নিজস্ব প্রতিনিধি: বাড়ি ফেরার পথে রহস্যজনক ভাবে খুন হলেন এক অন্তঃসত্ত্বা। গুরুতর ভাবে জখম হলেন তাঁর স্বামী। ঘটনাটি ঘটেছে আলিপুরদুয়ার জেলার হাসিমারা এলাকায়। যদিও ওই দম্পতির বাড়ি কোচবিহার জেলার মাথাভাঙ্গা-২ ব্লকের লতাপাতা গ্রাম পঞ্চায়েতের দ্বারিকামারী গ্রামে। তাঁদের ৭ বছরের একটি ছেলেও আছে। মৃত দম্পতির নাম এক্রামুল হক ও মাজেদা বিবি(২৮)। বৃহস্পতিবার তাঁদের একটি গাড়ি বিক্রি করার কথা ছিল। সেই সূত্রেই তাঁরা আলিপুরদুয়ার জেলার বীরপাড়া বাজারে গিয়েছিলেন। কেননা গাড়িটি ছিল মাজেদা বিবির নামে। গাড়ি বিক্রির সইসাবুদ সারতেই স্ত্রীকে নিয়ে বীরপাড়ার রাঙালিবাজনা এলাকায় গিয়েছিলেন এক্রামুল। কিন্তু কোভিডের সংক্রমণ ঠেকাতে আলিপুরদুয়ার জেলা প্রশাসন প্রতিটি থানা এলাকায় একদিন করে দোকানবাজার বন্ধ রাখার যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে তার জেরে বৃহস্পতিবার বীরপাড়ায় সব দোকানবাজার বন্ধ ছিল। রাঙালিবাজনা এলাকায় মাজেদা বিবির বোনের শ্বশুরবাড়ি। কিন্তু বাজার বন্ধ থাকায় এক্রামুল স্ত্রীকে নিয়ে তাঁর দিদির বাড়ি জয়গাঁতে চলে যান। ফেরার পথে হাসিমারা এলাকায় তাঁরা আক্রান্ত হন।
এক্রামুলের বাবা মোকসেদ আলী জানিয়েছেন, ‘ছেলের সঙ্গে আমার ফোনে কথা হয় বিকাল সোয়া ৫টা নাগাদ। ছেলে জানায় সে বউকে নিয়ে জয়গাঁয় দিদির বাড়িতে গিয়েছে। এরপর সন্ধ্যা ৭টা নাগাদ জানতে পারি হাসিমারা ব্রিজ সংলগ্ন ফাঁকা রাস্তায় কে বা কারা বউমার গলায় ছুরি দিয়ে নলি কেটে দিয়েছে। বউমা ঘটনাস্থলেই নাকি মারা গিয়েছে। ছেলেকেও মারতে চেয়েছিল, কিন্তু ও জখম অবস্থাতেই কোনওরকমে পালিয়ে বেঁচেছে। বউমা ৭ মাসের অন্তঃসত্ত্বা ছিল।’ ঘটনার খবর পুলিশের কানে গেলে তাঁরা দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে এক্রামুলকে উদ্ধার করে তাঁকে আলিপুরদুয়ার জেলা হাসপাতালে ভর্তি করে। শুক্রবার সকালে সেখান থেকে এক্রামুলের বাড়ির লোকেরা তাঁকে ছাড়িয়ে নিয়ে যায় ও কোচবিহার শহরে এক বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করেছে। বিষয়টি নিয়ে ইতিমধ্যেই তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। তবে মাজেদা বিবির এক আত্মীয় ছালেয়া খাতুন অভিযোগ করে বলেন, ‘একজন মহিলাকে সহজে কেউ গায়ে হাত দেয় না একজন অন্তসত্ত্বা মহিলাকে হঠাৎ করে কেউ একজন গাড়ি দাঁড় করিয়ে গলায় নটি কেটে দিল। বিষয়টি রহস্যজনক এবং খুব তাড়াতাড়ি প্রশাসনের হস্তক্ষেপে দোষীদের বের করে শাস্তির দাবি রাখছি।’