এই মুহূর্তে

WEB Ad Valentine 3

WEB Ad_Valentine

রাজবংশী ভোট উদ্বেগে রাখছে পদ্মশিবিরকে, ভাবাচ্ছেন অনন্ত মহারাজ

Courtesy - Google

নিজস্ব প্রতিনিধি: উনিশের লোকসভা নির্বাচনে উত্তরবঙ্গ থেকে বিজেপি(BJP) যে ৭টি আসন দখল করেছিল, তার নেপথ্যে বড় কারণ হিসাবে উঠে এসেছিল রাজবংশী সম্প্রদায়ের(Rajbangshi Community) মানুষের সমর্থন। সেই সমর্থনের দৌলতেই ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে উত্তরবঙ্গের কোচবিহার, জলপাইগুড়ি, রায়গঞ্জ, বালুরঘাট ও মালদা উত্তর লোকসভা কেন্দ্র চলে গিয়েছিল বিজেপির দখলে। দার্জিলিং ও আলিপুরদুয়ার লোকসভা কেন্দ্রও সেবার বিজেপির দখলে গিয়েছিল, কিন্তু তার পিছনে অন্য কারণ ছিল। কিন্তু একুশের ভোটের সময় থেকেই দেখা যাচ্ছে, রাজবংশীদের ভোট আর বিজেপি একক ভাবে পাচ্ছে না। বরঞ্চ তা আবার তৃণমূল(TMC) মুখী হয়েছে। এই আবহেই আগামিকাল দেশে অষ্টাদশ লোকসভা নির্বাচনের(Loksabha Election 2024) দ্বিতীয় দফার ভোটগ্রহণ করা হবে। আগামিকাল দেশের যে ৮৭টি লোকসভা কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ করা হবে তার মধ্যে থাকছে বাংলার দার্জিলিং, রায়গঞ্জ ও বালুরঘাট কেন্দ্র ৩টিও। এর আগে গত ১৯ এপ্রিলের প্রথম দফার ভোটে কোচবিহার ও জলপাইগুড়ি লোকসভা কেন্দ্রে রাজবংশী ভোট বিজেপির দিকে যাইনি বলেই অনেকে মনে করছেন। আগামিকাল যে ৩ কেন্দ্রে ভোট হবে সেখানে রাজবংশী ভোট বিজেপি পাবে কিনা তা নিয়ে এখন রীতিমত উদ্বিগ্ন পদ্মনেতারা।

চিন্তা কোথায়? রাজবংশীরা নানা ভাগে ভাগ হয়ে গিয়েছে। দ্য গ্রেটার কোচবিহার পিপলস অ্যাসোসিয়েশন বা GCPA দুই ভাগে বিভক্ত। একটি অংশ বংশীবদন বর্মনপন্থী এবং অপর অংশ অনন্ত মহারাজপন্থী। আবার অপর একটি অংশ কামতাপুরী প্রোগ্রেসিভ পার্টি বা KPP-তে রয়েছে। উনিশের ভোটে এই ৩ অংশই দুইহাত তুলে সমর্থন জানিয়েছিল বিজেপিকে। তাই সেবার কোচবিহার, জলপাইগুড়ি, রায়গঞ্জ, বালুরঘাট, মালদা উত্তর জিততে বিজেপির কোনও অসুবিধা হয়নি। কিন্তু একুশের বিধানসভার ভোটে বংশীবদন বর্মনপন্থীরা আর বিজেপিকে সমর্থন জানাননি। আর এবার তো সেই অংশটি ছাড়াও KPP-ও জানিয়ে দিয়েছে তাঁরা বিজেপিকে নয়, তৃণমূলকে সমর্থন জানাবে। পদ্মশিবির রাজবংশী ভোট ধরে রাখতে অনন্ত মহারাজকে রাজ্যসভার সাংসদ করে পাঠালেও তিনি এখন পদ্মশিবিরে কার্যত ব্রাত্য অবস্থায় পড়ে আছেন। প্রথম দফার ভোটে তাঁর অনুগামীরা বিজেপিকে ভোট দেয়নি বলেই পদ্মশিবিরে নেতাদের অনুমান। আগামিকালও এই অংশটি বিজেপিকে ভোট দেবে কিনা তা নিয়ে রীতিমত সন্দিগ্ধ তাঁরা। সব থেকে বড় কথা খোদ অনন্ত মহারাজ(Ananta Maharaj) এবার বিজেপি কোনও প্রার্থীর হয়ে ভোট প্রচারে না নামায় রাজবংশী ভোটের ছিঁটেফোঁটাও আর এবার বিজেপি পাবে কিনা তা নিয়ে প্রশ্ন উঠে গিয়েছে খোদ পদ্মশিবিরেই।

