নিজস্ব প্রতিনিধি: বন দফতরকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে পসরা সাজিয়ে অবাধে বিক্রি হচ্ছিল বিরল প্রজাতির পাখি। ভিডিও ফুটেজ হাতে আসতেই নড়েচড়ে বসল বন দফতর। পাখিগুলির খোঁজে তল্লাশি অভিযান চালিয়ে দুই আন্তঃরাজ্য পাখি পাচারকারীকে গ্রেফতার করল বৈকন্ঠপুর বন বিভাগের কর্মীরা। একইসঙ্গে উদ্ধার করা হয় ৩৪ টি টিয়াপাখি।
বাংলা বিহার সীমান্ত ঘেষা বিধান নগর এলাকায় শুরু হয়েছে ঝর্ণা মেলা। সেই মেলায় অবাধে পসরা সাজিয়ে বিক্রি হচ্ছে টিয়া, ময়না-সহ বিভিন্ন বিরল প্রজাতির পাখি। এমন ভিডিও ফুটেজ এসে পৌঁছয় বৈকন্ঠপুর বনবিভাগের বেলাকোবা রেঞ্জের রেঞ্জ অফিসার সঞ্জয় দত্তর কাছে। এর পর তদন্তে নামেন বন দফতরের আধিকারিকরা। তদন্তে নেমে জানা যায় ডুয়ার্সের বিভিন্ন জঙ্গল থেকে এই পাখি গুলিকে ধরা হয়। এর পর আর্থিক মুনাফা লাভের জন্য সেগুলি পাচার করা হচ্ছে। গোপন সূত্রে বন দফতরের আধিকারিকদের কাছে খবর আসে শনিবার বিকেলে গজল ডোবা রোড ধরে ফুলবাড়ি হয়ে কিছু পাখি পাচার হবে। খবর পেয়ে রেঞ্জ অফিসার সঞ্জয় দত্ত টিম নিয়ে অভিযানে নামেন। অভিযানে নেমে দেখা যায় দুই ব্যক্তি বড় ব্যাগে করে কিছু ঢেকে নিয়ে যাচ্ছে। দেখা মাত্র দুজন কে ধরে ফেলে বনকর্মীরা। তল্লাশি করতেই বেরিয়ে আসে ৩৪ টি টিয়া।
সঞ্জয় দত্ত জানান, গোপন খবরে ৩১ নং জাতীয় সড়কের ফুলবাড়ি এলাকায় অভিযান চালিয়ে নুরসেফ শিকারি এবং এম ডি মুস্তার নামে দুই আন্তঃরাজ্য পাচারকারীকে গ্রেফতার করা হয়। বিহারের কাঠিহার জেলার বাসিন্দা তারা। দুজনকে জেরা করে জানা গিয়েছে টিয়া পাখিগুলিকে বাংলা-বিহার সীমান্ত বিধান নগর এলাকায় ঝর্ণা মেলা নামক এক মেলাতে এই পাখিগুলোকে বিক্রির উদ্দেশ্যে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। উদ্ধার হওয়া টিয়াগুলিকে বেঙ্গল সাফারিতে রাখা হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।