নিজস্ব প্রতিনিধি: শনিবার রাতে ইচ্ছাপুরে নিজের বাড়ির কাছেই খুন হন তৃণমূল নেতা গোপাল মজুমদার। অভিযোগ ওঠে ব্যারাকপুরের সাংসদ অর্জুন সিং-এর ঘনিষ্ঠ বিজয় মুখার্জী এই কাজ করেছেন। কিছুদিন আগেই দু’জনের মধ্যে বচসা হয়। তারপরেই ইচ্ছাপুরের তৃণমূল নেতাকে শনিবার রাতেই প্রথমে গুলি তারপর ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে খুন করে কিছু দুষ্কৃতি। এই ঘটনায় তৃণমূলের তরফে কাঠগড়ায় তোলা হয় অর্জুন সিংকে। আর সেই অর্জুনকে পাশে বসিয়েই রবিবার মহাত্মা গান্ধির প্রয়াণ দিবস পালন করলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। এদিন গান্ধিঘাটে রাজ্যপালের পাশেই বসেছিলেন অর্জুন সিং। যদিও সেই অনুষ্ঠানে গিয়েও মঞ্চে ওঠেননি রাজ্যের বনমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক।
পরে রাজ্যপাল মঞ্চে না ওঠার কারণ জানতে চাইলে বনমন্ত্রী স্পষ্ট জানিয়ে দেন, ‘রাজ্যের একজন পেশাদার খুনিকে রাজ্যপাল আমন্ত্রণ জানিয়েছেন। আর সেই কারণেই আমি প্রতিবাদ জানিয়ে মঞ্চে উঠিনি। আমার সৌজন্য আছে। যখন রাজ্য সরকারের তরফ থেকে আমাকে পাঠানো হয়েছে, তাই আমি নিচে বসে ছিলাম। কিন্তু আমি মঞ্চে উঠিনি কারণ একজন পেশাদার খুনি ওঁনার পাশে বসে ছিলেন।’ শনিবার রাতেই দুষ্কৃতিদের হাতে খুন হল তৃণমূল নেতা গোপাল মজুমদার। তাঁর স্ত্রী উত্তর ব্যারাকপুরের পুরসভার তিন নম্বর ওয়ার্ডের কো-অর্ডিনেটর শিপ্রা মজুমদার। সেই খুনের ঘটনায় ব্যারাকপুরের সাংসদের বিরুদ্ধেই তোপ দেগেছেন নৈহাটির বিধায়ক পার্থ ভৌমিক।
খুনের তদন্তে নেমে অভিযুক্ত বিজয় মুখার্জীকে গ্রেফতার করেছে ব্যারাকপুর পুলিশ কমিশনারেট।