এই মুহূর্তে

WEB Ad Valentine 3

WEB Ad_Valentine

চুমু খেয়েই প্রেমিককে গুলি! প্রেমিকার কাণ্ডে চাঞ্চল্য কাটোয়ায়

নিজস্ব প্রতিনিধি: নাহ, বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে সহবাস কাণ্ড নয়। নয় একসঙ্গে আত্মহত্যার প্রচেষ্টাও। কিন্তু সিনেমার গল্পকেও হার মানিয়ে প্রেমিককে প্রাণে মারার জন্য গুলি চালাবার যে ঘটনা এক প্রেমিকা ঘটিয়েছে তাতে এটা পরিষ্কার এ রাজ্যের মেয়েরা এখন ক্রমশ বেপরোয়া হয়ে উঠছেন চেনা ছক ভাঙতে। হয় তুই আমার, নয়তো তুই কারোর নস। এই মনোভাবই এখন বাংলার প্রেমিক-প্রেমিকাদের বোধহয় বেপরোয়া বানিয়ে দিয়েছে। কাটোয়া, পূর্ব বর্ধমান জেলার অন্যতম মহকুমা শহর। সেখানেই বুধ সন্ধ্যায় ঘটে গিয়েছে গুলি চালনার ঘটনা। প্রেমিকার ছোঁড়া গুলিতে প্রাণে মরতে মরতে বেঁচেছে প্রেমিক। ঘটনা যতটা শিহরণ জাগানো তার থেকেও বেশি রোমান্সের। কারন প্রেমিককে গুলি করে মারার প্রচেষ্টার আগে তাঁকে জড়িয়ে ধরে তাঁর ঠোঁটে ঠোঁট ডুবিয়ে আকন্ঠ চুমু এঁকে দিয়েছিল সেই প্রেমিকা।

কে এই প্রেমিক-প্রেমিকা! কাটোয়ার কেশিয়া মাঠপাড়ার যুবক লালচাঁদ শেখের সঙ্গে বাগানপাড়ার মনীষা খাতুনের প্রায় তিন বছরের সম্পর্ক ছিল। আর পাঁচটা প্রেমের মতোই তা দেখাসাক্ষাৎ, গল্পস্বল্প, চুমু খাওয়া থেকে বিছানা অবধি গড়িয়েছিল। কিন্তু লালচাঁদের সন্দেহ ছিল মনীষা তাঁকে ঠকাচ্ছে। অন্য কারোর সঙ্গে লুকিয়ে লুকিয়ে প্রেম করছে। তাই দুইজনের বিয়ের কথা উঠলেও তাতে রাজী হয়নি লালচাঁদ। আর সেটাই ক্ষেপিয়ে তুলেছিল মনীষাকে। সেই সময় মনীষাকে তাঁর বাড়ির লোকেরা ঝাড়খণ্ডে পাঠিয়ে দিয়েছিল অন্য জায়গায় বিয়ে দেওয়ার জন্য। কিন্তু সেখানেও কাউকে বিয়ে করতে রাজি হয়নি সে। তাঁর লালচাঁদকেই চাই। সেই জেদ নিয়ে সে ফিরে আসে কাটোয়ায়। আর তারপরেই যোগাযোগ করে লালের সঙ্গে দেখা করার জন্য। বুধ সন্ধ্যায় কাটোয়া শহরের সার্কাস ময়দান এলাকায় দুইজনের দেখা করার পরিকল্পনাও হয়। দেখা হতেই প্রেমিককে আদর করার নাম করে তাঁকে পাশেরই এক ফাঁকা গলিতে ঢুকিয়েছিল মনীষা। আর সেখানেই গুড়ুম।

