নিজস্ব প্রতিনিধি: মঙ্গল সকালে এক মর্মান্তিক পথ দুর্ঘটনায়(Road Accident) রাজ্যে মৃত্যু হল ৭জনের(7 Person Died)। এদিন অর্থাৎ ১২ মার্চ ঘটনাটি ঘটেছে হুগলি জেলার(Hooghly District) চুঁচুড়া সদর মহকুমার ধনিয়াখালি ব্লকের পূর্ব প্রান্তে থাকা গুড়াপে(Gurap)। তীব্র বেগে ধেয়ে আসা ডাম্পারের সঙ্গে একটি টোটোর(Clash between Dumper and Toto) মুখোমুখি সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে গুড়াপের কাংসারিপুর মোড়ে। তাতেই ঘটনাস্থলে মারা যান ৬জন। ১জনের মৃত্যু হয় হাসপাতালে। মৃতদের মধ্যে ১টি শিশুও রয়েছে। মর্মান্তিক এই দুর্ঘটনার পরে ঘাতক ডাম্পারের চালককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। মৃতদের মধ্যে রয়েছেন এক দম্পতি এবং এক কলেজপড়ুয়াও। প্রশ্ন উঠেছে যেখানে টোটোতে ৪জনের বেশি তোলা যায় না সেখানে কীভাবে ৭জনকে নিয়ে টোটো চালানো হচ্ছে ওই এলাকায়।
জানা গিয়েছে, গুড়াপের কংসারিপুর মোড়ে চুঁচুড়া দশঘরা ২৩ নম্বর রাজ্য সড়কে একটি টোটোকে ধাক্কা মারে একটি ডাম্পার। টোটোটি ভাস্তার দিক থেকে গুড়াপের দিকে যাচ্ছিল। যাত্রীসমেত টোটোটি ঢুকে যায় ডাম্পারের নীচে। ঘটনাস্থলে উপস্থিত স্থানীয় মানুষ এবং গুড়াপ থানার পুলিশ ডাম্পারের নীচ থেকে যাত্রীদের টেনে বার করেন। পুলিশ জানিয়েছে, অচৈতন্য অবস্থায় ডাম্পারের নীচ থেকে মোট ৬ জনকে উদ্ধার করে বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। চিকিৎসকরা সেখানেই ৫ জনকে মৃত বলে ঘোষণা করেন, বাকি ২ জনের পরে মৃত্যু হয়।
স্থানীয় সূত্রে খবর, টোটোয় ছিলেন, বিদ্যুৎ বেরা এবং তাঁর স্ত্রী প্রীতি বেরা, তাঁদের ২ বছরের ছেলে বিহান, পাণ্ডুয়ার রামেশ্বরপুরের বাসিন্দা রামপ্রসাদ দাস ও তাঁর স্ত্রী নূপুর দাস এবং সৃজা ভট্টাচার্য নামে এক কলেজছাত্রী। তাঁর বাড়ি ভাস্তারায়। মৃত টোটোচালকের বাড়িও গুড়াপেই। কেউ ডাক্তার দেখাতে যাচ্ছিলেন তো কেউ কাজে, কেউ বা কলেজে। কিন্তু নিজ নিজ গন্তব্যে পৌঁছানোর আগেই বেপরোয়া ডাম্পার কার্যত পিষে দিয়েছে সকলকে।