নিজস্ব প্রতিনিধি: বৃহস্পতিবার অনুব্রত মণ্ডলকে (ANUBRATA MONDAL) হাজিরা দিতে বলেছে সিবিআই (CBI)। আর বুধবারেই কলকাতার উদ্দেশ্যে রওনা দিলেন কেষ্ট। এদিন বিকেলে বীরভূম থেকে কলকাতার উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছেন তিনি। বৃহস্পতিবার সকাল ১১ টার সময় সিবিআই তলব করেছে অনুব্রত মণ্ডলকে। হাজিরা দিতে বলা হয়েছে সল্টলেকের সিজিও কমপ্লেক্সে।
ভোট পরবর্তী হিংসা মামলায় তলব করা হয়েছিল অনুব্রত মণ্ডলকে। রওনা দেওয়ার সময় সাংবাদিকদের তিনি জানিয়েছেন, তাঁর শরীর অসুস্থ। শুক্রবার ডাক্তার (DOCTOR) দেখানোর কথা। সিবিআই হাজিরা প্রসঙ্গে কিছু বলেননি তিনি। উল্লেখ্য, এড় আগেও কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা তলব করেছিল অনুব্রত মণ্ডলকে। তবে তিনি জানিয়েছেন, শারীরিক অসুস্থতার কারণে হাজিরা দিতে পারছেন না। ১৫ দিন সময় চেয়েছেন তিনি। বলেছেন, চিকিৎসকরা তাঁকে ১৫ দিন বিশ্রাম নিতে বলেছেন। তবে সিবিআইকে অনুব্রত মণ্ডল জানিয়েছেন, কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা চাইলে তাঁকে বাড়িতে এসে জেরা করতে পারেন।
১৯ মে সিবিআই দফতরে হাজিরা দিয়েছিলেন অনুব্রত মণ্ডল। গরু পাচার মামলায় হাজিরা দিয়েছিলেন তিনি। জানিয়েছিলেন সকাল সাড়ে ১০ টায় হাজিরা দেবেন তিনি। তবে তার ১ ঘণ্টা আগেই হাজিরা দিয়েছিলেন নিজাম প্যালেসে। সম্প্রতি কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা আয়কর দফতরের কাছ থেকে রাজ্যের তৃণমূলের বীরভূম জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের আয়কর জমা দেওয়ার নথি চেয়ে পাঠিয়েছিল। সেই বার দুপুর ১টার সময় সল্টলেকের সিজিও কমপ্লেক্সে সিবিআই দফতরে হাজির হতে বলা হয়েছিল অনুব্রত মণ্ডলকে। তাঁকে ‘ভোট পরবর্তী হিংসা’ মামলায় তলব করেছিল সিবিআই। তবে সেদিন শারীরিক অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে সিবিআই দফতরে হাজিরা দেননি অনুব্রত মণ্ডল। এর পর আবারও তাঁকে গরু পাচার মামলায় তলব করেছিল সিবিআই। এদিনও শারীরিক অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে হাজিরা এড়িয়ে যান এই দাপুটে নেতা।
সম্প্রতি অনুব্রত মণ্ডলের আয় ব্যয়ের হিসাব নিয়ে সিবিআই দফতর নিজাম প্যালেসে পৌঁছেছিলেন তাঁর আইনজীবী। সম্পত্তির তথ্য, ব্যাঙ্ক স্টেটমেন্ট সিবিআই আধিকারিকদের কাছে জমা দেন তিনি। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকরা অনুব্রত মণ্ডলের আয় সংক্রান্ত নথি চেয়ে পাঠিয়েছিলেন। ওইদিন অনুব্রত মণ্ডলের ৫ বছরের আয়কর রিটার্নের তথ্য জমা দেন তাঁর আইনজীবী। গরু পাচার মামলার তদন্তে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা তলব করেছিল অনুব্রত মণ্ডলকে। সিবিআইয়ের দফতর নিজাম প্যালেসে হাজিরা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল অনুব্রত মণ্ডলকে। অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে এদিন তিনি হাজিরা দিতে পৌঁছননি সিবিআই দফতর নিজাম প্যালেসে।
প্রসঙ্গত, গত ২৬ এপ্রিল বীরভূমের তৃণমুল জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের দেহরক্ষী সেহগল হোসেনের গাড়ি দুর্ঘটনার কবলে পড়ে। সেই ঘটনায় মৃত্যু হয় সেহগল হোসেনের মেয়ের। ওই দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় অন্য এক দেহরক্ষীরও। ওই দুর্ঘটনা এবং আরও বেশকিছু বিষয় খতিয়ে দেখতে সেহগলের বাড়িতে গিয়েছিলেন সিবিআই আধিকারিকরা। বুধবার মুর্শিদাবাদ জেলার ডোমকল থানার একবালনগর গ্রামের বাসিন্দা সেহগলের বাড়িতে গিয়েছিলেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকরা।