নিজস্ব প্রতিনিধি: ‘বাংলার মেয়েরা(Women of Bengal) ব্যাঙ্ক থেকে লোন নিয়ে পালিয়ে যায় না। অনাদায়ী ঋণের পরিমাণ দুই শতাংশেরও কম। অনেকে তো ঋণ নিয়ে পালিয়ে গেল। কেন্দ্র কারও কারও আবার হাজার হাজার কোটি টাকা ঋণ মুকুবও করে দিল। তবে আসন্ন অর্থবর্ষে বাংলার স্বনির্ভর দলের(Self Help Groups) মেয়েদের ৩০ হাজার কোটি টাকা(30 Thousand Crore Rupees) ঋণ(Loan) দেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা নিয়েছে রাজ্য। এর ফলে আমাদের রাজ্যের ১১ লক্ষ ৮০ হাজার গোষ্ঠী উপকৃত হবে।’ এমনই ঘোষণা করেছেন রাজ্যের পঞ্চায়েত ও সময়বায় মন্ত্রী প্রদীপ মজুমদার(Pradip Majumdar)। শুক্রবার বিকালে রাজ্যের ইস্পাতনগরী দুর্গাপুরের বুকে দুই বর্ধমান, বাঁকুড়া, বীরভূম ও উত্তর ২৪ পরগনা জেলার স্বনির্ভর গোষ্ঠীদের উৎপাদিত সামগ্রী নিয়ে সৃষ্টিশ্রী মেলার উদ্বোধন করতে এসে এই ঘোষণা করেছেন।
মেলায় সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে প্রদীপবাবু জানান, ‘আদালত তো বলে দিয়েছে যোগ্য মানুষদের ১০০ দিনের কাজের টাকা আটকে রাখা অন্যায়। তারপরেও কেন্দ্র সরকার তা আটকে রেখেছে। স্বনির্ভর দলের মেয়েরা এগিয়ে না এলে ১০০ দিনের কাজের টাকা বন্ধের জন্য গ্রামীণ অর্থনীতির হাল আরও শোচনীয় হতো। গোষ্ঠীর কাজ এখন গ্রামে বিকল্প কর্মসংস্থানের পথ দেখাচ্ছে। এটা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের(Mamata Banerjee) কৃতিত্ব। তাঁর দেখানো পথে হেঁটেই এটা সম্ভব হয়েছে। এই মেলা হচ্ছে যেখানে সেই সিটি সেন্টার দুর্গাপুর হাট মুখ্যমন্ত্রী তৈরি করেইছেন গ্রামীণ শিল্পীদের তৈরি সামগ্রী বিক্রির জন্য। দুর্গাপুরে স্বনির্ভর দলের তৈরি জিনিস বিক্রির জন্য একটি স্থায়ী স্টল করা হবে। শুধু তাই নয়, স্বনির্ভর দলের তৈরি জিনিস এবার বিক্রি হবে ভ্রাম্যমাণ ভ্যানেও।’
প্রদীপবাবু আরও জানিয়েছেন, ‘বাংলার মেয়েদের আত্মনির্ভরতার পথ দেখাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী। আর বাংলার মেয়েদের হাতের কাজ দেশকে পথ দেখাচ্ছে। কলকাতার বুকে ১২ দিন ধরে হওয়া মেলায় ২৩ কোটি টাকার সামগ্রী বিক্রি হয়েছে। কীভাবে এই সাফল্য তা জানতে চেয়েছেন কেন্দ্রীয় সরকারের আমলারা। আমাদের কাছে তাঁরা তা শিখতে চান। আমাদের সাফল্য যাতে অন্য রাজ্যও পায়। চলতি অর্থবর্ষে স্বনির্ভর দলের সদস্যরা ব্যবসা করার জন্য ২১ হাজার কোটি টাকা ঋণ নিয়েছে। সেই ঋণ শোধও হয়েছে। কেউ টাকা মেরে পালিয়ে যায়নি।’