এই মুহূর্তে

WEB Ad Valentine 3

WEB Ad_Valentine

কেষ্ট’র ভাগ্নে রাজার বিরুদ্ধে উঠল ৪০ বিঘা জমি দখলের অভিযোগ

Courtesy - Google

নিজস্ব প্রতিনিধি: মামা আছে জেলা। ভাগ্নে আছে বাইরে। মামা আছে তিহাড়ে। ভাগ্নে আছে বোলপুরে। মামাছাড়া সেই ভাগ্নের বিরুদ্ধেই এবার উঠেছে ৪০ বিঘা জমি দখল করে তা প্লটে ভাগ করে বিক্রি করে দেওয়ার অভিযোগ। ঘটনাস্থল যথারীতি মামার নিজের শহর, মানে বোলপুর(Bolpur)। নজরে মামা মানে শ্রীকেষ্ট মহাশয়, যাকে তামাম বাংলা চেনে অনুব্রত মণ্ডল(Anubrata Mondol) নামে। বীরভূমের(Birbhum) জেলা তৃণমূল সভাপতি। আপাতত সকন্যা দিল্লির তিহাড় জেলে বন্দী। সেই কেষ্টমামার ভাগ্নে হল রাজা ঘোষ(Raja Ghosh)। তিনি আবার জেলার প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের প্রাক্তন সভাপতি। এখন তাঁর বিরুদ্ধেই উঠেছে ৪০ বিঘা জমি দখল করে তা বিক্রি করে দেওয়ার অভিযোগ। বোলপুর শহরের পাশ দিয়ে চলে যাওয়া বাইপাসের ধারে ওই ৪০ বিঘা জমি দখলের(Land Capturing) অভিযোগ উঠেছে রাজা সহ তাঁর শ্বশুর অনুপেন্দ্র রায় ওরফে বাবলা রায় সহ তাঁদের পরিবার পরিজনদের বিরুদ্ধে।

রাজা ও তাঁর শ্বশুর সহ তাঁদের পরিবারের দিকে জমি দখলের অভিযোগ তুলেছেন ওই জমির মালিক হিসাবে নিজেকে দাবি করা অমিত দাস। তাঁর দাবি, ‘বংশ পরম্পরা ওই জমি বাপ দাদুর সম্পত্তি। ১৯৬২ সালে ওই ৪০ বিঘা জমি কেনা হয়। ১৯৮৩ সাল পর্যন্ত খাজনা দেওয়া আছে। এতদিন জমি খালি অবস্থাতেই পড়ে ছিল। হটাৎ দেখছি প্লট করে করে দু একটি বাড়ি হচ্ছে। ভূমি ও ভূমি সংস্কার দফতরে খোঁজখবর নিতেই দেখছি সেই জমি রাঘব বোয়ালদের নামে স্থানান্তরিত হয়েছে। রাজা ঘোষ তাঁর শ্বশুর অনুপেন্দ্র রায়ের পরিজনেরা জমি হস্তান্তর করেছেন। ২০০২ সালে দলিল তৈরী করে একের পর এক প্লট বিক্রি হয়েছে। আমরা নিরুপায় এখন কোথায় যাব কিছুই বুঝতে পারছি না। প্রশাসনের দরজায় দরজায় ঘুরলেও কোনও সুরাহা মেলেনি।’ তবে রাজার দাবি, ওনার এই জমির সঙ্গে কোনও লেনদেন নেই। যা অভিযোগ তোলা হচ্ছে তা সবটাই মিথ্যা। তৃণমূলেরও দাবি, এই জমি লেনদেনের সঙ্গে কেষ্ট থুড়ি অনুব্রত মন্ডলেরও কোনও যোগ নেই। কেননা যে সময়ে জমির দলিল নকল হয়েছে সেটা ২০০২ সাল। তখন রাজ্যের ক্ষমতায় বামেরা ছিল।

তবে বোলপুর শহর ও তার আশেপাশের এলাকার বাসিন্দাদের দাবি, সোমনাথ চট্টোপাধ্যায় যখন বোলপুরের সাংসদ ছিলেন তখন থেকেই বোলপুরকে ঘিরে জমি দখলের সূত্রপাত হয়। শান্তিনিকেতনের কোপাই নদীতে সরকারি খাসজমি দখল করে অবৈধ নির্মাণ থেকে খোয়াই ধ্বংস করে কংক্রিটের নির্মাণ সেই সময় থেকেই শুরু। বিঘার পর বিঘা জমির ভুয়ো আরএস বের করে মিউটেশন করিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে দীর্ঘদিন ধরে। আসল কাগজ নিয়ে প্রশাসনের দরবারে ঘুরেও লাভ হচ্ছেন না, আসল জমির মালিকের। অস্বাভাবিক হারে বাড়ছে জাল মিউটেশনের ঘটনা। চাষযোগ্য অথবা ডাঙা জমির মালিকরা পথে বসছেন। নকল স্ট্যাম্প ব্যবহার করে ভূমি ও ভূমি সংস্কার দফতরের যোগসাজসে প্রযুক্তির সহায়তায় জমি হারাচ্ছেন আসল মালিকরা। পরিকল্পনা মাফিক বিঘার পর বিঘা জমির চরিত্র পরিবর্তন করে জমি হাতিয়ে নেওয়া হচ্ছে। সমস্যায় পড়ছেন আসল জমির মালিকরা।

Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

দুর্গাপুর এনআইটি ‘র দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রের আত্মহত্যা, গাফিলতির দায় মেনে পদত্যাগ ডিরেক্টরের

সীমান্তবর্তী শহর বসিরহাটে নির্বাচনের আগে জোর তল্লাশি পুলিশের

সন্দেশখালিতে সিবিআই রাতের অন্ধকারে বিদেশি পিস্তল লুকিয়ে রেখে এসেছে: অখিল গিরি

বিরোধীরা বদ্ধ পাগল হয়ে গেছে দাবি প্রসূনের, তাপ প্রবাহে সুস্থ থাকার টোটকা রথীনের

তীব্র দাবদাহ থেকে পশু পাখিদের বাঁচাতে শান্তিপুরে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের বিশেষ উদ্যোগ

তাপপ্রবাহে স্বস্তি পেতে ভাগীরথীতে বন্ধুদের সঙ্গে জলে নেমে তলিয়ে গেল মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী

Advertisement
এক ঝলকে
Advertisement

জেলা ভিত্তিক সংবাদ

দার্জিলিং

কালিম্পং

জলপাইগুড়ি

আলিপুরদুয়ার

কোচবিহার

উত্তর দিনাজপুর

দক্ষিণ দিনাজপুর

মালদা

মুর্শিদাবাদ

নদিয়া

পূর্ব বর্ধমান

বীরভূম

পশ্চিম বর্ধমান

বাঁকুড়া

পুরুলিয়া

ঝাড়গ্রাম

পশ্চিম মেদিনীপুর

হুগলি

উত্তর চব্বিশ পরগনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

হাওড়া

পূর্ব মেদিনীপুর