নিজস্ব প্রতিনিধি: দু’সুপ্তাহ আগে ডায়মণ্ড-হারবারের করোনা পরিস্থিতি নিয়ে জেলাশাসক ও প্রশাসনের কর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। টার্গেট দেন করোনার সংক্রমণ নীচে নামাতেই হবে তাঁর সংসদীয় এলাকায়। অভিষেক নিজেও বলেন, ‘ব্যক্তিগত ভাবে মনে করি আগামী দু’মাস সবকিছু বন্ধ থাকুক। খেলা, মেলা কিংবা ভোট ও ধর্মীয় জমায়েত।’ তারপরেই স্বামী বিবেকানন্দের জন্মদিনে ডায়মন্ডহারবারের সংসদীয় এলাকায় ৩০,০০০ করোনা টেস্টের টার্গেট বেঁধে দেন অভিষেক। যা ছাপিয়ে যায় ৫০, হাজারের গণ্ডি। তাতে বেজায় খুশি হন সাংসদ অভিষেক। এবার নিজের সংসদীয় এলাকায় করোনার সংক্রমণের গ্রাফ নিম্নমুখী হওয়ায় খুশি সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক।
সেই বিষয়ে আপ্লুত হয়ে ফেসবুক পোস্টে অভিষেক জানিয়েছেন, ‘ফের করে দেখাল ডায়মন্ডহারবার। গঙ্গাসাগর এবং কলকাতার নিকটবর্তী হয়েও ডায়মন্ডহারবারে সংক্রমণের হার ৩ শতাংশের নীচেই রয়েছে। এই যুদ্ধে লাগাতার সমর্থন এবং সহযোগিতার জন্য ডায়মন্ডহারবারের মানুষকে ধন্যবাদ।’ নিজের সংসদীয় এলাকায় করোনার সংক্রমণের গ্রাফ নীচে নামানোই টার্গেট অভিষেকের। সেই বার্তাই দেন দক্ষিণ ২৪ পরগনার জেলাশাসক পি উল্গানাথনকে। তারপরেই সংসদীয় এলাকায় চালু হয় ‘দুয়ারে ভ্যাকসিন’, ‘ডক্টরস অন হুইল’-এর মত পরিষেবা। যার ফল ধীরে ধীরে পাচ্ছে ডায়মন্ডহারবার তা নিয়েই টুইট করেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।
ডায়মন্ডহারবার মডেলে বেশ কিছু নিয়ম লাগু করেন সাংসদ অভিষেক, যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য বাজারের মতো ভিড় জায়গায় যাওয়ার ক্ষেত্রে ক্রেতা-বিক্রেতা, উভয় পক্ষেরই দু’টি করে মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক। প্রত্যেক ওয়ার্ড এবং পঞ্চায়েত এলাকায় কন্ট্রোল রুম, ডক্টরস অন হুইলসের মতো একাধিক পদক্ষেপ। সেই সঙ্গে মাইকিং করে প্রচার। দৈনিক করোনা পরীক্ষায় জোর। আর এই কারণেই ওই সংসদীয় এলাকায় হু হু করে নামছে করোনার সংক্রমণ।