নিজস্ব প্রতিনিধি: সভা করার আগে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (ABHISHEK BANERJEE) গিয়েছিলেন পূর্ব মেদিনীপুর জেলার মারিশদা এলাকায়। সেখানে জনসংযোগে গিয়ে শুনেছিলেন গ্রামবাসীদের অভাব- অভিযোগ। অভিযোগ ছিল, বারবার আবেদন জানানো হলেও পঞ্চায়েত গ্রামবাসীকে বাংলার বাড়ি দেয় না। দেওয়া হয় না রাজ্য সরকারের একাধিক সামাজিক প্রকল্পের সুবিধা। তা শুনে অবাক হওয়ার পাশাপাশি ক্ষুব্ধ হয়েছিলেন তৃণমূলের সর্ব ভারতীয় সাধারণ সম্পাদক। নির্দেশ দিয়েছিলেন, ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে পদত্যাগ করতে হবে পঞ্চায়েত প্রধান, উপপ্রধান এবং অঞ্চল সভাপতিকে। তবে ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই তাঁরা পদত্যাগ করলেন।
ডায়মন্ড হারবারের সাংসদ গত শনিবার অভিযোগ পেয়েছিলেন, আমফান সাহায্য হোক বা বাংলার বাড়ি, রাস্তা বা নিকাশি ব্যবস্থা সব থেকেই বঞ্চিত হয়েছেন প্রায় ৮০টি বাড়ি। এমনকি বহু বাড়িতে নেই বিদ্যুৎ সংযোগ। সব শুনে পঞ্চায়েত প্রধান, উপপ্রধান, অঞ্চল সভাপতির ‘অ-কাজ’ দেখে ক্ষুব্ধ হয়েছিলেন অভিষেক। কাঁথির সভা থেকে নির্দেশ দিয়েছিলেন, ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে যেন এই ৩ জনের ইস্তফাপত্র তিনি পেয়ে যান। সেই নির্দেশের পরে ৪৮ ঘণ্টাও কাটল না। ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই ইস্তফা দিলেন পঞ্চায়েত প্রধান ঝুমুরানি মণ্ডল, উপপ্রধান রামকৃষ্ণ মণ্ডল এবং অঞ্চল সভাপতি।
কার্যত রাজ্যের পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে তিনি বুঝিয়ে দিতে চাইলেন, অনুন্নয়নের কারিগরদের নিয়ে আর চলবে না দল। গুরুত্ব পাবেন তাঁরাই, টিকিট পাবেন তাঁরাই- যারা স্বচ্ছ ভাবমূর্তি নিয়ে মানুষের দুয়ারে উন্নয়নকে পৌঁছে দিতে পারবেন।