নিজস্ব প্রতিনিধি: রাজ্যের এক স্কুলে আবারও উঠল শিক্ষকের বিরুদ্ধে মদ্যপ অবস্থায় স্কুলে আসার পাশাপাশি পড়ুয়াদের লাগামছাড়া মারধর করার অভিযোগ। কিছুদিন আগে এই ঘটনা ঘটেছিল হুগলি জেলার আরামবাগে। এবার এই ঘটনা ঘটতে দেখা গেল দক্ষিণ ২৪ পরগনা(South 24 Pargana) জেলার পাথরপ্রতিমা(Patharpratima) ব্লকে। আর তার জেরে আরও একবার প্রশ্নের মুখে পড়ে গেল রাজ্যের শিক্ষক সমাজ। কিছুদিন আগেই হুগলি জেলার আরামবাগের এক প্রাইমারি স্কুল উত্তাল হয়ে উঠেছিল স্কুলের প্রধান শিক্ষকের মদ্যপ অবস্থায় আসাকে ঘিরে। অভিভাবক ও স্থানীয় বাসিন্দারা এই ঘটনার প্রতিবাদে স্কুলে টানা দুদিন তালা ঝুলিয়ে রেখেছিলেন। এবার একইরকম ঘটনা ঘটল দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার পাথরপ্রতিমা ব্লকের উত্তর সুরেন্দ্রগঞ্জ অবৈতনিক প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। এই স্কুলেরই এক শিক্ষকের(Teacher) বিরুদ্ধে মদ্যপ অবস্থায় স্কুলে আসার অভিযোগ তুলে সরব হয়েছেন স্কুলের পড়ুয়া(Students) ও তাঁদের অভিভাবকরা।
আরও পড়ুন একের পর এক কেন্দ্রীয় দল, লাভ কী হচ্ছে, প্রশ্ন বঙ্গ বিজেপিতেই
ঠিক কী অভিযোগ ওই স্কুলের শিক্ষকের বিরুদ্ধে? স্কুল পড়ুয়াদের অভিভাবকদের অভিযোগ, ওই নেশাগ্রস্ত স্কুল শিক্ষক কখনও স্কুলের মধ্যে মদ্যপ অবস্থায় আসেন, আবার কখনও স্কুলের বাইরেও তাঁকে নেশাগ্রস্ত অবস্থায় দেখা যায়। সেই সঙ্গে চালান অকথ্য গালিগালাজ। এছাড়াও, মদ্যপ ব্যবস্থায় ছেলেমেয়েদের লাগামছাড়া মারধরের অভিযোগও তুলেছেন অভিভাবকরা। কার্যত সেই শিক্ষকের ভয়ে স্কুলে আসতেই চাইছে না পড়ুয়ারা। তাই অভিভাবকদের আবেদন, ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ যেন অবিলম্বে অন্যত্র ওই শিক্ষককে বদলি করে দেন। যাকে ঘিরে এই কাণ্ড সেই শিক্ষকের নাম অনুব্রত মিদ্দা। যদিও ওই অভিযুক্ত শিক্ষক জানিয়েছেন, ‘আমি মদ খাই না, কিন্তু গুটকা খাই।’ অভিভাবকদের অভিযোগ যে মিথ্যা নয় সেটা একরকম স্বীকারও করে নিয়েছেন ওই স্কুলের প্রধান শিক্ষক প্রবীর মোদক। তিনি জানিয়েছেন, ‘ওই শিক্ষক মাঝে মধ্যেই স্কুলে মদ খেয়ে আসতেন। ওনাকে বারণ করা হয়েছিল এই ধরনের ঘটনা ঘটাতে। তারপর এখনও মদ খান কিনা জানা নেই। তবে ওই শিক্ষকের বদলির দাবিতে অভিভাবকরা সরব হয়েছেন বলে কানে গিয়েছে।’
আরও পড়ুন মশারি খাটিয়ে চলছে কিনা আলুর চাষ! রহস্যটা কী…
অভিভাবকদের কী দাবি? উত্তর সুরেন্দ্রগঞ্জ অবৈতনিক প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পড়ুয়াদের অভিভাবকদের দাবি, কখনও কখনও ছাত্রছাত্রীদের ওই শিক্ষক এমনভাবে মারধর করেন যে তাদের আঙুলের নখ পর্যন্ত ভেঙে যায়। তার ভয়ে পড়ুয়ারা স্কুলে আসতেই চাইছে না। ওই শিক্ষককে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব অন্যত্র বদলি করে দেওয়া হোক। যদিও অভিযুক্ত শিক্ষকের দাবি, তাঁর বিরুদ্ধে সম্পূর্ণ মিথ্যা অভিযোগ আনছেন অভিভাবকরা। ঘটনার জেরে পাথরপ্রতিমা সার্কেলের এসআইএস শুভদীপ পান ওই অভিযোগের সত্যতা খতিয়ে দেখবেন বলে জানিয়েছেন।