নিজস্ব প্রতিনিধি: সামনেই লোকসভার নির্বাচন(General Election 2024)। তার আগে বাড়িতে বাড়িতে প্রচারে নামছে মহিলা তৃণমূল কংগ্রেস(TMC)। বিজেপির IT Cell চালানোর জন্য ধর্ষকদের(Rapists) ভাড়া করা হচ্ছে, এই অভিযোগকে সামনে রেখেই এই প্রচার শুরু করতে চলেছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দল। শনিবার এক বিবৃতিতে একথা জানিয়েছেন মহিলা তৃণমূল কংগ্রেসের নেত্রী তথা রাজ্যের মন্ত্রী শশী পাঁজা(Sashi Panja)। এক্ষেত্রে তৃণমূলের হাতিয়ার হতে চলেছে বিলকিস বানোর মামলার ঘটনা এবং সাম্প্রতিককালে ঘটে যাওয়া বারাণসীর হিন্দু বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রীকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসের মধ্যেই তুলে নিয়ে গিয়ে বিজেপির IT Cell’র ৩ যুবকের গণধর্ষণ করার ঘটনা। তৃণমূলের অভিযোগ, বিজেপির(BJP) আইটি সেলের প্রধান অমিত মালব্য(Amit Malabya) দলের IT Cell চালানোর জন্য ধর্ষকদের ভাড়া করেছেন।
শশী এদিন জানিয়েছেন, ‘বিলকিস বানোর ধর্ষকদের সমর্থন জানিয়েছিল বিজেপি। সুপ্রিম কোর্ট আবারও তাদের জেলে ফেরত যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছে। যদিও তারা এখন ফেরার। আসলে এরা মেয়েদের প্রতিবিদ্বেষী মনোভাব পোষণ করে। সেকথাটাই আমরা মানুষের কাছে তুলে ধরব। এজন্য মহিলা তৃণমূল কংগ্রেসের সদস্যরা ডোর টু ডোর প্রচারে যাবেন। নারী ও ধর্ষণ সংক্রান্ত অপরাধের কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠেছে উত্তরপ্রদেশ। অপরাধীরা যখন বিজেপির নিজেদেরই লোক হয়, তখন অপরাধ ঢাকার চেষ্টা করা হয়। বিজেপির আইটি সেলের প্রধান অমিত মালব্য এখন নীরব কেন? এখন কেন তিনি টুইট করছেন না? অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে তাঁরা কী ব্যবস্থা নিয়েছে? দলের IT Cell চালানোর জন্য ধর্ষকদের ভাড়া করেছেন অমিত। উত্তরপ্রদেশের ঘটনা তাই প্রমাণ করে। বাংলায় এই জিনিস চলবে না। এবিষয়ে বাংলার বিজেপি নীরব কেন? তাঁকে কি সমর্থন জানান সুকান্ত মজুমদার, শুভেন্দু অধিকারীরা? তা না হলে তো অমিত মালব্যকে দল থেকে তাড়িয়ে দেওয়ার কথা। কই সেটা তো করা হয়নি।’
এর পাশাপাশি শশী জানিয়েছেন, আদতে ধর্ষকদের সমর্থন করে বিজেপি। গেরুয়া শিবির নারীবিদ্বেষী। মহিলাদের সম্মান করে না। বিজেপির IT Cell’ র প্রধান তথা বঙ্গ বিজেপির কো-ইনচার্জ অমিত মালব্য ধর্ষকদের চাকরি দিয়েছেন। অর্থাৎ যৌন হেনস্তায় অভিযুক্তদের রীতিমতো মদত দেওয়া হচ্ছে। সেই সব ধর্ষণকারীদের আশ্রয় দেওয়া নিয়ে এখনও পর্যন্ত কোনও মন্তব্যও করেননি অমিত মালব্য। কোনও পদক্ষেপও করা হয়নি। ধর্ষকদের নিয়োগ করেছেন অমিত মালব্য। অথচ এনিয়ে মুখে কুলুপ এঁটেছেন বঙ্গ বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদার এবং বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। আর কোনও মন্তব্য না করেই তাঁরা বুঝিয়ে দিয়েছেন যে মালব্যকেই সমর্থন করছেন তাঁরা। এই ‘ধর্ষক’ বিজেপির বিরুদ্ধে সাধারণ মানুষকে সচেতন করতে এবার বাড়ি বাড়ি গিয়ে প্রচার করা হবে। একদিকে যেমন উত্তরপ্রদেশের মহিলাদের পাশে দাঁড়িয়ে সোচ্চার হবেন ঘাসফুল শিবিরের নেতারা, তেমনই বিলকিস বানোর সঙ্গে বিজেপি সরকার যে অন্যায় করার চেষ্টা করেছিল, সেই বিষয়টিও তুলে ধরা হবে।