নিজস্ব প্রতিনিধি ,মুর্শিদাবাদ: প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার দুর্নীতি নিয়ে যখন সরগরম রাজ্য, তখন কোনো অংশে পিছিয়ে নেই মুর্শিদাবাদ জেলাও। জেলার বিভিন্ন জায়গার পাশাপাশি এবার এই দুর্নীতির অভিযোগ উঠলো রানিনগর ব্লকের কালিনগর ১ নম্বর পঞ্চায়েতেও। শুক্রবার সকাল থেকে দুর্নীতির অভিযোগ তুলে ক্ষুব্ধ গ্রামবাসী জমায়েত হয় ওই গ্রাম পঞ্চায়েত ভবনের সামনে। তাদের অভিযোগ- ওই এলাকায়বেছে বেছে লোকজনদের নাম রয়েছে আবাস যোজনার সার্ভে লিস্টে। অন্যদিকে যারা প্রকৃত গরিব তাদের কারও নাম নেই।
পাশাপাশি এমনও অভিযোগ উঠে আসছে- যারা টাকা দিতে পেরেছে একমাত্র তাদেরকেই দেওয়া হচ্ছে ঘর। যখন সরকারি নিয়ম অনুসারে দরিদ্র সীমার নিচে বসবাসকারীদের ঘর পাওয়ার কথা তাহলে কেন এই দুর্নীতি চলছে এখানে। মূলত এই অভিযোগের ভিত্তিতে গ্রামবাসী একত্রিত হয়ে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেছে ওই পঞ্চায়েতের সামনে। অন্যদিকে ওই পঞ্চায়েতের অঞ্চল সভাপতি সাচ্চু মোল্লাকে এই বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে- গ্রামবাসীর অভিযোগ সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন বলে জানিয়েছেন তিনি। পুলিশ অফিসাররা খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে দীর্ঘক্ষণ ধরে গ্রামবাসীদের সঙ্গে আলোচনা করে সমাধানের রাস্তা বের করে
।
এরপর যে গ্রামবাসীরা সেখানে বিক্ষোভ দেখাছিলেন তারা শান্ত হয়ে ফিরে যায়। তবে গ্রামবাসীদের স্পষ্ট হুমকি নিরপেক্ষ আবাস যোজনার তালিকা তৈরি না হলে তার আগামী দিন বৃহৎ আন্দোলন শুরু করবে।অন্যদিকে হাট কালনা পঞ্চায়েতের মন্ডলপাড়া এলাকায় আবাস যোজনার একটিও ঘর আসেনি, একইসঙ্গে ঘর দেবে বলে কাট মানিও নিয়ে বসে রয়েছে অনেক গ্রামবাসীর কাছ থেকে। তাদের ঘর দেবে বলে, দীর্ঘদিন বাদে নামের তালিকার কোন লিস্ট না আসায় হাট কালনা পঞ্চায়েতে শুক্রবার দুপুরে তালা ঝুলিয়ে বিক্ষোভ গ্রামবাসীদের।
প্রধানের সাথেও বাগবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন গ্রামবাসীরা। ঘটনাস্থলে হাজির হয় কালনা এক নম্বর ব্লকের বিডিও সেবান্তি বিশ্বাস। ঘটনাস্থলে আসে কালনা থানা বিশাল পুলিশ বাহিনী। ঘটনায় ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ায়। গ্রামবাসীদের দাবি ছিল এই সমস্যার উপযুক্ত সমাধান না পেলে তালা খোলা হবে না। পঞ্চায়েত প্রধানও ওই এলাকায় ঘর না আসার বিষয়টিকে মেনে নিয়েছেন এদিন। পরে দীর্ঘ আলোচনার পরিস্থিতি শান্ত হয় । খুলে দেওয়া হয় তালা।