নিজস্ব প্রতিনিধি, উত্তর দিনাজপুর: যন্ত্রচালিত ভ্যান চালিয়েই কোনও রকমে চলে সংসার। এরমধ্য়েই মাঝেমধ্যে লটারি কাটতেন ভ্য়ানচালক দীপক দাস। মঙ্গলবার মাত্র ৬০ টাকা খরচ করে কিনেছিলেন কয়েকটি লটারির টিকিট। আর রাতারাতি তাতেই কোটিপতি হয়ে গেলেন দীপকবাবু। রায়গঞ্জের বড়ুয়া গ্রামের বাসিন্দা দীপক দাস বাড়িতে স্ত্রী ও চার কন্যার সঙ্গে থাকতেন। প্রতিদিনের মতো, মঙ্গলবারও ভুটভুটি ভ্যান নিয়ে বাড়ি থেকে বেড়িয়েছিলেন তিনি। সেদিন দুপুরেই রায়গঞ্জ শহরের অশোকপল্লী এলাকা থেকে কয়েকটা লটারির টিকিট কেটে ছিলেন। তাঁর আশা ছিল অন্যান্য বারের মতোই পাঁচ-ছয়শো টাকাই বাধবে। কিন্তু সেদিন যে কপালে ছিল জ্যাকপট, সেটা ছিল তাঁর কল্পনার অতীত। লটারির একটি টিকিটেই তিনি হয়ে গেলেন রাতারাতি কোটিপতি।
প্রায়ই লটারির টিকিট কাটলেও বেশি টাকা পাননি ওই ভ্যানচালক। আশাও করেননি কোনও দিন প্রথম পুরস্কার পাবেন। তাঁর কথায়, দেড় বছর ধরে টিকিট কাটি। ৫০০-৬০০ টাকা পেয়েছিল বেশ কয়েক বার। হাজার টাকাও মিলেছিল। কিন্তু মঙ্গলবার যে তার ভাগ্যলক্ষ্মী এতটা প্রসন্ন হবেন, তা আমি ভাবতেও পারিনি। এবার চার মেয়ের ধুমধাম করে বিয়ে দিতে পারবো। তিনি আরও জানিয়েছেন, একটা পাকা বাড়ির যে স্বপ্ন দেখতাম এবার তা পূরণ হবে। মঙ্গলবার রাতেই রায়গঞ্জ শহরে জানাজানি হয়ে যায় ভ্যানচালক দীপক কোটিপতি হয়েছেন। আর তার পরই ভিড় বাড়তে থাকে তাঁর বাড়ির সামনে। ফলে বাধ্য হয়েই তিনি রায়গঞ্জ থানায় হাজির হন নিরাপত্তা চেয়ে। রাতেই পুলিশ তাঁকে বাড়িতে পৌঁছে দেয় এবং নিরাপত্তার ব্য়বস্থা করে। তবে সাধারণ দুঃস্থ ভ্যান আজ চোখের সামনে কোটিপতি হয়েছেন। যা দেখে কিছুটা অবাক হলেও অনন্দিত প্রতিবেশীরা।