নিজস্ব প্রতিনিধি: বিশ্বকাপের পুরস্কার বিতরণী মঞ্চে স্বদেশীয় মহিলা ফুটবলার জেনি হারমোসোকে জোর করে চুমু খাওয়ার জেরে এবার পদ হারাতে চলেছেন স্প্যানিশ ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি লুইস রুবিয়ালেস। আজ শুক্রবার সংস্থার সাধারণ বৈঠক বসতে চলেছে। ওই বৈঠকেই রুবিয়ালেস পদত্যাগপত্র পেশ করবেন বলে জানা গিয়েছে। তাঁর জায়গায় নতুন সভাপতি বেছে নেবেন সংস্থার কার্যকরী সমিতির সদস্যরা।
গত রবিবার সিডনির অলিম্পিক স্টেডিয়ামে ইংল্যান্ডকে ১-০ গোলে হারিয়ে প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপ জিতেছিল স্পেনের মহিলা ফুটবল দল। ম্যাচের পরে পুরস্কার বিতরণী মঞ্চে যখন স্পেনের মহিলা ফুটবলাররা পদক নিতে উঠছিলেন তখনই নজিরবিহীন কাণ্ড ঘটান স্প্যানিশ ফুটবল ফেডারেশনের প্রধান লুইস রুবিয়ালেস। আনন্দের আতিশয্যে কয়েকজনকে জড়িয়ে ধরার পাশাপাশি কোলে তুলে নেন। কিন্তু বান্ধবী তথা স্প্যানিশ মিডফিল্ডার জেনিফার হারমোসোর সঙ্গে একটু বেশিই বাড়াবাড়ি করে ফেলেন রুবিয়ালেস। অন্যদের তুলনায় হারমোসোকে দীর্ঘ সময় আলিঙ্গন করার পাশাপাশি দু’হাতে জড়িয়ে উঁচুতেও তুলে ধরেন। একপর্যায়ে হারমোসোকে জাপটে ধরে ঠোঁটে চুমু খান স্পেনের ফুটবল প্রধান। মুহূর্তে ওই দৃশ্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়ে যায়। সমালোচনার ঝড় ওঠে।প্রথমে নিজের আচরণের পক্ষে অনড় থাকলেও সমালোচনার জেরে সোমবার ক্ষমা চান স্প্যানিশ ফুটবল ফেডারেশনের শীর্ষ কর্তা। সামাজিক মাধ্যমে এক ভিডিয়ো বার্তায় রুবিয়ালেস বলেন, ‘বিশ্বকাপের পুরস্কার বিতরণী মঞ্চে আমার ওই আচরণ উচিত হয়নি। ওই আচরণের জন্য ক্ষমা চাইছি। আমি বুঝতে পেরেছি, গুরুত্বপূর্ণ পদে থাকলে অনেক বেশি সতর্ক থাকতে হয়।’
কিন্তু ক্ষমা চেয়েও নিস্তার পাননি তিনি। বিদেশের মাটিতে দেশের ফুটবল প্রধানের ওই অশোভন আচরণে চটেছেন স্পেনের প্রধানমন্ত্রী পেদ্রো স্যাঞ্চেজ। মঙ্গলবার রাজা ফিলিপের সঙ্গে দেখা করার পরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি বলেছিলেন, ‘রুবিয়ালেস যে কাণ্ড ঘটিয়েছেন, তা কোনও মতেই গ্রহণযোগ্য নয়। শিষ্টাচার লঙ্ঘনের জন্য শুধু ক্ষমা চাওয়াই যথেষ্ট নয়।’ বৃহস্পতিবার ফিফার পক্ষ থেকে জানানো হয়, বিশ্বকাপের পুরস্কার বিতরণী মঞ্চে রুবিয়ালেস যে কাণ্ড ঘটিয়েছেন তা শৃঙ্খলাভঙ্গের সমান। তাঁর বিরুদ্ধে শৃঙ্খলারক্ষা কমিটি তদন্ত শুরু করবে। ঘরে বাইরে চাপের মুখে পড়ে শেষ পর্যন্ত পদত্যাগ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন স্পেনের ফুটবল প্রধান।