নিজস্ব প্রতিনিধি: ধারালো দা দিয়ে ঘুমন্ত স্ত্রীর গলা কেটে দেওয়ার অভিযোগ উঠল স্বামীর বিরুদ্ধে। শুক্রবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে পূর্ব বর্ধমান জেলার মঙ্গলকোটের সাগিরা গ্রামে। এমন ঘটনাকে কেন্দ্র করে তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে এলাকায়। অভিযুক্ত স্বামীকে আটক করার পাশাপাশি গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই মহিলার সঙ্গে তাঁর স্বামীর বেশ কিছুদিন ধরে অশান্তি চলছিল। সেই সাংসারিক ঝামেলা চলার মাঝে শুক্রবার রাতে এই ঘটনা ঘটে। স্থানীয়রা জানান, মৃত মহিলার নাম সন্তোষী মাঝি। ২৮ বছর বয়স তাঁর। অভিযুক্ত স্বামীর নাম তাপস মাঝি। পূর্ব বর্ধমান জেলার মঙ্গলকোট এলাকার সাগিরা গ্রামের বাসিন্দা তাঁরা। স্থানীয়দের দাবি, শুক্রবার রাতে যখন ওই মহিলা ঘুমাচ্ছিলেন সেই সময় তাঁর স্বামী দা দিয়ে আচমকা তাঁর গলায় কোপ দেয়। ঘটনাস্থলেই সন্তোষী মাঝির মৃত্যু হয়।
জানা গিয়েছে অভিযুক্ত তাপস মাঝি পেশায় মোটর গ্যারেজের কর্মী। বছর দশেক আগে তার সঙ্গে সন্তোষীর বিয়ে হয়। পুলিশ সূত্রে খবর, বিয়ের ৩ বছর পর থেকেই তাপসের মানসিক সমস্যা দেখা দেয়। নিহত বধূর কাকা মাধব দাস এই ঘটনা নিয়ে জানান,ওদের স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে কারণে-অকারণে ঝগড়া হত। ঘতনার দিন অর্থাৎ শুক্রবার রাতে আমরা জানতে পারি, দা দিয়ে আমাদের ভাইজির গলা কেটে খুন করেছে জামাই। বিষয়টি নিয়ে মঙ্গলকোট থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছ বলে মৃত মহিলার পরিবারের তরফে জানানো হয়েছে। অভিযোগ পেয়ে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। ইতিমধ্যে স্বামী তাপস মাঝিকে আটক করেছে তদন্তকারীরা। মানসিক সমস্যার কারণে নাকি অন্য কোনও কারণে খুন তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।