এই মুহূর্তে

WEB Ad Valentine 3

WEB Ad_Valentine

কানে হেডফোন গুঁজে লাইনে বসে ট্রেনের ধাক্কায় ছিন্নভিন্ন ২ বন্ধু

Courtesy - Google

নিজস্ব প্রতিনিধি: বার বার বলা হচ্ছে। প্রশাসনের পাশাপাশি রেলের তরফেও প্রচার করা হচ্ছে। তারপরেও হুঁশ ফিরছে না। কানে হেডফোন গুঁজে(Headphones in Ears) রেললাইনে বসে মোবাইলে গেম(Mobile Game) খেলায় ব্যস্ত থেকে যাওয়ার মাশুল গুনেই চলেছে বাংলার যুবসমাজ। কার্যত কোনও সতর্কতা, প্রচার, নিষেধ কিছুই কানে ঢুকছে না এদের। আর তার জেরেই অকালেই ঝরে যাচ্ছে জীবন। শুক্রবার রাত ৮টা নাগাদ নদিয়ার(Nadia) কৃষ্ণনগর সংলগ্ন মুড়াগাছা রেলগেট(Muragacha Railgate Near Krishnanagar) এলাকায় মিললো তার প্রমাণ। মোবাইল গেমের প্রতি চরম আসক্তি দুই যুবকের দেহ ছিন্নভিন হয়ে গেল ট্রেনের ধাক্কায়। মৃত(Dead) দুই যুবকের নাম সাব্বির শেখ(১৯) এবং শাহিন শেখ(২১)। দুইজনই মুড়াগাছা এলাকার বাসিন্দা। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, কানে হেডফোন থাকার কারণে ট্রেনের হুইসেলও কানে যায়নি তাদের। এমনকি আশপাশে থাকা লোকজনও সাব্বির এবং শাহিনকে চিৎকার করে ডাকাডাকি করলেও তা শুনতে পায়নি তারা।

জানা গিয়েছে, ঘটনার সময় রেললাইনের ওপর বসেছিলেন দুই বন্ধু। মাঝেমধ্যে গল্পও করছিলেন বটে, কিন্তু মন ছিল মোবাইল ফোনের দিকে। কানে গোঁজা ছিল হেডফোন। কানে হেডফোন গুঁজে লাইনে বসে গেম খেলার জেরে কোনও আওয়াজই তাঁদের কানে যায়নি। শুক্রবার রাত ৮টা নাগাদ শিয়ালদা-লালগোলা লাইনের ওপর দিয়ে দ্রুত গতিতে ছুটে যাচ্ছিল আপ ধনধান্য এক্সপ্রেস(Dhanadhanya Express)। সেই সময় মুড়াগাছা রেলস্টেশনের পাশে রেলগেট সংলগ্ন এলাকায় লাইনের ওপরে কানে হেডফোন গুঁজে বসে মোবাইল ফোনে গেম খেলছিল সাব্বির এবং শাহিন। দুই যুবককে রেললাইনের ওপর বসে থাকতে দেখে ট্রেনের চালককে সতর্ক করেছিলেন ওই ট্রেনের গার্ড। ট্রেন দ্রুত গতিতে থাকায় এত স্বল্প দূরত্বে কোনও ভাবেই ট্রেন থামানো সম্ভব ছিল না বলে রেল সূত্রের দাবি। ট্রেনের ধাক্কায় দেহ কাটা পড়ে সাব্বির এবং শাহিনের। ছিন্নভিন্ন হয়ে যায় দুইজনেরই দেহ।  স্থানীয়েরা তড়িঘড়ি করে দুই যুবককে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকেরা তাঁদের মৃত বলে ঘোষণা করেন।   

এই ঘটনা প্রসঙ্গে প্রত্যক্ষদর্শী সুভাষ বিশ্বাস জানিয়েছেন, ‘লাইনের দু’পারে থাকা অনেক মানুষ চিৎকার করেছিলেন। কিন্তু ওঁরা দু’জন মোবাইল গেমে এতটাই মজেছিলেন যে, শুনতে পায়নি। কানে হেডফোনও ছিল। অন্যদের চিৎকার শুনতে না পেয়ে দুর্ঘটনা ঘটে গেল। চোখের সামনে দু’জনের দেহ কাটা পড়ে যেতে দেখলাম।’ মোবাইল ব্যবহারের কারণে ইদানীং ট্রেনের ধাক্কায় বহু মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন। কখনও কথা বলতে বলতে, আবার কখনও হেডফোন লাগিয়ে ট্রেনের আওয়াজ শুনতে না পেয়ে মৃত্যুর ঘটনা অনবরত বৃদ্ধি পেয়েই চলেছে। রেল এবং প্রশাসনের তরফে বার বার সাধারণ মানুষকে সতর্কও করা হলেও যে পরিস্থিতির বিশেষ উন্নতি হচ্ছে না, নদিয়ার এই ট্রেন দুর্ঘটনাই তার প্রমাণ।

Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

আগ্নেয়াস্ত্র দেখিয়ে চাষের জমি লুটের অভিযোগ শেখ শাহজাহান বাহিনীর বিরুদ্ধে

রবিবার থেকে জেলায় জেলায় শুরু হবে বৃষ্টি, সোমবার ভিজতে পারে কলকাতা

‘উনি কেন এখনও ফর্ম ফিলাপ করেননি?’, নাম না করে শান্তনুকে CAA খোঁচা মমতার

শেখ শাহজাহানের ঘনিষ্ঠ মিজানুর রহমানের বিরুদ্ধে জমি হাতানোর অভিযোগ

‘এখন থেকে আমি আর মোদিবাবুর নাম নেব না, বড্ড মিথ্যে কথা বলেন’

বয়ফ্রেন্ডের সঙ্গে দেখা করেই মৃত্যু মাধ্যমিক উত্তীর্ণ  ছাত্রীর

Advertisement
এক ঝলকে
Advertisement

জেলা ভিত্তিক সংবাদ

দার্জিলিং

কালিম্পং

জলপাইগুড়ি

আলিপুরদুয়ার

কোচবিহার

উত্তর দিনাজপুর

দক্ষিণ দিনাজপুর

মালদা

মুর্শিদাবাদ

নদিয়া

পূর্ব বর্ধমান

বীরভূম

পশ্চিম বর্ধমান

বাঁকুড়া

পুরুলিয়া

ঝাড়গ্রাম

পশ্চিম মেদিনীপুর

হুগলি

উত্তর চব্বিশ পরগনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

হাওড়া

পূর্ব মেদিনীপুর