এমতাবস্থায় অনন্তর অনুগামীদের দাবি, ‘মহারাজ কোনও নির্দেশ দেননি। আমরা কোন দলকে ভোট দেব সেটা আমরাই ঠিক করে নেব।’ গেরুয়া শিবিরের প্রতি অনন্ত ক্ষুব্ধ থাকায় তাঁর অনুগামীরা বিজেপিকে ভোট দেবেন কিনা তা নিয়ে প্রশ্ন থাকছেই। বিজেপি নেতৃত্বর প্রতি অনন্তর ক্ষোভ ভোট বাক্সে পড়তে পারে বলে মনে করছেন মহারাজের অনুগামীরা। এবিষয়ে কী বলছেন খোদ অনন্ত মহারাজ? তাঁর মন্তব্য, ‘সবাইকে বিজেপিকে ভোট দেওয়ার অনুরাধ করেছি। বাকিটা জনতার হাতে। তাঁরা যেটা ভাববেন, সেটাই করবেন।’ আর এখানেই প্রশ্ন, তাহলে কি পক্ষান্তরে নিজ অনুগামীদের বিজেপি থেকে মুখ ঘুরিয়ে নিতেই বলছেন মহারাজ! কার্যত বিজেপির প্রার্থী তালিকা ঘোষণার পর থেকেই বেসুরো হয়েছেন অনন্ত। প্রধানমন্ত্রীর সভায় এবং নিশীথ প্রামাণিকের মনোনয়ন দাখিলের সময় অনন্তকে দেখা গেলেও তিনি যে অখুশি, তা স্পষ্ট হয়েছে। উত্তরে বিজেপি প্রার্থীদের সমর্থনে তাঁর অনুগামীরাও প্রচারে সেভাবে অংশ নেননি। অনন্তও আলাদা করে বিজেপি প্রার্থীদের হয়ে প্রচার করেননি। ওয়াকিবহাল মহলের ধারণা, ভোট-ময়দানে অনন্ত না থাকায় দ্বিতীয় ও তৃতীয় দফায় উত্তরবঙ্গের বাকি আসনগুলিতে বেকায়দায় পড়তে পারে বিজেপি। কারণ, উত্তরবঙ্গের দার্জিলিং, দুই দিনাজপুরের রায়গঞ্জ, বালুরঘাট এবং মালদা উত্তরে রাজবংশী ভোটার অনেক।

দার্জিলিং আসনের শিলিগুড়ি মহকুমা এলাকায় মাটিগাড়া-নকশালবাড়ি বিধানসভা, খড়িবাড়ি বিধানসভায় অনন্ত মহারাজের ভক্ত ও অনুগামীর সংখ্যা যথেষ্ট। রায়গঞ্জ আসনের করণদিঘি, রায়গঞ্জ, হেমতাবাদ, কালিয়াগঞ্জ বিধানসভায় রাজবংশী ভোট গুরুত্বপূর্ণ। এই ভোটব্যাঙ্ক নিজের দখলে রাখতে জোর প্রচার চালিয়েছে তৃণমূল ও বিজেপি। অনন্ত কিছুদিন আগে দুই দিনাজপুরে তাঁর অনুগামীদের নিয়ে আলাদা সভা করেছেন। সেখানে গিয়ে বিজেপি নেতৃত্বের ওপর ক্ষোভ উগরে দিয়েছিলেন। পৃথক রাজ্য বা কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের দাবি থেকে অনন্ত যে সরে আসেননি, তা কয়েক সপ্তাহ আগেও স্পষ্ট হয়েছিল। বালুরঘাট লোকসভা কেন্দ্রের কুশমণ্ডি, তপনেও রাজবংশী ভোট কম নেই। দক্ষিণ দিনাজপুর জেলায় তফসিলি জাতি, উপজাতি মিলিয়ে প্রায় ৩০ শতাংশ ভোটার। মালদহ উত্তর আসনেও কয়েকটি ব্লকে রাজবংশী ভোটারদের আধিক্য। এই ভোট গত লোকসভায় বিজেপির দিকে ছিল। উত্তরের রাজবংশী ভোট ধরে রাখাই বিজেপির কাছে এবার কঠিন চ্যালেঞ্জ।

Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

শান্তিপুরে অবসরপ্রাপ্ত বৃদ্ধের রহস্য মৃত্যু ঘিরে চাঞ্চল্য

শুভেন্দু অধিকারী ও অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের নামে এফআইআর দায়ের তমলুক থানায়

ঝাড়গ্রাম লোকসভা আসনে সিপিএমের উত্থানে সংকটে বিজেপি

স্ত্রী চলে যাওয়ার অভিমানে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মঘাতী স্বামী

ঝাড়গ্রামে ডোবাতে পড়ে যাওয়া হাতিকে উদ্ধারে ব্যর্থ বন দফতর ,অবশেষে মৃত্যু

দু চোখ অন্ধ থাকলেও মাধ্যমিক পরীক্ষায় তাক লাগানো ফল এক জন্মান্ধ মেয়ের

Advertisement
এক ঝলকে
Advertisement

জেলা ভিত্তিক সংবাদ

দার্জিলিং

কালিম্পং

জলপাইগুড়ি

আলিপুরদুয়ার

কোচবিহার

উত্তর দিনাজপুর

দক্ষিণ দিনাজপুর

মালদা

মুর্শিদাবাদ

নদিয়া

পূর্ব বর্ধমান

বীরভূম

পশ্চিম বর্ধমান

বাঁকুড়া

পুরুলিয়া

ঝাড়গ্রাম

পশ্চিম মেদিনীপুর

হুগলি

উত্তর চব্বিশ পরগনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

হাওড়া

পূর্ব মেদিনীপুর