নিজস্ব প্রতিনিধি: টানা ১২ দিন মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই করে অবশেষে হার মেনেছে ময়নাগুড়ির নাবালিকা নির্যাতিতা। সোমবার ওই নাবালিকার মৃত্যুর পর ফের এক নাবালিকাকে শ্লীলতাহানির অভিযোগ উঠল ময়নাগুড়িতে। স্থানীয় এক প্রতিবেশী বিশেষভাবে সক্ষম ওই নাবালিকাকে শ্লীলতাহানি করেছে বলে অভিযোগ। ইতিমধ্যে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
স্থানীয় সূত্রে খবর, সোমবার সন্ধ্যায় বিশেষভাবে সক্ষম ওই নাবালিকাকে বাড়িতে দীর্ঘক্ষণ দেখতে না পেয়ে পরিবারের লোকজন খোঁজাখুঁজি শুরু করে। স্থানীয় এক শিশু ওই নাবালিকার পরিবারকে জানায়, পাশের বাড়ির এক ব্যক্তি ওই নাবালিকাকে তার বাড়িতে নিয়ে গিয়েছে৷ এর পর স্থানীয় কয়েকজজন এবং পরিবারের লোকজন সেই ব্যক্তির বাড়িতে যান। তার বাড়িতে গিয়ে চড়াও হয় নাবালিকার পরিবারের লোক। বেশ কিছুক্ষণ ধরে ঘরের বন্ধ দরজা খুলতে বলে তারা। কিন্তু ওই ব্যক্তি দরজা খোলেনি বলে অভিযোগ। এর পর কোনওরকমে ঘরের বন্ধ দরজা খুলে পরিবারের লোকজন ও স্থানীয়রা দেখতে পান নিখোঁজ নাবালিকা ঘরের মধ্যে হাত-পা বাঁধা অবস্থায় পরে রয়েছে। আর পাশে বসে রয়েছে সেই ব্যক্তি। এর পর তড়িঘড়ি মেয়েটিকে উদ্ধার করেন তারা। একইসঙ্গে অভিযুক্ত ওই ব্যক্তিকে পাকড়াও করেন স্থানীয়রা। তাকে আটক করে রাখে। এর পর ময়নাগুড়ি থানার পুলিশ গিয়ে অভিযুক্ত ওই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করে। একইসঙ্গে এদিন নাবালিকাকে উদ্ধার করে তার শারীরিক পরীক্ষার জন্য জলপাইগুড়ি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে পাঠিয়েছে পুলিশ। অন্যদিকে, এই ঘটনা নিয়ে প্রতিবাদে সরব হয়েছে বিজেপি। বিজেপি মহিলা মোর্চার সদস্যরা নির্যাতিতা শিশুর মায়ের সঙ্গে কথা বলতে চাইলে পুলিশ তাঁদের কথা বলতে দেয়নি বলে অভিযোগ। বিশেষভাবে সক্ষম ওই নাবালিকাকে শ্লীলতাহানির ঘটনা নিয়ে জলপাইগুড়ির পুলিশ সুপার দেবর্ষি দত্ত জানান, নাবালিকাকে শ্লীলতাহানি করার অভিযোগ উঠেছে। এই ঘটনায় একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।