ে প্রায় কর্নার ফ্ল্যাগের কাছে পৌঁছে পেত্রাতোসের উদ্দেশে ক্রস করেন। চলতি বলে পা ছুঁইয়ে বল জালে জড়িয়ে দলকে এগিয়ে দেন অস্ট্রেলিয়ার স্ট্রাইকার। খানিকবাদে ফের ব্যবধান বাড়ানোর সুযোগ পেয়েছিল মোহনবাগান। বল নিয়ে জামশেদপুরের বক্সে ঢুকে পড়েছিলেন লিস্টন কোলাসো। কিন্তু ঠিক জায়গায় বল রাখতে পারেননি। গোল খেলেও দমেননি জামশেদপুরের ফুটবলাররা। বরং ইমরান খান এবং জেরেমি মানজোরো বার বার উঠে মোহনবাগানের অর্ধে হানা দিয়েছিলেন। যদিও কাঙ্খিত গোল করতে পারেননি। প্রথমার্ধে ১-০ গোলে এগিয়ে থেকেই মাঠ ছাড়া সবুজ মেরুনের ছেলেরা।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক খেলতে থাকে জামশেদপুর। কিন্তু মোহনবাগানের জালে বল গড়ানোর কোনও সুযোগ হয়নি। ৬৪ মিনিটের মাথায় কামিংসের শট লাগে ক্রসবারে। ফিরতি বলে মনবীরের শট অল্পের জন্য লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়। এর পর যুযুধান দুই শিবিরের আক্রমণ-প্রতি আক্রমণে জমে ওঠে খেলা। ৬৮ মিনিটে কাউকোর থেকে বল পেয়ে কামিংসকে পাস বাড়ান মনবীর। গোল বাঁচাতে এগিয়ে এসেছিলেন জামশেদপুরের গোলকিপার রেহেনেশ। কিন্তু তাঁকে পাশ কাটিয়ে বল জালে জড়ান কামিংস। তৃতীয় গোল আসে ৮১ মিনিটে। মাঝমাঠ থেকে মনবীরের উদ্দেশে পাস দেন পেত্রাতোস। বল ধরে রেখে খানিকটা দেখে নিয়ে ফাঁকায় থাকা সাদিকুকে বল বাড়ান পাঞ্জাবি ফুটবলারটি। চলতি বলে বাঁ পায়ের শটে গোল করেন আলবেনিয়ার স্ট্রাইকার।