নিজস্ব প্রতিনিধি: আগামী আইএসএল শক্তিশালী দলই যে গড়তে চলেছে মোহনবাগান সুপার জায়ান্ট তার প্রমাণ যাচ্ছে একের পর এক হাইভোল্টেজ দলে নেওয়া দেখেই। ইতিমধ্যেই আগামী আইএসএল-এ প্রায় নিশ্চিত অস্ট্রেলিয়ার বিশ্বকাপার কামিন্স। এরপর রবিবার আরও এক চমক দিয়েছে সবুজ-মেরুন টিম ম্যানেজম্যান্ট। সূত্রের খবর, ভারতীয় ফুটবলে বর্তমানে মাঝমাঠের অন্যতম স্তম্ভ অনিরুদ্ধ থাপার সঙ্গে নাকি ৫ বছরের চুক্তি করে ফেলেছেন কর্তারা।
উল্লেখ্য, চলতি আইএসএল-ও ট্রফি জয় করে নজির গড়তে মরিয়া বাগান কোচ থেকে শুরু করে কর্তারা সকলেই। সেই লক্ষ্যেই এবার আরও শক্তিশালী দল গড়তে চলেছেন কর্তারা। সেই লক্ষেই তাঁরা এবার দলে নিতে চলেছেন কামিন্সকে। গত আইএসএল-এ স্ট্রাইকার সমস্যায় ভুগতে হয়েছে হুয়ান শিবিরকে। এবার যাতে সেই সমস্যা না হয় তারজন্য দিমিত্রির সঙ্গে স্ট্রাইকার হিসেবে কামিন্সকে নেওয়া হচ্ছে। কেননা দিমিত্রি উইথড্রল ফরোয়ার্ড হিসেবে খেলতে অভ্যস্ত। ফলে কামিন্স এলে বাগানের বক্স টু বক্স স্ট্রাইকারের সমস্যা আর থাকবে না বলেই মনে করা হচ্ছে। সূত্রের খবর, বাগান কর্তারা আবার হাত বাড়িয়েছেন এশিয়া কোটার স্ট্রাইকার আর্মান্দো সাদিকুর দিকেও। তবে তাঁকে দলে নিতে ইতিমধ্যেই ঝাঁপিয়েছে কেরল ব্লাস্টার্সও। সুতরাং সাদিকুকে দলে নিতে বাগান বনাম কেরলের দড়ি টানাটুনি শুরু হয়ে গিয়েছে ইতিমধ্যেই।
শুধু বিদেশি খেলোয়াড়দের দিকেই নয়, বাগান কর্তারা এবার দলে নিতে চাইছেন দেশের বেশ কিছু সেরা ফুটবলাদের। তার মধ্যে অন্যতম হলেন গত আইএসএল গুলিতে চেন্নাইয়ানের সিটি এফসির জার্সি গায়ে নজরকাড়া ফুটবলার অনিরুদ্ধ থাপা। সূত্রের খবর, তাঁর সঙ্গে নাকি চুক্তিও করে ফেলেছেন কর্তারা। যদি তাই হয়, তাহলে ফরোয়ার্ডের মতো মাঝমাঠেও প্রতিপক্ষদের থেকে অনেকটাই শক্তি বাড়িয়ে নিল হুয়ান ফার্নান্দোর দল এই বিষয়ে কোনও সন্দেহ নেই।
আরও জানতে পড়ুন: অজিদের কাছে লড়াই করেই হেরেছি, মত হিটম্যানের
অন্য দিকে বিশেষ সূত্রের খবর, মোহনবাগানের ঘরের ছেলে প্রীতম কোটাল কর্তাদের কাছে অনুরোধ করেছেন তাঁকে রিলিজ করে দেওয়ার জন্য। তবে প্রীতম না থাকাটা বাগান রক্ষণের কাছে একটা বড় ধাক্কা। তবে আকাশ মিশ্রের জন্য শেষ পর্যন্ত লড়াইয়ের ময়দানে মুম্বইয়ের টক্কর চলছে মুম্বই সিটি এফসির।
বিশেষ সূত্রের খবর, গত আইএসএল-এ ইমামি ইস্টবেঙ্গলের ডিফেন্ডার অঙ্কিত মুখোপাধ্যায়কে দলে নিতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে চেন্নাইয়ান এফসি। কেননা ইমামি ইস্টবেঙ্গল অঙ্কিতকে রাখবে না তা আগেই ঠিক করে ফেলেছিলেন কর্তারা।