নিজস্ব প্রতিনিধি: একেবারে ফিল্মি কায়দায় সোনার দোকানে ডাকাতি হয়েছিল। কিন্তু শেষরক্ষা হল না। পুলিশের জালে ধরা পড়ল ৪ অভিযুক্ত। ধৃতদের কাছ থেকে উদ্ধার হয়েছে বেশকিছু সোনার গহনা।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ডানকুনিতে সোনার দোকানে ডাকাতির পর ঘটনার তদন্তে নেমে পুলিশ সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ খতিয়ে দেখে। সেই ফুটেজ দেখে ওই ডাকাতদলের কয়েকজনকে চিহ্নিত করতে পারেন তদন্তকারীরা। ঘটানস্থলে পৌঁছয় রাজ্য গোয়েন্দা সংস্থা সিআইডি। এরপরই শুরু হয় হুগলি জেলার বিভিন্ন স্টেশনে নাকা চেকিং। দুষ্কৃতীরা তাদের সঙ্গে আনা বাইক ফেলে রেখে আরামবাগে একটি বাসে উঠে পড়ে। ঝাড়খণ্ডের দিকে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে তারা। পুলিশেরই একজন তদন্তকারী অফিসার বাসের মধ্যেই তাদেরকে চিহ্নিত করেন। সঙ্গে সঙ্গে সেখান থেকে অভিযুক্তদের প্রথমে আটক ও পরে গ্রেফতার করা হয়। ধৃতদের ব্যাগে তল্লাশি চালিয়ে আগ্নেয়াস্ত্র ও বেশ কিছু পরিমাণে সোনার গহনা উদ্ধার করেছে পুলিশ। তবে এই দুষ্কৃতীদের সঙ্গে আর কে বা কারা জড়িত রয়েছে তা জানার চেষ্টা চালাচ্ছেন তদন্তকারীরা। কোথা থেকে তারা এসেছিল তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে পুলিশ সূত্রে খবর।
উল্লেখ্য বৃহস্পতিবার বিকেলে আচমকাই পাঁচজনের একটি ডাকাতদল আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে ডানকুনিতে একটি অভিজাত সোনার দোকানে ঢুকে পড়ে। ওই সোনার দোকানে ক্রেতা সেজে আগে থেকেই বসে ছিল দুজন। এরপরই নিরাপত্তারক্ষীরদের মাথায় বন্দুক ঠেকিয়ে তাদের দোকানের ভিতরে নিয়ে যায় ডাকাতদলটি। দোকানের কর্মচারী ও ক্রেতাদের আগ্নেয়াস্ত্র দিয়ে ভয় দেখিয়ে আটকে রাখা হয় তাদের। এরপর দোকানের সোকেশে রাখা সোনার গহনা ব্যাগে ভরে গয়না সহ নগদ টাকা নিয়ে বাইকে করে চম্পট দেয় দুষ্কৃতীরা। এরপরই দ্রুত খবর যায় ডানকুনি থানায়। পুলিশ খবর পেয়ে তৎক্ষণাৎ ঘটনাস্থলে হাজির হয়। এদিকে দোকনের ভেতরের গোটা ঘটনার ছবি ধরা পড়ে সিসিটিভিতে। আর সেই ফুটেজ খতিয়ে দেখে তদন্ত শুরু করে ডানকুনি থানার পুলিশ।