নিজস্ব প্রতিনিধি, মুম্বই: চলতি বিশ্বকাপে দারুণ ফর্মে রয়েছেন বিরাট কোহলি। গ্রুপ লিগের ৯ ম্যাচে দুটি শতরান, পাঁচটি অর্ধশতরান-সহ মোট ৫৯৪ রান করে সর্বাধিক রান সংগ্রাহক হিসাবে নিজের নাম লিখিয়েছেন। আগামিকাল বুধবার তাঁর দিকেই তাকিয়ে রয়েছেন টিম ইন্ডিয়া ও ১৪০ কোটি ভারতবাসী। কিউইদের বিরুদ্ধে তিনি ব্যাট হাতে গর্জে উঠে একদিনের ক্রিকেটে নিজের ৫০তম শতরান পাবেন বলেও অনেকে আত্মবিশ্বাসী। কিন্তু কেন উইলিয়ামসনদের বিরুদ্ধে মাঠে নামার আগে যথেষ্টই চাপে রয়েছেন বিশ্বের সেরা ব্যাটার। আর সেই চাপের কারণ বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে বরাবরই ব্যর্থ হয়েছেন কিং কোহলি। দলের প্রয়োজনে কখনই জ্বলে উঠতে পারেননি। ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে সেই অভিশাপ কাটাতে চান তিনি।
২০১১ সালের বিশ্বকাপে প্রথমবার ভারতের হয়ে খেলেছিলেন কোহলি। সেবার সেমিফাইনালে ভারতের প্রতিপক্ষ ছিল চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী পাকিস্তান। ওই ম্যাচে মাত্র ৯ রান করে ওয়াহাব রিয়াজের বলে সাজঘরে ফিরেছিলেন তরুণ কোহলি। তবে শচিন তেন্ডুলকরের দৌলতে ভারত ফাইনালে পৌঁছেছিল। তার চার বছর পরে ২০১৫ বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে ভারতের প্রতিপক্ষ ছিল অস্ট্রেলিয়া। ততদিনে ব্যাটসম্যান হিসেবে যথেষ্টই সমীহ আদায় করে নিয়েছেন তরুণ কোহলি। গ্রুপ লিগের ম্যাচে শতরান করলেও সেমিফাইনালে ফের ফ্লপ করলেন কোহলি। দলের সবচেয়ে বিপদের দিনে জ্বলে উঠতে ব্যর্থ হন। ১৩ বলে মাত্র ১ রান করে আউট হয়ে যান। কোহলিকে সেবার ফিরিয়ে দিয়েছিলেন মিচেল জনসন।
চার বছর আগে ২০১৯ সালে বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে মাত্র ১ রান করে ট্রেন্ট বোল্টের বলে সাজঘরে ফিরতে হয়েছিল কোহলিকে। অর্থাৎ তিনটি বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে মাত্র ১১ রান করেছেন ভারতের অন্যতম ব্যাটিং ভরসা। শুধু তাই নয়, তিন বারই তিনি আউট হয়েছিলেন বাঁ হাতি পেসারের বলে। সেমিফাইনালে বিরাটের লাগাতার ব্যর্থতা খানিকটা চাপে রেখেছে টিম ইন্ডিয়ার ম্যানেজমেন্টকে।