নিজস্ব প্রতিনিধি: কই কিসিসে কম নেহি। কার্যত প্রতিযোগিতা চলেছে যেন। কেষ্ট গিয়েছে তো কী হয়েছে। মাঠ ভরাবার জন্য গেরুয়া শিবিরে আছে কেষ্ট’র মতোই বক্তা। তিনিই এখন মাঠ কাঁপাচ্ছেন। দেদার হাততালির পাশাপাশি বিতর্কও বাঁধছে। যেমন বাঁকুড়া(Bankura) জেলার ওন্দার(Onda) বিজেপি বিধায়ক(BJP MLA) অমরনাথ শাখা(Amarnath Shakha) যে মন্তব্য করেছেন তা নিয়ে এখন রাজ্য রাজনীতিতে বেশ শোরগোল পড়ে গিয়েছে। কার্যত তা মুখ পোড়াচ্ছে বিজেপিরও। কিন্তু হলে কী হবে, গেরুয়া শিবিরে বেশ পিট চাপড়ানিও পাচ্ছেন তিনি। যদিও তৃণমূলের(TMC) দাবি, নিজের এলাকা ও বাঁকুড়া জেলাজুড়ে এই ধরনের উস্কানি ছড়িয়ে অশান্তি ছড়াতে চাইছেন গেরুয়া শিবিরের ওই বিধায়ক।
ঠিক কী বলেছেন অমরনাথ? শুক্রবার সন্ধ্যায় নিজ বিধানসভাকেন্দ্র ওন্দায় এক সভায় অমরনাথ বলেন, ‘কেউ কারও কাছ থেকে টাকা নিয়েছে চাকরি দেবেন বলে, কেউ টাকা নিয়েছেন ঘর পাইয়ে দেবেন বলে। যাঁরা টাকা নিয়েছেন, তাঁদের টুঁটি চেপে ধরুন। টাকাটা আদায় করুন। না হলে গয়ারাম নেতারা পালিয়ে যাবে। বাইরে জায়গা কেনা হয়ে গিয়েছে।’ অমরনাথের এই বক্তব্য নিয়েই এখন বড়সড় বিতর্ক বেঁধেছে। প্রায় সবাই একবাক্যে মানছেন যে অমরনাথ যেভাবে ‘টুঁটিটা চিপে ধরুন’ বলেছেন তা কার্যত খুনের নির্দেশ, উস্কানি ও হুমকি। এর জেরে তাঁর বিরুদ্ধে অনায়াসে এফআইআর দায়ের করতে পারে পুলিশ। সেক্ষেত্রে আদালতেও মামলা দায়ের হতে পারে। যদিও অমরনাথ নিজে তা মানছেন না। তাঁর দাবি, শুধুমাত্র দুর্নীতিগ্রস্থ তৃণমূল নেতাদের শায়েস্তা করার জন্য তিনি ওই বার্তা দিয়েছেন। চুরি করার জন্য নেতারা কিছু মানুষকে ব্যবহার করছেন। তাঁদের সাবধান করেছেন তিনি। কিন্তু তৃণমূল তা৬র সঙ্গে একমত নয়। একমত নয় বিজেপিরও কিছু নেতা। তাঁদের অভিমত মুখ ফস্কে গুরুতর কথা বলে ফেলেছেন ওন্দার বিধায়ক।
এই প্রসঙ্গে তৃণমূল নেতা তথা রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী শ্যামল সাঁতরা জানিয়েছেন, ‘কুরুচিকর মন্তব্য করে পরিবেশ অশান্ত করার চেষ্টা করছেন ওন্দার বিজেপি বিধায়ক। ওঁর বক্তব্যের জন্য যদি এলাকায় কোনও অশান্তি হয়ে থাকে, তাহলে তার দায় ওঁকে নিতে হবে। বিরোধী দলের বিধায়ক বিভিন্ন রকম কথা বলে মানুষের দৃষ্টি আকর্ষণ করার চেষ্টা করছেন।’ তবে অমরনাথ শাখার দাবি, তিনি শুধু মানুষকে আশ্বস্ত করেছেন। তাঁর বক্তব্য, ‘আমি যা বলেছি তাতে উস্কানির কোনও আঁচ নেই। শাসক দলের নেতারা চুরি করেছেন, তোলা তুলেছেন, সে কথাই বলতে চেয়েছি। অশান্তি হওয়ার মতো কিছু বলিনি। আমি শুধু বলেছি, এখন টাকা না নিতে পারলে নেতারা বাইরে চলে যাবেন।’