এই মুহূর্তে

WEB Ad Valentine 3

WEB Ad_Valentine

সুর বদল অখিলের! মেনে নিলেন দলের প্রার্থী তালিকা

নিজস্ব প্রতিনিধি: পুরভোটের প্রার্থী তালিকা ঘিরে কিছুটা বেসুরে গেয়ে উঠেছিলেন তিনি। কিন্তু রাত পোহাতেই সেই সুর গেল মিলিয়ে। ফিরলেন তিনি পুরাতন মেজাজেই। জানিয়ে দিলেন দলের সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত। দলের নির্দেশ মেনে চলার পাশাপাশি দল যাদের প্রার্থী করেছে তাঁদের নিয়েই তিনি লড়বেন পুরভোটে। তিনি অখিল গিরি। রাজ্যের মৎস্যমন্ত্রী ও অধিকারীদের খাস তালুক পূর্ব মেদিনীপুর জেলার দলের অন্যতম সেনাপতি। জেলার কাঁথি ও এগরা পুরসভায় তাঁকেই দলের নির্বাচন কমিটির আহ্বায়ক করা হয়েছিল পুরনির্বাচনের জন্য। কিন্তু দুই শহরের জন্য যে প্রার্থীতালিকা তৃণমূল প্রকাশ করেছে তা নিয়ে কিছুটা হলেও অসন্তোষ ছড়িয়েছিল। তার জেরে গিরি নিজেই জানিয়েছিলেন তিনি দলের দেওয়া দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি চান। যদিও পরে তাঁর সঙ্গে কথা হয় দলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের। তারপরেই সুর বদল করেন গিরি।

পুরভোটের প্রার্থী তালিকা নিয়ে কাঁথিতে শুক্রবার রাতে অখিলবাবুর বাড়ির সামনে বিক্ষোভ দেখায় তৃণমূল কর্মীদের একাংশ। সেই বিক্ষোভের মূলে ছিল কাঁথি শহরের ৩টি ওয়ার্ডের প্রার্থীকে ঘিরে তৃণমূলকর্মীদের আপত্তি। কাঁথি শহরের ৭, ১০ ও ১১ নম্বর ওয়ার্ডে প্রার্থী করা হয়েছে যথাক্রমে অতনু গিরি, দিলীপকুমার মাইতি এবং তরুণকুমার বেরার। এই ৩জনই শুভেন্দু অধিকারীর অনুগামী হিসাবেই চিহ্নিত। এমনকি শুভেন্দু দলছাড়ার পরে তাঁরাও বিজেপিতে চলে গিয়েছিলেন। কিন্তু বিজেপি তাঁদের এবার টিকিট দিতে চাননি। তার জেরে ওই ৩জনই তৃণমূলে ফিরে আসেন ও পুরনির্বাচনের জন্য টিকিটও পেয়ে যান। এদের এখন দলের প্রার্থী হিসাবে মানতে পারছেন না ওই ৩ ওয়ার্ডের তৃণমূলকর্মীরা। এগরা শহরেও এইরকম ৩-৪টি ওয়ার্ডে শুভেন্দু ঘনিষ্ঠদের প্রার্থী করায় তা নিয়ে ক্ষোভ ছড়ায়। সেই ক্ষোভের জেরে শুক্রবার রাতে অখিলবাবু জানিয়েছিলন, ‘আমরা যে প্রার্থীতালিকা পাঠিয়েছিলাম, তা দল অনুমোদন দেয়নি, সেই কারণেই ক্ষোভ। প্রার্থীতালিকায় বিজেপির একজন-দুজন জায়গা পেয়েছেন, তাঁরা দাদার অনুগামী হিসেবে পরিচিত, এখনও বিজেপির সঙ্গে যোগাযোগ রাখে। আমি দলের তৈরি করা কাঁথি-এগরা নির্বাচনী কমিটির আহ্বায়ক। আমি তালিকা দেখে মর্মাহত। তাই ভেবেছি কনভেনার পদ ছেড়ে দেব।’

