নিজস্ব প্রতিনিধি: হাসপাতালের সামনে বাবার ঝালমুড়ির দোকান। সেখানেই নিত্যদিন খেলত সে। ছিল তার মৃগী রোগও। তাই তাকে চোখে চোখে রাখত বাবা-মা। তবুও নিয়তি এসে চিরতরে ছিনিয়ে নিয়ে চলে গেল তাকে। শুক্রবার সকাল থেকেই শুরু হয়েছিল বৃষ্টি। ছিল দমকা হাওয়াও। মালদা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের চত্বর মোটামুটি তাই ফাঁকাই ছিল। সেই সময়েই বাবা-মার চোখ এড়িয়ে ৮ বছরের হরষিত সিং উঠে পড়ে হাসপাতালের ৬ তলার বিল্ডিংয়ে। তারপর সেখান থেকে রেকিং ধরে খেলার ছলে নীচে নামতে গিয়েই পড়ে যায় সে। ছয়তলা থেকে তিনতলায় পড়ে মাথায় আঘাত পায় হরষিত। তার জেরে ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় তার। খবর পেয়ে হাসপাতাল চত্বরে থাকা পুলিশ ক্যাম্পের কর্মীরা এসে হরষিতকে উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানোর ব্যবস্থা করে।
জানা গিয়েছে, হরষিতের বাবা বলবীর সিংয়ের মালদা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের আউটডোর বিল্ডিংয়ের সামনে একটি ঝালমুড়ির দোকান আছে। তাঁদের গ্রামের বাড়ি বিহারের কাটিহারে। ইংরেজবাজার শহরের বুড়াবুড়িতলা এলাকায় একটি বাড়ি ভাড়া নিয়ে তাঁরা থাকেন। বলবীর সিং এদিন দুর্ঘটনার পরে জানান, ‘ছেলের মৃগীরোগ ছিল বলে ওর ওপর সব সময় নজর রাখতাম। কিন্তু ও আজ সকলের নজর এড়িয়েই হাসপাতালের ছয়তলায় উঠে যায়। সেখান থেকেই পড়ে গিয়ে মৃত্যু হয় তার।’ মালদা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, আবহাওয়া খারাপ থাকায় হাসপাতালের আউটডোর ফাঁকা ছিল। যার ফলে সকলের অলক্ষ্যে সহজেই হরষিত আউটডোরের ছয় তলায় উঠে পড়েছিল হরষিত। আর তার জেরেই ঘটে এই দুর্ঘটনা।