নিজস্ব প্রতিনিধি: তীব্র গরম। তাই বেশি মশলাদার খাবারের ব্যবস্থা করা হয়নি তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের (ABHISHEK BANERJEE) জন্য। খবার ছিল হালকা। ময়নাগুড়িতে যার বাড়িতে খেলেন তিনি কোনও রাজনৈতিক দলের সদস্য নন। তিনি গৃহশিক্ষক। ডায়মন্ড হারবারের সাংসদ খেলেন তো অনেক কিছু। তবে স্পেশ্যাল ডিশ ছিল একটা। তা খেতে বড় ভালোবাসতেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী জ্যোতি বসু (JYOTI BASU)।
বাম নেতা এবং ডান নেতার রুচিকে মিলিয়ে দিল তিস্তা। থুড়ি, তিস্তার মাছ। বরোলি মাছ। জলপাইগুড়ি এলেই জ্যোতি বসু খেতে চাইতেন বরোলি মাছ। শনিবার ময়নাগুড়ির দোমহানি বাজারে গিয়ে অভিষেক কবজি ডুবিয়ে খেলেন সেই মাছ। পাতে ছিল ডাল, সবজি, পটল পোস্ত, আড়মাছ, মিষ্টি, টক দই। মাটির পাত্রগুলিতে সাজানো ছিল পদগুলি। ভাত ছিল মাটির থালার ওপরে কলাপাতায়। মাটিতে আসন পেতে বসে গৃহশিক্ষক জীবন রাউৎ-এর বাড়িতে খেলেন অভিষেক। রান্না করেছিলেন গৃহশিক্ষকের দু’ই পুত্র স্বপন ও রাজুর স্ত্রী জয়া এবং রুমা।
অভিষেক এদিন রাউৎ পরিবারের সকলের সঙ্গে বসে খেলেন। রসিয়ে খেলেন বরোলি মাছের ঝোল। দুপুরে রাজনৈতিক নেতার খাওয়া প্রসঙ্গে শিক্ষক জীবন বলেন, তিনি কোনও রাজনৈতিক দলের সদস্য নন। তবে অভিষেককে খাইয়ে আপ্লুত। বাঙালি যে খেতে ও খাওয়াতে ভালোবাসে।