এই মুহূর্তে

WEB Ad Valentine 3

WEB Ad_Valentine

আজ সিঙ্গুরে অভিষেকের বৈঠক, হুগলি জিততে দেবেন বার্তা

Courtesy - Facebook and Google

নিজস্ব প্রতিনিধি: সিঙ্গুর(Singur)। বাংলা তো বটেই, দেশের জমি আন্দোলনের প্রধান পীঠস্থান। এই সিঙ্গুরের জমি আন্দোলন যেমন বাংলার বুকে ৩৪ বছরে বাম অপশাসনের অবসান ঘটিয়ে দিয়েছিল, তেমনি তৃণমূল কংগ্রেসকে(TMC) বাংলার মসনদে নিয়ে এসেছিল। একইসঙ্গে এই আন্দোলনের হাত ধরেই বাংলার অগ্নিকন্যা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজ্যের বিরোধী দলনেত্রী থেকে মুখ্যমন্ত্রীর কুর্সিতে চলে আসেন। স্বাভাবিক ভাবেই সিঙ্গুর তাই আজও রাজ্য রাজনীতিতে ভীষণরকম ভাবে প্রাসঙ্গিক। তৃণমূলের কাছেও সিঙ্গুর তাই অতিব গুরুত্বপূর্ণ এক ঘাঁটি। ১৯৬৯ থেকে ১৯৯৬ সাল পর্যন্ত সিঙ্গুর বামেদের দখলে থাকলেও ২০০১ সাল থেকে সিঙ্গুর টানা তৃণমূলের দখলে রয়েছে। কিন্তু উনিশের লোকসভা নির্বাচনের সময়ে হুগলি লোকসভা(Hooghly Constituency) কেন্দ্র থেকে শুধু যে বিজেপি জয়ী হয়েছিল এমন নয়, সিঙ্গুর থেকেও সেই সময় বিজেপি ১৫ হাজার ভোটে লিড পেয়েছিল। একুশের ভোটে সিঙ্গুর বিধানসভা কেন্দ্র তৃণমূল ধরে রাখলেও, এবারের নির্বাচনে(Loksabha Election 2024) যাতে সিঙ্গুর থেকে বিজেপি কোনও ভাবেই লিড না পায় তার জন্য এদিন সেখানে বৈঠক করতে চলেছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়(Abhishek Banerjee)।

তৃণমূলের আন্দোলনের জেরে টাটারা সিঙ্গুর ছাড়তে বাধ্য হয়েছিলেন। সেই ইস্তক রাজ্যের বিরোধীরা তৃণমূলকে ‘শিল্পবিরোধী’ তকমা দিয়ে এসেছে। যদিও রাজ্যবাসী তৃণমূলের নীতিকেই সমর্থন করেছে এবং ২০১১’র সালের নির্বাচনের পরেও ২০১৬ এবং ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূলকে জিতিয়ে বাংলার ক্ষমতা তাঁদের হাতেই তুলে দিয়েছে। সুপ্রিম কোর্টও সিঙ্গুরের জমি অধিগ্রহণকে ‘অসাংবিধানিক’ আখ্যা দিয়ে অধিগৃহীত জমি অনিচ্ছুক কৃষকদের কাছে ফেরতের নির্দেশ দিয়েছিল যা রাজ্য সরকার অক্ষরে অক্ষরে পালন করেছে। কিন্তু সেই ফেরত পাওয়া জমি এখনও কার্যত অনাবাদী হয়ে পড়ে রয়েছে জমির উর্বরা শক্তি নষ্ট হয়ে যাওয়ায়। এই প্রেক্ষাপটেই ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে বাংলার মাটি থেকে বিজেপি ১৮টি আসনে নিজেদের প্রার্থীদের জেতাতে সক্ষম হয়। সেই ১৮টি আসনের মধ্যে ছিল হুগলি লোকসভা কেন্দ্রও। সেখান থেকে জয়ী হন টলি তারকা লকেট চট্টোপাধ্যায়। তিনি ৭৩ হাজারেরও বেশি ভোটে জিতেছিলেন। এর মধ্যে শুধু সিঙ্গুর থেকেই তিনি ১৫ হাজারের বেশি ভোটের লিড পেয়েছিলেন।

