নিজস্ব প্রতিবেদক: কয়লা পাচার কাণ্ডের তদন্ত প্রসঙ্গে অভিষেক জানিয়েছিলেন, ইডি (ED) যা যা নথি চাইবে তা দিতে প্রস্তুত তিনি। আর তারপরেই হাজার পাতার নথি ইডি দফতরে পাঠিয়েছেন তৃণমূল সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক তথা ডায়মণ্ড হারবারের সাংসদ (MP)। তবে সমস্ত তথ্য তিনি পাঠিয়েছেন ইমেলের মাধ্যমে। প্রসঙ্গত, আগামী সপ্তাহেই সুপ্রিম কোর্টে হবে কয়লা পাচার কাণ্ডের শুনানি।
প্রসঙ্গত অভিষেক বলেছিলেন, ইডি- সিবিআইকে (CBI) কাজে লাগিয়ে আসলে তাঁকে হেনস্থা করা হচ্ছে। বলেন, অভিযোগ প্রমাণ করতে পারলে তিনি ফাঁসিরমঞ্চে উঠতেও রাজি। নিজের বক্তব্যে তিনি অনড় একথাও বলেন। কেন্দ্রীয় সংস্থা দিয়ে আসলে স্বার্থ চরিতার্থ করার চক্রান্ত চলছে, এই অভিযোগও করেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। একই অভিযোগ তোলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বলেছিলেন, কেন্দ্রীয় এজেন্সিকে ব্যবহার করে আসলে বিরোধীদের কণ্ঠরোধ করার চেষ্টা করা হচ্ছে কিন্তু বিজেপি শাসিত রাজ্যে কোনও কিছুর তদন্তে ইডি- সিবিআই-কে ডাকা হয় না। এই বিষয়ে সরব হতে বলে তিনি চিঠি দিয়েছেন দেশের সমস্ত বিরোধীদলের নেতৃত্বকে। শুধু তাই নয়, অবিজেপি শাসিত রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদেরও চিঠি দিয়েছিলেন তিনি। লক্ষ্য, বিরোধী জোট।
কয়লা পাচার তদন্তে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য, ইডি গত ২০ মার্চ জিজ্ঞাসাবাদ করেছিল অভিষেককে। সূত্রের খবর, তাঁকে প্রায় সাড়ে আটঘন্টা জেরা করা হয়েছিল। সেই সময় তাঁর কাছে চাওয়া হয় নথি। তিনি এপ্রসঙ্গে বলেছিলেন, কেন্দ্রের কাছে মাথা নত করবেন না তিনি। যা তথ্য চাওয়া হয়েছে, সবকিছু জোগাড় করে দেবেন তিনি। আর সেই সমস্ত তথ্য জমা দিলেন মঙ্গলবার।
জেরা করার ১৫ দিনের মাথায় তথ্য সমৃদ্ধ সমস্ত কাগজ তিনি ইডিকে পাঠান। ইডি সূত্রে জানা গিয়েছে, মোট হাজার পাতার তথ্য রয়েছে তাতে। তবে সমস্ত কাগজ জমা দেওয়া হয়েছে মেলের মাধ্যমে। এই সমস্ত কাগজের তথ্যের ওপর চোখ বোলাবে সিবিআই।
উল্লেখ্য, কয়লা কাণ্ডে নাম জড়িয়েছে অভিষেক ও তাঁর স্ত্রী রুজিরার। সিবিআই- এর এক্তিয়ারকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে আগেই শীর্ষ আদালতের শরণাপন্ন হয়েছিলেন ডায়মণ্ডহারবারের সাংসদ ও তাঁর স্ত্রী। তাঁদের আইনজীবী কপিল সিব্বল এদিন আদালতে প্রশ্ন তোলেন, কবে শুনানি হবে এই মামলার? তাঁর উত্তরে বিচারপতি এন ভি রমন জানান, আগামী সপ্তাহেই এজলাসে উঠবে এই মামলা।