শনিবার সকালে তিনিই কিন্তু ভিন্ন সুরে কথা বলেছেন। জানিয়েছেন, ‘আমি যে তালিকা তৃণমূল নেতৃত্বের কাছে পাঠিয়েছিলাম, তার কপি আছে আমার কাছে। সব বাদ দিয়ে ‘দাদার অনুগামী’দের জায়গা দেওয়া হল কোন যুক্তিতে, তা জানি না। হয়তো আমার যোগ্যতা নেই প্রার্থী তালিকা তৈরি করার। তাই আমি দলের দেওয়া কাঁথি ও এগরা পুরসভা নির্বাচনে আহ্বায়কের পদ ছাড়তে চেয়েছিলাম। আমি সকালেই পার্থবাবুর সঙ্গে ফোনে কথা বলেছি। অন্তত পাঁচ থেকে ছয়টি প্রার্থী পরিবর্তন হওয়া দরকার বলে জানিয়েছি। তবে এ বিষয়ে উনি কোনও মন্তব্য করেননি। দলই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে। আমি জানিয়েছি, যাঁরা গত ৫-১০ বছর ধরে দলে সর্বত ভাবে আছেন, তাঁদের উপেক্ষা করে ভোটে লড়াই খুব শক্ত। এ বারের প্রার্থিতালিকায় এমন অনেকেই আছেন, যাঁরা ‘দাদার অনুগামী’ হয়ে বিজেপি-র জন্য কাজ করেছেন। তৃণমূলের পতাকা লাগাতে দেননি। অথচ গত দু’এক দিন আগে তাঁরা দলে এসে টিকিট পেয়ে গেলেন। এ নিয়ে সাধারণ মানুষের এবং এলাকাবাসীর ক্ষোভ রয়েছে। আমি এলাকার পরিস্থিতি নিয়ে পার্থবাবুকে বিস্তারিত জানিয়েছি। দেখা যাক, দল যা সিদ্ধান্ত নেবে সে ভাবেই কাজ হবে। আমি দলের অনুগত সৈনিক। তাই দায়িত্ব ছাড়ার কোনও প্রশ্ন নেই। দল যাঁদের প্রার্থী করেছে, আমি তাদের নিয়েই ভোটে লড়াই করব।’

Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

মাধ্যমিকের ফলপ্রকাশ ২ মে, উচ্চমাধ্যমিকের ৮ তারিখ

বেনজির কাণ্ড, বীরভূমে বিজেপির হয়ে মনোনয়ন জমা দুই প্রার্থীর

ম্যাচ ফিক্সিংয়ের মতো বিজেপি ‘অর্ডার ফিক্সিং’ করছে, তোপ অভিষেকের

অভিজিৎকে নিশানা বানিয়ে দেবাংশুকে বড় দায়িত্ব দিলেন মমতা

তমলুকে মমতার নিশানায় অভিজিৎ, বাদ পড়লেন না বিকাশও

ফের দুয়ারে ভোট, শান্তিপুর-ফুলিয়ার তাঁত শিল্পীরা হতাশার অন্ধকারেই দিন কাটাচ্ছেন

Advertisement
এক ঝলকে
Advertisement

জেলা ভিত্তিক সংবাদ

দার্জিলিং

কালিম্পং

জলপাইগুড়ি

আলিপুরদুয়ার

কোচবিহার

উত্তর দিনাজপুর

দক্ষিণ দিনাজপুর

মালদা

মুর্শিদাবাদ

নদিয়া

পূর্ব বর্ধমান

বীরভূম

পশ্চিম বর্ধমান

বাঁকুড়া

পুরুলিয়া

ঝাড়গ্রাম

পশ্চিম মেদিনীপুর

হুগলি

উত্তর চব্বিশ পরগনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

হাওড়া

পূর্ব মেদিনীপুর