নিজস্ব প্রতিনিধি: আইনি সাহায্য দেওয়ার নামে একটি বাড়িতে ডেকে নিয়ে গিয়ে এক মহিলাকে ধর্ষণ করার অভিযোগ উঠল রাজ্য পুলিশের(Police) এক কনস্টেবলের(Constable) বিরুদ্ধে। শনিবার তাকে গ্রেফতারও করেছে পুলিশ। তবে মূল ঘটনার দুই সপ্তাহ বাদে ধর্ষণের অভিযোগ দায়ের হওয়ায় ওই ঘটনার সত্যতা নিয়েই এখন প্রশ্ন উঠে গিয়েছে অনেকের মনে। প্রাথমিক ভাবে মনে করা হচ্ছে ওই মহিলার সঙ্গে সম্পর্ক ছিল ধৃত কনস্টেবলের। সম্ভবত বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে সহবাস করে পরে আর ওই মহিলাকে বিয়ে না করতে চাওয়ার কারণেই এখন ওই কনস্টেবলের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ দায়ের করেছেন ওই মহিলা।
জানা গিয়েছে, ধৃত কনস্টেবলের নাম সঞ্জয় পড়িয়া। তার বাড়ি পশ্চিম মেদিনীপুর(Paschim Midnapur) জেলার খড়গপুর-২ ব্লকের পলসা গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায়। বর্তমানে সঞ্জয় জেলারই আনন্দপুর(Anandapur) থানায় কর্মরত ছিল। অভিযোগ, গত ২৪ মার্চ এক মহিলাকে আইনি সাহায্য দেওয়ার নামে আনন্দপুর এলাকারই একটি বাড়িতে ডেকে নিয়ে যায় সঞ্জয়। সেখানেই তাঁকে ধর্ষণ করে সে। যদিও ওই মহিলা দিন দুই আগে খড়গপুর(Kharagpur) গ্রামীণ থানায় ধর্ষণের অভিযোগ দায়ের করেন। সেই অভিযোগের ভিত্তিতেই গতকাল জেলা পুলিশ প্রশাসন সঞ্জয়কে ক্লোজড করে। শনিবার তাকে গ্রেফতার করে খড়গপুর মহকুমা আদালতে পেশ করা হয়।
যদিও সঞ্জয়ের সহকর্মীদের দাবি, সঞ্জয় বিবাহিত হওয়া সত্ত্বেও ওই মহিলার সঙ্গে বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কে লিপ্ত হয়েছিল। ওই মহিলাকে সঞ্জয় জানায়নি যে সে বিবাহিত। মহিলাকে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে একাধিকবার তাঁর সঙ্গে সহবাস করে সঞ্জয়। মহিলা এরপর বিয়ের জন্য চাপ দিলে তখন বিয়ে করতে অস্বীকার করে সঞ্জয়। পরে মহিলা খোঁজখবর নিয়ে জানতে পারেন যে সঞ্জয় বিবাহিত। এরপরেই তিনি ধর্ষণের অভিযোগ দায়ের করেন সঞ্জয়ের বিরুদ্ধে। যদিও সঞ্জয়ের বিরুদ্ধে ওঠা যাবতীয় অভিযোগ অস্বীকার করেছে সঞ্জয় নিজে ও তাঁর পরিবার। তাঁদের বক্তব্য, ষড়যন্ত্রের শিকার হয়েছে সঞ্জয়। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, সঞ্জয়ের বিরুদ্ধে বিভাগীয় তদন্তও শুরু হয়েছে।