নিজস্ব প্রতিনিধি: পর পর দুই ম্যাচ হেরে আগেই নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে সিরিজ খুঁইয়েছিল বাংলাদেশ। শনিবার হোয়াইটওয়াশের লজ্জা এড়ানোর লক্ষ্য নিয়ে নেপিয়ারে নেমেছিলেন টাইগাররা। শেষ পর্যন্ত হোয়াইটওয়াশের লজ্জা এড়িয়ে কিউইদের হারিয়ে ইতিহাস গড়লেন নাজমুল হোসেন শান্তরা। নিউজিল্যান্ডের মাটিতে এই প্রথম কিউইদের হারাল বাংলাদেশ। প্রথমে ব্যাট করতে নেমে বাংলাদেশি পেসারদের আগুন ঝরানো বোলিংয়ে ৯৮ রানে গুটিয়ে গিয়েছিলেন টম ল্যাথামরা। ২০৯ বল বাকি থাকতে হাতে ৯ উইকেট নিয়ে জিতে যায় টাইগাররা।
এদিন ব্যাট করতে নেমে শুরু থেকেই ব্যাটিং বিপর্যয়ের মুখে পড়ে কিউইরা। রাচিন রবীন্দ্রকে (৮) ফিরিয়ে কিউই শিবিরে প্রথম আঘাত হানেন তানজিম সাকিব। এর পরে হেনরি নিকোলসকে (১) ফেরান তিনি। তৃতীয় উইকেটে জুটি বেঁধে উইল ইয়ং ও অধিনায়ক টম ল্যাথাম খানিক প্রতিরোধ গড়ে তোলার চেষ্টা করেন। কিন্তু কিউই জুটিকে বড় রানের ইনিংস গড়তে দেননি শরিফুল ইসলাম। ল্যাথামকে (২১) ফিরিয়ে জুটি ভেঙে দেন তিনি। খানিকবাদে ফিরে যান এক প্রান্তে কুম্ভ হয়ে লড়াই করা ইযং(২৬)। আর তার পরেই হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ে কিউই ব্যাটিং লাইন আপ। টম ব্লা্ন্ডেল(৪)), মার্ক চ্যাপম্যান (২), অ্যাডাম মিলিনে (৪) বাংলাদেশি পেসারদের আক্রমণ মোকাবিলাই করতে পারেননি। শেষ পর্যন্ত ৩১.৪ ওভারে ৯৮ রানে গুটিয়ে যায় কিউই ইনিংস। বাংলাদেশের পক্ষে তানজিম সাকিব, শরিফুল ইসলাম ও সৌম্য সরকার তিনটি করে উইকেট নেন।
জয়ের জন্য বাংলাদেশের লক্ষ্য ছিল ৯৯ রান। ওই সহজ লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরুতেই বিপাকে পড়ে টাইগাররা। চোখে সমস্যা হওয়ায় মাত্র চার রান করার পরেই মাঠ ছাড়তে হয় ওপেনার সৌম্য সরকারকে। এর পরে এনামুল হক বিজয় ও অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত জুটি বেঁধে দলকে জয়ের দিকে এগিয়ে নিয়ে যান। আচমকাই ১৩তম ওভারে খোঁচা মেরে উইকেটরক্ষককে ক্যাচ দিয়ে সাজঘরে ফেরেন বিজয়। ৩৩ বলে ৩৭ রানের ইনিংসে ৭টি বাউন্ডারি হাঁকান তিনি।এর পরে নাজমুল ও লিটন দাস দলকে জয়ের লক্ষ্যে পৌঁছে দেন। ৪২ বলে আটটি চারের সাহায্যে ৫১ রানে অপরাজিত থাকেন টাইগার অধিনায়ক।