নিজস্ব প্রতিনিধি, জলপাইগুড়ি: তার হাত থেকে বড়দিনের উপহার পাওয়ার জন্য জলপাইগুড়ি শহরের ছোট ছোট শিশুরা তাঁকে চিঠি বা ম্যাসেজ পাঠায়। আর সেই মতো বড়দিন এলেই কেক, চকোলেট, খেলনা, জামাকাপড়-সহ বিভিন্ন ধরনের উপহার সামগ্রী কিনে বাইক নিয়ে বেড়িয়ে পড়েন সেই ঠিকানায়। তিনি জলপাইগুড়ি শহরের নয়াবস্তি এলাকার বাসিন্দা সুহৃদ মণ্ডল। পোস্ট অফিসের কর্মী ছিলেন তিনি, বর্তমানে তিনি অবসরপ্রাপ্ত। যদিও এলাকায় তিনি ভোলা মণ্ডল হিসেবেই পরিচিত।
বিগত ৪৭ বছর ধরে প্রতিমাসে মাইনের টাকা জমান। আর বড়দিন আসলেই তিনি সেই টাকা অ্যাকাউন্ট থেকে তুলে ছোট ছোট শিশুদের জন্য উপহার কিনে আনেন। এরপর বড়দিনের প্রাক্কালে সান্তা ক্লস সেজে জলপাইগুড়ি শহরের রাস্তায় বেড়িয়ে পড়েন সুহৃদ মণ্ডল। পথ চলতি ছোট বড় সবার মধ্যে উপহার বিলি করেন। এইভাবে গত ৪৭ বছরের বেশি সময় ধরে এলাকার মানুষকে আনন্দ দিয়ে আসছেন তিনি।
এই বিষয়ে জলপাইগুড়ির সান্তা ক্লজ সুহৃদ মণ্ডল জানিয়েছেন, আমি ১৯৭৪ সালে চাকরি পেয়েছিলাম। তখন থেকেই আমি বড়দিন আসলেই ছোট বড় সবার মধ্যে উপহার বিলি করি। এই দিনটির জন্য আমি মাইনের টাকা থেকে ৫ কিংবা ৬ হাজার টাকা করে প্রতিমাসে সরিয়ে রাখি। আর বছরভর অপেক্ষা করে থাকি কবে বড়দিন আসবে। মজার কথা হল, তিনি যাতে বড়দিনের উপহার নিয়ে আসেন তার জন্য ছোট ছোট শিশুরা তাঁকে চিঠি লেখে। কেউ আবার ম্যাসেজ পাঠায়। সুহৃদবাবুর কথায়, তাঁদের যতজনের বাড়িতে যাওয়া সম্ভব যাই। তাঁদের হাতে উপহার তুলে দেওয়াতেই আমার আনন্দ।