এই মুহূর্তে

WEB Ad Valentine 3

WEB Ad_Valentine

‘রায়গঞ্জের সাংসদ জবাব পাবেন দক্ষিণ কলকাতায়’, দেবশ্রীকে আক্রমণ অভিষেকের

Courtesy - Facebook and Google

নিজস্ব প্রতিনিধি: দেশের বুকে শুরু হয়ে গিয়েছে অষ্টাদশ লোকসভার নির্বাচন(Loksabha Election 2024)। গতকালই দেশের ১০২টি লোকসভা কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ করা হয়েছে। আগামী ২৬ এপ্রিল রয়েছে দ্বিতীয় দফার নির্বাচন। সেদিন দেশের মোট ৮৯টি লোকসভা কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ করা হবে। ওই ৮৯টি কেন্দ্রের মধ্যে রয়েছে বাংলার ৩টি লোকসভা কেন্দ্রও। এই ৩ কেন্দ্র হল – দার্জিলিং, রায়গঞ্জ(Raiganj Constituency) ও বালুরঘাট। এই ৩ কেন্দ্রে আগামী ২৪ এপ্রিল বিকাল ৫টায় প্রচারের সময়সীমা শেষ হয়ে যাচ্ছে। ঠিক তার ৫ দিন আগে রায়গঞ্জ লোকসভা কেন্দ্রের গোয়ালপোখরের(Goyalpokhar) লোধনে প্রচারে গেলেন রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসের(TMC) সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষক বন্দ্যোপাধ্যায়(Abhishek Banerjee)। উত্তরবঙ্গের উত্তর দিনাজপুর জেলার রায়গঞ্জ লোকসভা কেন্দ্রে তৃণমূল প্রার্থী করেছে কৃষ্ণ কল্যাণীকে(Krishna Kalyani)। এদিন তাঁর সমর্থনেই সভা করেন অভিষেক। আর সেই সভা থেকেই তিনি নিশানা বানিয়েছেন সেখানকার বিজেপি সাংসদ(BJP MP) দেবশ্রী চৌধুরীকে(Dedasree Chowdhury)। জানিয়েছেন, ‘রায়গঞ্জের সাংসদ জবাব পাবেন দক্ষিণ কলকাতায়’। 

উনিশের লোকসভা নির্বাচনে উত্তরবঙ্গের ৮টি লোকসভা কেন্দ্রের মধ্যে ৭টি কেন্দ্রেই জয়ী হয় বিজেপি। ১টি কেন্দ্রে জেতে কংগ্রেস। সেই নির্বাচনে খালি হাতেই ফিরতে হয় তৃণমূলকে। বিজেপি ওই নির্বাচনে উত্তরের যে ৭টি কেন্দ্রে জিতেছিল, তার মধ্যে ছিল রায়গঞ্জও। সেখানে জয়ী হয়েছিলেন দেবশ্রী চৌধুরী। তাঁকে কেন্দ্রে প্রতিমন্ত্রীও করা হয়। কিন্তু একুশের বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূল উত্তরবঙ্গে ঘুরে দাঁড়ায়। উত্তর দিনাজপুরের ৯টি লোকসভা কেন্দ্রের মধ্যে ৭টিতেই জয়ী হয় তৃণমূল। বিজেপি জয়ী হয় রায়গঞ্জ ও কালিয়াগঞ্জে। রায়গঞ্জে জিতেছিলেবন কৃষ্ণ কল্যানী। পরে আবার তিনি চলে আসেন তৃণমূলে। আর এবার তো তিনি বিধায়ক পদ থেকে ইস্তফা দিয়ে তৃণমূলের প্রার্থী হয়েছে রায়গঞ্জ লোকসভা কেন্দ্রে অবতীর্ণ হয়েছেন ভোট যুদ্ধে। এদিন তাঁর সমর্থনেই গোয়ালপোখরে সভা করেন অভিষেক। একুশের ভোটে উত্তর দিনাজপুর জেলায় খারাপ ফল হওয়ায় দেবশ্রীকে সরিয়ে দেওয়া হয় কেন্দ্রের মন্ত্রীত্ব থেকে। আর এবার তো দেবশ্রীকে রায়গঞ্জ থেকেই সরিয়ে দিয়েছে বিজেপি। পরিবর্তে সেখানে প্রার্থী করা হয়েছে কার্তিক পালকে। আর দেবশ্রীকে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে দক্ষিণ কলকাতায় পদ্মপ্রার্থী করে।

