নিজস্ব প্রতিনিধি: বিয়ে হয়েছিল মাসির ছেলের সঙ্গে। কিন্তু সেই বিবাহিত জীবনে আচমকাই এসে হাজির হয় নতুন এক যুবক। ক্রমেই সেই যুবকের সঙ্গে সম্পর্কের জড়ান বিবাহিত তরুণী। সেই যুবকের চাপেই স্বামীকে তালাক দিতে বাধ্য হন তরুণী। প্রেমিক কথা দিয়েছিল শত বিপদেও পাশ থেকে সরে যাবে না। কিন্তু সেই অন্তঃসত্ত্বা তরুণীকে এখন ঘরে তুলতে চাইছে না যুবকের পরিবার। যদিও তরুণীর দাবি, গোপনে শরিয়ত মোতাবেক বিয়ে করেছেন তাঁরা। তাই স্ত্রীর মর্যাদা চেয়ে ওই প্রেমিক যুবক তথা স্বামীর ঘরে ঠাঁই পেতে বুধবার দুপুর থেকে প্রেমিকের বাড়ির সামনে ধর্ণায় বসেন অন্তঃসত্ত্বা তরুণী। কিন্তু রাতেই সেই প্রেমিকের বাড়ির সদস্যদের হাতে আক্রান্ত হলেন তিনি। চাঞ্চল্যকর এই ঘটনা ঘটেছে মালদা(Malda) জেলার চাঁচল(Chnachal) মহকুমার হরিশ্চন্দ্রপুর-১(Harishchandrapur) ব্লকের রশিদাবাদ গ্রাম পঞ্চায়েতের বিরুয়া-আজিমপুর গ্রামে।
জানা গিয়েছে, তাবাসুম পারভিন(২১)(Tabasum Parveen) নামে ওই তরুণীর বাড়ি হরিশ্চন্দ্রপুর-১ ব্লকের মহেন্দ্রপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের গাঙ্গনদীয়া মসজিদ পাড়া এলাকায়। বছর আড়াই আগে তাবাসুমের বিয়ে হয়েছিল তাঁরই মাসির ছেলের সঙ্গে। বছর দেড় আগে বাবা-মার কাছে থাকাকালীন সময়ে তাঁর সঙ্গে আলাপ হয় আরব আলি(২১)(Aarab Ali) নামে যুবকের সঙ্গে। সেই আলাপ থেকেই প্রেমের সম্পর্ক, পার্ক ও রেস্টুরেন্টে আড্ডা, একের পর এক হোটেলে রাত্রিযাপন ও বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে এক বছর ধরে সহবাস চলেছিল তাঁদের মধ্যে। এরমধ্যেই আরবের চাপে নিজের স্বামীকে যেমন তালাক দিতে বাধ্য হয় তাবাসুম তেমনি এখন সে অন্তঃসত্ত্বাও হয়ে পড়েছে। তাবাসুমের দাবি, আরব তাঁকে কথা দিয়েছিল, ভালবাসার জন্য সে জীবন দিয়ে দেবে তবুও তাঁকে ছেড়ে কোথাও যাবে না। তাঁকে বিয়ে করে স্ত্রীর মর্যাদা দিয়ে বাড়িতে নিয়ে আসবে। এমনকি তারা এক মাস আগে গোপনে শরিয়ত মোতাবেক চাঁচলে বিয়েও করে ফেলেন। কিন্তু এখন তাবাসুম অন্তঃসত্ত্বা হতেই তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করাই ছেড়ে দিয়েছে আরব। এমনকি তাঁকে স্ত্রীর মর্যাদা দিয়ে বাড়িতে তুলতেও নারাজ সে।
এই অবস্থায় তাবাসুমের বাবা-মা একাধিকবার যোগাযোগ করে আরবের পরিবারের সঙ্গে। কিন্তু তাঁরা তাবাসুমকে বাড়ির বউ বলে স্বীকৃতি দিতে নারাজ। তার জেরে বুধবার দুপুর থেকে তাবাসুম হরিশ্চন্দ্রপুর-১ ব্লকের রশিদাবাদ গ্রাম পঞ্চায়েতের বিরুয়া-আজিমপুর গ্রামে আরবদের বাড়ির সামনে ধর্ণায় বসে স্ত্রীর মর্যাদা চেয়ে স্বামীর ঘরে ঠাঁই পেতে। তাবাসুম ধর্ণায় বসতেই বাড়ি ছেড়ে গা ঢাকা দেয় আরব। একই সঙ্গে অভিযোগ উঠেছে বুধবার রাতে আরবের বাড়ির লোকেরা তাবাসুমকে প্রচন্ড মারধর করে। সেই মারধরের জেরে সে অসুস্থ হয়ে পড়লে রাত দশটা নাগাদ তাঁকে বাড়ির নিয়ে আসেন তাবাসুমের পরিবারের লোকেরা। ওই ঘটনার জেরে বৃহস্পতিবার আরবের মা জানান তিনি আরব ও তাবাসুমের প্রেমের সম্পর্ক বা বিয়ে নিয়ে কিছুই জানেন না। ছেলে কোথায় পালিয়ে গিয়েছে সেটাও তার জানা নেই।