এবারে লকেট আবারও বিজেপির প্রার্থী হিসাবেই হুগলি লোকসভা কেন্দ্র থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তৃণমূল সেখানে প্রার্থী করেছে টলি নায়িকা রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। দুই নায়িকার লড়াইয়ের জন্য হুগলি লোকসভা কেন্দ্র এবার এমনিতেই বেশ নজরকাড়া হয়ে উঠেছে। একই সঙ্গে তৃণমূলের কাছে এই আসনের লড়াই এবার প্রেস্টিজ ফাইটও হয়ে উঠেছে। তৃণমূলে যেভাবেই হোক এই কেন্দ্র এবার পুনরুদ্ধার করতে চায়। কোন পথে হেঁটে সেই সাফল্য আসবে সেটাই ঠিক করতে এদিন বিকালে সিঙ্গুরে দলের নেতা-কর্মীদের সঙ্গে বৈঠক করতে চলেছেন রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এর আগে সিঙ্গুরে এসে এভাবে বৈঠক করেননি অভিষেক। সব থেকে বড় কথা এই বৈঠকের আগেই অভিষেকের অফিস থেকে একগুচ্ছ নথি তলব করা হয়েছে সিঙ্গুরের দলীয় নেতৃত্বের কাছ থেকে। সেখানে একেবারে পঞ্চায়েত স্তর পর্যন্ত দলের ভোট ও সমর্থনের খতিয়ান চাওয়া হয়েছে। বিরোধীদের বাস্তব অবস্থার তথ্যও দিতে বলা হয়েছে। এদিনের বৈঠকে হুগলি লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত দলের সমস্ত জেলাস্তরের নেতানেত্রীদের যেমন থাকতে বলা হয়েছে, তেমনি পঞ্চায়েত, পুরসভা ও জেলা পরিষদের নেতৃত্ব ও বিধায়কদেরও ডাকা হয়েছে।

Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

কোন্নগরে বৃদ্ধার মৃতদেহ আগলে বসে স্ত্রী-মেয়ে, এলাকায় ছড়াল দুর্গন্ধ

তিন দিন ধরে আত্মজার মৃতদেহ আগলে, অবশেষে বুধবার মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়লেন গর্ভধারিনী

তৃণমূল-কংগ্রেসের মধ্যে সংঘর্ষ, চলল গুলি ! ভোটের আগেই উত্তপ্ত খড়গ্রাম   

রায়গঞ্জে ভোঁতা হল ভিক্টর অস্ত্র, সংখ্যালঘুরা জোড়াফুলেই

‘চোরে চোরে মাসতুতো ভাই’, অধীরকে তোপ অভিষেকের

‘ইন্ডিয়া’র বড় গদ্দার উনি, সকালে বিজেপির পা ধরেন, বিকেলে সিপিএমের পা ধরেন’, আক্রমণ মমতার

Advertisement
এক ঝলকে
Advertisement

জেলা ভিত্তিক সংবাদ

দার্জিলিং

কালিম্পং

জলপাইগুড়ি

আলিপুরদুয়ার

কোচবিহার

উত্তর দিনাজপুর

দক্ষিণ দিনাজপুর

মালদা

মুর্শিদাবাদ

নদিয়া

পূর্ব বর্ধমান

বীরভূম

পশ্চিম বর্ধমান

বাঁকুড়া

পুরুলিয়া

ঝাড়গ্রাম

পশ্চিম মেদিনীপুর

হুগলি

উত্তর চব্বিশ পরগনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

হাওড়া

পূর্ব মেদিনীপুর