নিজস্ব প্রতিনিধি: বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে এক যুবকের মৃত্যুর(Youth Death) ঘটনায় রবি সকালে উত্তাল হয়ে উঠল হুগলি(Hooghly) জেলার সদর মহকুমার পাণ্ডুয়া(Pandua) থানার তালারপার গ্রাম। এদিন সকালে একটি মোবাইল টাওয়ারের ধারে রাজু পাত্র(২৫) নামে এক যুবকের দেহ পড়ে থাকতে দেখা যায়। তাঁর সারা শরীর পুড়ে কার্যত কালো হয়ে গিয়েছিল। প্রাথমিক ভাবে পুলিশের অনুমান শনিবার রাতের বৃষ্টিতে স্থানীয় বিবেকানন্দ যুব সংঘ ক্লাবের পাশে থাকা মোবাইল টাওয়ারের আর্থিং নষ্ট হয়ে যায় ও তা শর্টসার্কিট হয়ে পড়ে। সম্ভবত নিজের অজান্তেই সেই তারে হাত দিয়ে ফেলে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হন রাজু। তার জেরেই মৃত্যু। যদিও গ্রামবাসীরা সেই দাবি মেনে নিতে চাননি। তাঁদের দাবি রাজুকে কেউ অন্য কোথাও খুন করে এখানে এনে ফেলে দিয়ে গিয়েছে। আর তাই পুলিশ(Police) যখন রাজুর দেহ তুলতে সেখানে যায় তখন গ্রামবাসীরা তাঁর দেহ তুলতে বাধা দেয়। যদিও পুলিশ পরে গ্রামবাসীদের বুঝিয়েসুঝিয়ে সেই দেহ উদ্ধার করে তা ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালে পাঠাতে সক্ষম হয়।
জানা গিয়েছে, রাজু পাত্র এক সময় গুজরাতের সুরাতে জুয়েলারির কাজ করত। কিন্তু লকডাউনের জেরে সেই কাজ সে হারিয়ে ফেলেছিল। পরে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলেও সে আর সুরাতে ফেরত যায়নি কাজের জন্য। প্রতিদিন রাতে সে বিবেকানন্দ যুব সংঘ ক্লাবেই শুয়ে ঘুমাতো। শনিবারও সে রাতে বাড়িতে খাওয়া দাওয়ার পর ক্লাবে ঘুমাতে চলে আসে। সেখানেই রাতে সে কোনও কারণে বাইরে বেড়িয়েছিল এবং তখনই কোনও কারণে সে ক্লাবের পাশে থাকা মোবাইল টাওয়ারের আর্থিং তারে হাত দিয়ে দেওয়ায় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়। রাতে তা কারোর চোখে না পড়ায় তাঁকে বাঁচাতেও কেউ এগিয়ে আসতে পারেনি। এদিন গ্রামবাসীদের মূলত ক্ষোভ ছিল ওই মোবাইল টাওয়ারের রক্ষণাবেক্ষণে থাকা সংস্থার বিরুদ্ধে। তাঁদের দাবি, মোবাইল টাওয়ারেটির ঠিক মত রক্ষণাবেক্ষণ হয় না। মাঝেমধ্যেই তা শর্টসার্কিট হয়ে যায়। টাওয়ার সংস্থাকে বললেও তা তাঁরা শোনেনি। তাঁদের গাফিলতিতে মরতে হয়েছে রাজুকে।