জানা গিয়েছে, লালকে একের পর এক চুমু দিয়ে খুশিতে ভরিয়ে দিয়েছিল মনীষা। আর সেই চুমু দেওয়ার ফাঁকেই নিজের জামার ভেতর থেকে বের করে এনেছিল ওয়ান শটার পিস্তল। চুমু খেতে খেতেই লালের বুকে সেই পিস্তল ঠেকিয়েছিল মনীষা। ঠিক কী হতে চলেছে তা আন্দাজ করেই মনীষাকে ধাক্কা মেরে পালানোর চেষ্টা করে লাল। মনীষাও সেই সময় লালকে লক্ষ্য করে পিছন থেকে গুলি চালায়। ভাগ্যজোরে সেই গুলি লালের জ্যাকেট ফুঁড়ে পেট ছুঁয়ে বেরিয়ে যায়। কার্যত কপাল জোরে প্রাণে বাঁচে লালচাঁদ। বুধবার রাত সাড়ে আটটার সময় ঘটা সেই ঘটনার জেরে মুহুর্তের মধ্যে এলাকায় শোরগোল পড়ে যায়। ঘটনার খবর পেয়ে কাটোয়া থানার পুলিশ এসে লালকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে। সেখানে তাঁর প্রাথমিক চিকিৎসা হয়। তাঁর শারীরিক অবস্থা আপাতত স্থিতিশীল। হাসপাতালের বেডে শুয়েই লাল জানিয়েছে, মনীষা তাঁকে জানিয়েছিল যে তাঁর ধানবাদে বিয়ে ঠিক হয়ে গিয়েছে। তাই তার আগে শেষবার তাঁর সঙ্গে দেখা করে তাঁলে কিছু কথা বলতে চায় সে। এরপর আর কোনওদিন লালকে বিরক্ত করবে না বলেও জানিয়েছিল মনীষা। আর সেই কথার ফাঁদে পা দিয়েই বুধ রাতে মরতে বসেছিল লালচাঁদ। ঘটনার পরেই গা ঢাকা দেয় মনীষা। কিন্তু রাতেই মনীষার ফোনের টাওয়ার লোকেশন দেখে তাঁকে গ্রেফতার করে পুলিশ। রাতেই তাঁকে কাটোয়া থানায় নিয়ে এসে জিজ্ঞাসাবাদ করেন তদন্তকারীরা। প্রাথমিক ভাবে পুলিশের ধারনা ঝাড়খণ্ড থেকেই ওয়ান শাটার জোগাড় করে লালকে খুন করতে চেয়েছিল সে। আর সেটাও প্রেমে প্রতারিত হয়ে। পুলিশ মনীষাকে এদিনই কাটোয়া মহকুমা আদালতে তুলবে। তবে লালচাঁদের বিরুদ্ধেও অভিযোগ দায়ের হতে পারে।

Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

হাওড়ার স্পর্শ কাতর বুথগুলিতে নিরাপত্তা ব্যবস্থা খতিয়ে দেখলেন জেলাশাসক ও সিপি, জগাছায় কেন্দ্রীয় বাহিনীর রুট মার্চ

বিদ্যুতের আমলে বিশ্বভারতীতে বন্ধ ‘কন্যাশ্রী’ শুরু করতে উপাচার্যকে চিঠি অভিভাবকদের

লোকসভা ভোটের আগে ময়ূরেশ্বরে ২ সশস্ত্র দুষ্কৃতী হাতেনাতে পাকড়াও

রবিবার দক্ষিণবঙ্গের ৬ জেলায় তাপপ্রবাহের ‘লাল সর্তকতা’ জারি

‘সমুদ্রসাথী’ প্রকল্পে মৎস্যজীবীদের নাম নথিভুক্ত নিয়ে বিভ্রাট, ক্ষুব্ধ মৎস্যজীবীরা

‘এ রাজ্যে তো কংগ্রেস-সিপিএম-বিজেপি ভাই-ভাই সঙ্ঘ’, কটাক্ষ মমতার

Advertisement
এক ঝলকে
Advertisement

জেলা ভিত্তিক সংবাদ

দার্জিলিং

কালিম্পং

জলপাইগুড়ি

আলিপুরদুয়ার

কোচবিহার

উত্তর দিনাজপুর

দক্ষিণ দিনাজপুর

মালদা

মুর্শিদাবাদ

নদিয়া

পূর্ব বর্ধমান

বীরভূম

পশ্চিম বর্ধমান

বাঁকুড়া

পুরুলিয়া

ঝাড়গ্রাম

পশ্চিম মেদিনীপুর

হুগলি

উত্তর চব্বিশ পরগনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

হাওড়া

পূর্ব মেদিনীপুর