নিজস্ব প্রতিনিধি: উপনির্বাচনের আগে সাগরদিঘিতে (Sagardighi) কংগ্রেসের (Congress) যুবনেতার গ্রেফতারিকে (Arrest) কেন্দ্র করে ধুন্ধুমার কাণ্ড। শনিবার সকাল থেকে সাগরদিঘি থানা ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন বাম ও কংগ্রেসের কর্মী সমর্থকরা। বিক্ষোভে সামিল হন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি তথা বহরমপুরের সাংসদ অধীর চৌধুরিও।
কংগ্রেসের কর্মী সমর্থকদের দাবি, শুক্রবার গভীর রাতে সাগরদিঘির পাটকেলভাঙার গৌরীপুর এলাকা থেকে কংগ্রেস নেতা সাইদুর রহমানকে গ্রেফতার করে সাগরদিঘি থানার পুলিশ। সাইদুর রহমান কংগ্রেসের প্রাক্তন যুব সভাপতি। পুরনো একটি মামলায় তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে অভিযোগ হাত শিবিরের। শুক্রবার রাতে এই গ্রেফতারের প্রতিবাদে শনিবার সকাল থেকে সাগরদিঘি থানার সামনে জড়ো হতে থাকেন কংগ্রেসের কর্মী সমর্থকরা। তাঁদের সঙ্গ দেন বাম কর্মী ও সমর্থকরা। কংগ্রেস নেতার মুক্তির দাবিতে থানা ঘেরাও করে টানা বিক্ষোভ কর্মসূচি চালাতে থাকেন বাম ও কংগ্রেস কর্মী সমর্থকরা। বিক্ষোভে সামিল হন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর রঞ্জন চৌধুরিও। এদিন থানা ঘেরাও কর্মসূচিতে যোগ দিয়েছেন বাম-কংগ্রেস জোট প্রার্থী বাইরন বিশ্বাসও।
উল্লেখ্য আগামী ২৭ ফেব্রুয়ারি মুর্শিদাবাদের সাগরদিঘিতে উপনির্বাচন। রাজ্যের মন্ত্রী সুব্রত সাহার মৃত্যুর ফলে সাগরদিঘিতে উপনির্বাচন হচ্ছে। এই কেন্দ্রে তৃণমূল কংগ্রেসের তরফে প্রার্থী করা হয়েছে দেবাশিস বন্দ্যোপাধ্যায়কে। মুর্শিদাবাদের সাগরদিঘির বাড়ালা গ্রাম পঞ্চায়েতের সমশাবাদের বাসিন্দা তিনি। শনিবার সাগরদিঘিতে রোড শো করছেন রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। রবিবার প্রচারে আসার কথা রয়েছে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের। এই কেন্দ্রে তৃণমূল কংগ্রেস বিপুল ভোটে জয়ী হবে বলে আশাবাদী জোড়াফুল শিবিরের কর্মীরা।