আন্তর্জাতিক ডেস্ক: টি টুয়েন্টি বিশ্বকাপের সুপার টুয়েলভের প্রথম ম্যাচে কার্যত অঘটন ঘটেছিল। গতবারের রানার্স আপ নিউজিল্যান্ডের কাছে দুরমুশ হতে হয়েছিল বিশ্ব চ্যাম্পিয়ান অস্ট্রেলিয়াকে। কিন্তু দ্বিতীয় ম্যাচে প্রত্যাশিত ফলাফলই হল। আফগানিস্তানকে হারিয়ে সহজ জয় তুলে নিল জস বাটলারের দল। ১১ বল বাকি থাকতে ৫ উইকেটে জয়ের জন্য প্রয়োজনীয় রান তুলে নেয় ইংল্যান্ড। তবে হারলেও বেশ ভালই লড়াই চালিয়েছেন মহম্মদ নবি, উসমান গনিরা।
জয়ের জন্য ১১৩ রানের লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে খেলতে নেমেছিল ইংল্যান্ড। অধিনায়ক জস বাটলার ও অ্যালেক্স হেলস ধীরে সুস্থে খেলতে থাকেন। প্রথম উইকেটে ৫ ওভারে ওঠে ৩৫ রান। ইংল্যান্ডের ওপেনিং জুটি ভাঙেন ফাজালহক ফারুকী। ১৮ রানে ইংল্যান্ড অধিনায়ক জস বাটলারকে প্যাভিলিয়নে ফিরিয়ে দেন। ব্যক্তিগত ১৯ রানে আউট হন অ্যালেক্স হেলেস। ফরিদ আহমেদের বলে ফাজালহক ফারুকীর হাতে ক্যাচ দিয়ে সাজঘরে ফেরেন তিনি। এর পরে রান ওঠার গতি খানিকটা শ্লথ হয়ে পড়ে। মহম্মদ নবির বলে ২ রান করে বোল্ড হয়ে যান ইংল্যান্ডের অন্যতম ভরসার ব্যাটসম্যান বেন স্টোকস। আফগান বোলাররা যাতে মাথায় চড়তে না পারেন তার জন্য দেখেশুনে খেলতে থাকেন ডেভিড মালান। ৩০ বলে বিরক্তিকর ১৮ রানের ইনিংস খেলে মুজিবউর রহমানের বলে মহম্মদ নবির হাতে ক্যাচ দিয়ে প্যাভিলিয়নে ফেরেন তিনি। হ্যারিক ব্রুককে ফেরান রশিদ খান। লিয়াম লিভিংস্টোন ও মইন আলি দলকে জয় এনে দেন। লিভিংস্টোন ২৯ রানে ও মইন আলি ৮ রানে অপরাজিত থাকেন।
টসে হেরে এদিন প্রথমে ব্যাট করতে নামে আফগানিস্তান। কিন্তু ইংল্যান্ডের বোলারদের কাছে অসহায়ভাবে আত্মসমর্পণ করতে থাকে মহম্মদ নবি, রশিদরা। পরো কুড়ি ওভার খেলতে পারেনি আফগানরা। ১৯.৪ ওভারে মাত্র ১১২ রানে অলআউট হয়ে যায় আফগানিস্তান। সর্বাধিক রান করেন ইব্রাহিম জাদরান। ৩২ বলে ৩২ রান করেন তিনি। আর এক ব্যাটসম্যান উসমান গনি ৩০ বলে ৩০ রান করেন। আফগানিস্তানের সাত ব্যাটসম্যান দুই অঙ্কের ঘরে পৌঁছতে পারেননি। ইংল্যান্ডের হয়ে রীতিমত বিধ্বংসী বোলিং করলেন তরুণ পেসার স্যাম কুরান। ৩.৪ ওভার বল করে মাত্র ১০ রান দিয়ে একাই ৫ উইকেট নেন।