নিজস্ব প্রতিনিধি: ইডি (ED) ও সিবিআই (CBI) দফতরে হাজিরা দিয়েছিলেন অনুব্রত মণ্ডল ঘনিষ্ঠ ২ জন। পেশায় দু’জনেই ব্যবসায়ী ও স্থানীয় নেতা। বৃহস্পতিবার উপস্থিত হয়েছিলেন রাজীব ভট্টাচার্য এবং কেরিম খান। তবে এদিন কেরিম খানকে অনেকটাই আত্মবিশ্বাসী দেখায়।
দিল্লির ইডি দফতরে হাজিরা দিয়েছেন রাজীব ভট্টাচার্য। অন্যদিকে, সিবিআইয়ের ডাকে নিজাম প্যালেসে হাজিরা দিয়েছেন কেরিম খান। জানা গিয়েছে, গরু পাচার মামলার তদন্তের জন্যই জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে রাজীব ভট্টাচার্যকে। বোলপুরের আমোদপুরের বাসিন্দা রাজীব। উল্লেখ্য, তাঁকে আগে সিবিআই জেরা করেছিল। প্রশ্ন করা হয়েছিল, কেন নিউটাউনের বেসরকারি হাসপাতালে ৬৬ লক্ষ টাকা দিয়েছিলেন এই চালকল ব্যবসায়ী। উল্লেখ্য, ওই হাসপাতালে তখন ভর্তি ছিলেন অনুব্রত মণ্ডলের স্ত্রী। ব্যবসায়ী জানিয়েছিলেন, চিকিৎসার জন্য ওই টাকা তিনি দিয়েছিলেন। তা ভুল নয় বলেও দাবি করেন তিনি।
অন্যদিকে, গরুপাচার মামলার তদন্তেই জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে কেরিম খানকে। তবে এদিন তাঁকে দেখা গেল আত্মবিশ্বাসী মেজাজে। তাঁর সাফ জবাব, আর্থিক দুর্নীতির কোনও প্রশ্নই ওঠে না। তিনি এও বলেন, তদন্তে সবরকম সহযোগিতা করবেন। বলেন, ওরা (কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা) যা বলছে তা প্রমাণ করে দেখাক আগে। প্রসঙ্গত, এদিন তিনি সিবিআই দফতরে হাজিরা দিয়েছিলেন আয় ও ব্যয়ের হিসেব নিয়ে।
উল্লেখ্য, এদিন দিল্লিতে ইডি দফতরে হাজিরা দিয়েছেন অনুব্রত মণ্ডলের কন্যা সুকন্যা মণ্ডল। জানা গিয়েছে, তাঁকে কেষ্টর দেহরক্ষী সায়গল হোসেনের সঙ্গে বসিয়ে মুখোমুখি জেরা করা হচ্ছে। তলব করা হয়েছে অনুব্রত মণ্ডলের সিএ মনীশ কোঠারিকেও।
আরও পড়ুন: ২০১৪ ও ২০১৭ সালের টেট অনুত্তীর্ণরা অংশ নিতে পারবেন নিয়োগ প্রক্রিয়ায়