নিজস্ব প্রতিনিধি: সন্দেশখালির ‘বেতাজ বাদশা’ শেখ শাহজাহানের গ্রেফতারি নিয়ে দুই কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাকে খোঁচা দিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। বুধবার বসিরহাটে ‘জন গর্জন সভা’য় তৃণমূল কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক ব্যঙ্গের সঙ্গে বলেন, ‘শেখ শাহজাহানকে ইডি, সিবিআই গ্রেফতার করেনি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পুলিশ করেছে। ইডি –সিবিআই কাঁচকলা করেছে।’ সন্দেশখালির ঘটনা নিয়ে নির্লজ্জ রাজনীতি চলছে বলেও অভিযোগ করেছেন তৃণমূলের সেকেন্ড ইন কম্যান্ড। তাঁর কথায়, ‘নারী নির্যাতন রোখা লক্ষ্য নয়। লক্ষ্য তৃণমূলের বিরুদ্ধে প্রচার করা।’
সন্দেশখালিকাণ্ডের পরে এদিনই প্রথম বসিরহাট মহকুমায় পা রেখেছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। আর প্রথমবার পা রেখেই ভাষণে সন্দেশখালির ঘটনা উত্থাপন করেছেন তিনি। ইডি-সিবিআইয়ের মতো ‘বিশ্বাসযোগ্যতা হারানো’ দুই কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার ভূমিকা নিয়ে ব্যঙ্গ করে তৃণমূলের সেকেন্ড ইন কম্যান্ড বলেন, ‘ইডি আর সিবিআইয়ের কাজ হল, রাজনৈতিক প্রভু বিজেপি নেতাদের কথা মতো চলা। তৃণমূল কংগ্রেসকে হেনস্থা করা। সুদীপ্ত সেনকে ইডি, সিবিআই গ্রেপ্তার করেনি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পুলিশ করেছে। শেখ শাহজাহানকেও রাজ্য পুলিশ গ্রেফতার করেছে। উত্তম সর্দার, শিবু হাজরাকে গ্রেফতারের পর ১৫ দিন হয়ে গিয়েছে। সিবিআই হেফাজতে নেওয়ার আবেদনই করেনি। আমি আজ বলার পরে ৪দিন পর হয়তো ওদের হেফাজতে চাইবে। নাটক করবে। বাংলার মানুষের বিরুদ্ধে অশুভ শক্তি কাজ করছে। ইডি-সিবিআই কাঁচকলা করেছে। যত ইডি-সিবিআই পাঠাবে লড়াই আরও তীব্রতর হবে। সন্দেশখালি নিয়ে অনেক রাজনীতি করেছে বিরোধীরা। তৃণমূলের পাশে মানুষ আছে, প্রমাণ আজকের সভা।’
তৃণমূল শীর্ষ নেতৃত্ব যে দলের কোনও জনপ্রতিনিধির দুর্নীতি কিংবা দাদাগিরি রেয়াত করবে না, এদিনের সভা থেকে সেই বার্তাও দিয়েছেন ঘাসফুল শিবিরের সেনাপতি। সাধারণ মানুষকে আশ্বস্ত করে তিনি বলেন, ‘আমি আপনাদের একটা কথা বলব, তৃণমূলের যে কোনও স্তরের, যে কোনও পঞ্চায়েত প্রতিনিধিদের বিরুদ্ধে কোনওরকম অভাব-অভিযোগ যদি পাই, রেয়াত করি না। শেখ শাহাজাহানকে সিবিআই-ইডি গ্রেফতার করেনি, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পুলিশ গ্রেফতার করেছে’।