নিজস্ব প্রতিনিধি: উনি নেতা। কিন্তু কেউ তাঁকে সেলাম ঠোকেন না, নজরানাও দেয় না। তাই কামাই বলতে কিছুই নেই। পকেট হরবখতই ফাঁকা। পাড়ায় কেউ তাই পাত্তাও দেয় না। শেষ পাড়াপড়শিকে ভয় দেখিয়ে চমকে দিয়ে হুমকি ধমকি দেখিয়ে পাত্তা পাওয়ার পথে হাঁটা দেলন সেই নেতা। রবি সকালে গামছা পড়ে হাতে দেশী বন্দুক নিয়ে বেড়িয়ে পড়লেন বাড়ির বাইরে। মদ্যপ অবস্থায় হাতে বন্দুক নিয়ে রাস্তায় দাপাদাপি শুরু করে দিলেন। সেই সঙ্গে একে ওকে তাঁকে বন্দুকের নল উঁচিয়ে ভয় দেখাতে থাকেন। তার জেরে নেতাকে সেলাম ঠোকা তো বহু দূরের কথা ভয়ে এলাকার মানুষ ঘরে ঢুকে জানলা-দরজা বন্ধ করে দিলেন। কেউ কেউ তো পুলিশেও খবর দিয়ে বসলেন। সেলাম চেয়ে এই কাণ্ড ঘটিয়েও অবশ্য নেতার জোটেনি একটিও সেলাম। উল্টে পুলিশ এসে পাকড়াও করে তাঁকে। কেড়ে নেয় সেই বন্দুকও। চাঞ্চল্যকর এই ঘটনা ঘটেছে মালদা(Malda) জেলার চাঁচল(Chnachal) মহকুমার হরিশ্চন্দ্রপুর(Harishchandrapur) থানার ভালুকা অঞ্চলের পেমাই গ্রামে। গ্রেফতার হওয়া সেই নেতার নাম পুরণ মুশো। বাম, ডান, গেরুয়া ঘুরে আপাতর যার অবস্থান ছিল ঘাসফুলে।
জানা গিয়েছে, এদিন সকাল ১০টা নাগাদ পেমাই গ্রামে মদ্যপ অবস্থায় গামছা পড়ে বন্দুক হাতে দাপাদাপী শুরু করেন পুরণ। তঁর স্ত্রী মিনু মুশোর একসময় স্থানীয় গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধানও ছিলেন। কিন্তু ক্ষমতা হাতছাড়া হওয়ায় দাপটও উধাও হয়েছিল। তার জেরে কেউ পাত্তাও দিত না যা পূরণের না পসন্দ ছিল। তার জেরেই এদিন সকালে বন্দুক নিয়ে রাস্তায় দাপাদাপি শুরু করেন তিনি। এ দিন সকালে প্রচুর পরিমাণে মদ্যপান করে হাতে বন্দুক নিয়ে হঠাৎ রাস্তায় বেরিয়ে পড়েন পূরণ৷ তারপর একটি আমবাগানে ঢুকে লোকজনকে ভয়ও দেখানে থাকেন৷ এমনকী কয়েকজনের দিকে বন্দুকের নিশানও করেন। আতঙ্কিত গ্রামবাসীরা ভয়ে যে যার বাড়িতে ঢুকে জানলা-দরজা বন্ধ করে দেন৷ কয়েকজন আবার তারই মধ্যে ভালুকা(Bhaluka) পুলিশ ফাঁড়িতে খবর দেন৷ সেই খবর পেয়ে পুলিশ ওই আমবাগান থেকে বন্দুক-সহ পুরণ মুশোরকে গ্রেফতার করে৷ বন্দুকটি কোথা থেকে এই নেতার কাছে এল তা জানার চেষ্টা করা হচ্ছে৷ ধৃতকে এদিনই চাঁচল মহকুমা আদালতে তোলা হবে বলে পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে।