এই মুহূর্তে

WEB Ad Valentine 3

WEB Ad_Valentine

মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণা মতো শান্তিনিকেতনের আন্দোলন শুরু তৃণমূলের

Courtesy - Facebook and Google

নিজস্ব প্রতিনিধি: কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে(Kabiguru Rabindranath Tagore) অবমাননার অভিযোগ। আর তাই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের(Mamata Banerjee) নির্দেশে বীরভূমের(Birbhum) শান্তিনিকেতনের(Shantiniketan) কবিগুরু হস্তশিল্প কেন্দ্রের সামনে আন্দোলন শুরু করল তৃণমূল(TMC)। মন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিনহার নেতৃত্বে এই আন্দোলন শুরু হয়েছে। পুজোর কিছু দিন আগেই UNESCO’র তরফ থেকে শান্তিনিকেতনকে World Heritage Site’র তকমা দেওয়া হয়। সেই স্বীকৃতির পর, বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের(Viswa Bharati University) উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর নির্দেশে শান্তিনিকেতনের ক্যাম্পাসে ৩টি ফলক বসায় কর্তৃপক্ষ। কিন্তু সেখানে প্রধানমন্ত্রী(Narendra Modi) ও উপাচার্যের নাম থাকলেও রবীন্দ্রনাথের নাম ব্রাত্য রাখা হয়। এই ঘটনায় উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর বিরুদ্ধে সমালোচনার ঝড় উঠে। গতকাল, বৃহস্পতিবার সাংবাদিক সম্মেলনে মুখ্যমন্ত্রী সাফ জানিয়ে দিয়েছিলেন, শুক্রবার সকাল ১০টার মধ্যে ওই ফলক না সরানো হলে আন্দোলন শুরু হবে। বিশ্বভারতী সেই বিষয়টিকে উপেক্ষা করায় রবীন্দ্রনাথের ছবি বুকে রেখে এদিন আন্দোলন শুরু করে দিল তৃণমূল।

বৃহস্পতিবার সাংবাদিক বৈঠক থেকে মুখ্যমন্ত্রী হুঁশিয়ারি দিয়ে জানিয়ে দেন, ‘বিশ্বভারতী ইউনেস্কোর স্বীকৃতি পেয়েছে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জন্য। তিনিই প্রতিষ্ঠাতা। ওঁর নাম সরিয়ে দিয়েছে! পুজো বলে আমরা এটা চুপচাপ হজম করেছি। কাল সকালের মধ্যে ওই ফলক না সরালে এবং রবি ঠাকুরের নাম ফিরিয়ে না আনলে ওখানে আমাদের লোক রবীন্দ্রনাথের ছবি বুকে নিয়ে আন্দোলন শুরু করবে।’ বস্তুত মমতার হুঁশিয়ারির আগেই অবশ্য বিশ্বভারতীর ফলক-বিতর্কে কোমর বেঁধে নেমেছিল তৃণমূল। বৃহস্পতিবার বেলা ১২টা ৪৮ মিনিটে তৃণমূলের তরফে ট্যুইটারে এই নিয়ে একটি পোস্ট করা হয়। সেই পোস্টে বাংলার শাসকদল প্রশ্ন তোলে, ‘মোদিজি কি নিজেকে রবীন্দ্রনাথের চেয়েও বড় বলে মনে করছেন? বিশ্বভারতীর ফলক থেকে রবি ঠাকুরের নাম বাদ দেওয়া, মোদি এবং বিদ্যুতের নামকে প্রাধান্য দেওয়া, শুধু রবীন্দ্রনাথ নয়, প্রত্যেক ভারতীয়ের অপমান। এই প্রবণতা আসলে ইতিহাসের প্রতি অবিচার।’

বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়কে বিশ্ব ঐতিহ্যক্ষেত্র ঘোষণার পর গত ১৯ অক্টোবর এই স্বীকৃতির একটি ফলক বসানো হয় বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গণে। বিশ্বভারতীর তরফে উপাসনা গৃহ, ছাতিমতলা এবং রবীন্দ্রভবনের উত্তরায়ণের সামনে শ্বেতপাথরের যে ফলক বসানো হয়েছে। তাতে বিশ্বভারতীর আচার্য হিসাবে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং বিশ্বভারতীর উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর নাম রয়েছে। কিন্তু নাম নেই বিশ্বভারতীর প্রতিষ্ঠাতা রবীন্দ্রনাথের। আর সেখান থেকেই বিতর্কের সূত্রপাত। বিশ্বভারতীর আশ্রমিক থেকে শুরু করে প্রাক্তনী এবং শিক্ষকদের একাংশ এই ফলক দেখে ক্ষোভ উগরে দিয়েছিলেন। অনেকের দাবি, এমন ঘটনা বিশ্বভারতীতে বেনজির। কারণ, সেখানকার প্রথা অনুযায়ী কোনও উদ্বোধনী ফলক বা স্বীকৃতি ফলকে সাধারণত কারও নাম উল্লেখ করা হয় না।

ইউনেস্কোর স্বীকৃতি-ফলক বিতর্কে পিছু হঠেছে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়। চাপের মুখে কর্তৃপক্ষের দাবি, ওই ফলক অস্থায়ী ভাবে বসানো হয়েছে। ভবিষ্যতে তা সরিয়ে দেওয়া হবে। যদিও কবে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নামহীন ফলক সরানো হবে, কবে তাঁর নামাঙ্কিত ফলক ফিরিয়ে আনা হবে, সে বিষয়ে কোনও স্পষ্ট ইঙ্গিত মেলেনি। বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ আনুষ্ঠানিক ভাবেও এ বিষয়ে মুখ খুলতে চাননি। তার মধ্যেই মুখ্যমন্ত্রীর কথা মতো বিশ্বভারতীর ফলকে কবিগুরুর নাম ফিরিয়ে আনার দাবিতে আন্দোলনের পথে নেমে পড়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। এদিন সকাল থেকেই বিশ্বভারতী চত্বরে ধর্নামঞ্চ তৈরির কাজ শুরু করে দেয় জোড়াফুল শিবির। ঘড়ির কাঁটা ধরে সকাল ১০টা পার হতেই সেই ধর্না মঞ্চে বসে পড়ে আন্দোলন শুরু করে দিয়েছে তৃণমূল।  

Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

কালবৈশাখীর তাণ্ডবে রাজ্যজুড়ে সাতজনের প্রাণহানি

সোমবার সন্ধ্যায় ঝমঝমিয়ে প্রথম কাল বৈশাখীর বৃষ্টি কলকাতা শহরে

শুভেন্দুর বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের অভিযোগ, সন্দেশখালিতে মিছিল তৃণমূলের

তীব্র দাবদহে নদীয়ার এঁচোড় দেদার রপ্তানি হচ্ছে ভিন রাজ্যে

মালদা ও মুর্শিদাবাদের নির্বাচনে বুথগুলিকে ঘিরে কড়া নজরদারি কমিশনের

সেলিম কাঁটা উপড়ে ফেলে মুর্শিদাবাদ ধরে রাখতে বদ্ধপরিকর তৃণমূল

Advertisement
এক ঝলকে
Advertisement

জেলা ভিত্তিক সংবাদ

দার্জিলিং

কালিম্পং

জলপাইগুড়ি

আলিপুরদুয়ার

কোচবিহার

উত্তর দিনাজপুর

দক্ষিণ দিনাজপুর

মালদা

মুর্শিদাবাদ

নদিয়া

পূর্ব বর্ধমান

বীরভূম

পশ্চিম বর্ধমান

বাঁকুড়া

পুরুলিয়া

ঝাড়গ্রাম

পশ্চিম মেদিনীপুর

হুগলি

উত্তর চব্বিশ পরগনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

হাওড়া

পূর্ব মেদিনীপুর