সেই প্রসঙ্গেই এদিন দেবশ্রীকে নিশানা বানিয়েছেন অভিষেক। তিনি বলেন, ‘বিজেপির স্থানীয় সাংসদ দু’বছর কেন্দ্রের মন্ত্রী ছিলেন। একটাও প্রকল্প কি এনেছিলেন? এখানকার বিজেপি সাংসদ এবার দক্ষিণ কলকাতায় গিয়েছেন লড়তে। এখানকার সাধারণ মানুষ, এমনকি বিজেপি নেতারাও তাঁকে দেখেননি। তিনি এ বার দক্ষিণ কলকাতায় কড়া জবাব পাবেন। গত পাঁচ বছরে বিজেপি, সিপিএম, কংগ্রেসের কেউ এসে কি জিজ্ঞেস করেছিল, কিছু প্রয়োজন? খাবেন? অনেক লোক বাইরে আটকে ছিলেন লকডাউনে। তাঁদের ফিরিয়ে আনার জন্য কেউ কোনও পদক্ষেপ করেছিলেন? সাংসদ কিছু করেছিলেন? ২০১৯ সালে বিজেপির হাত মজবুত করেছিলেন মহম্মদ সেলিম আর দীপা দাশমুন্সি। ওরা যে ভাষা বোঝে, সেটাই বলুন। আপনারা দল ভাঙার রাজনীতি জানলে, তৃণমূলও জানে। কৃষ্ণ কল্যাণী বিজেপি ছেড়ে আসার পরেই ওর বাড়িতে আয়কর দফতরের হানা। দু’দিন ধরে চলেছিল। তা-ও তিনি নত হননি। লড়াই করেছেন। যে নিজের ভালবাসা নিয়ে এদের সঙ্গে লড়াই করে, তাঁদের জনতার প্রতিনিধি হওয়া উচিত কিনা, আপনারাই বলুন! তৃণমূল শুধু ঈশ্বর, আল্লার সামনে নত হয়। দিল্লির সামনে নয়। ২৬ তারিখ এদের জবাব দিন। বিজেপিকে শিক্ষা দিন।’

Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

প্রকাশিত হাই মাদ্রাসা-আলিম-ফাজিল পরীক্ষার ফল, ছেলেদের টেক্কা দিল মেয়েরা

‘বেশ  করেছে দাঁড়িয়েছে’, রাহুলের পাশে দাঁড়ালেন মমতা

প্রচণ্ড গরমে শিলিগুড়ির বেঙ্গল সাফারির পশুপাখিদের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা

যমজ ভাইয়ের ‘ডবল সাফল্য’! মাধ্যমিকে একই নম্বর পেয়ে তাক লাগাল দুই ছাত্র

চাকরিহারাদের পাশে দাঁড়িয়ে মোদিকে পাল্টা বিঁধলেন মমতা

মালদায় প্রচারে বেরিয়ে দেবের হেলিকপ্টারে লাগল আগুন

Advertisement
এক ঝলকে
Advertisement

জেলা ভিত্তিক সংবাদ

দার্জিলিং

কালিম্পং

জলপাইগুড়ি

আলিপুরদুয়ার

কোচবিহার

উত্তর দিনাজপুর

দক্ষিণ দিনাজপুর

মালদা

মুর্শিদাবাদ

নদিয়া

পূর্ব বর্ধমান

বীরভূম

পশ্চিম বর্ধমান

বাঁকুড়া

পুরুলিয়া

ঝাড়গ্রাম

পশ্চিম মেদিনীপুর

হুগলি

উত্তর চব্বিশ পরগনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

হাওড়া

পূর্ব মেদিনীপুর