নিজস্ব প্রতিনিধি: আবাস যোজনার (AWAS YOJANA) জন্য বকেয়া টাকা রাজ্যকে দিয়েছে কেন্দ্র। এই টাকায় রাজ্যের গ্রামাঞ্চলে ১১ লক্ষ ৩৬ হাজার ৪৮৮টি বাড়ি হবে। রাজ্যের ‘আবাস প্লাস’ তথ্য ভাণ্ডারে জমা পড়েছে ৪৯ লক্ষ ২২ হাজার আবেদনকারীর নাম। এই তালিকা থেকেই অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে হবে বাড়ি। যোগ্য প্রাপক কারা, তা ঠিক করতে ১৫ দফা গাইডলাইন দিয়েছে নবান্ন (NABANNA)।
বলা হয়েছে, পাকা বাড়ি থাকলে বা প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা, ইন্দিরা আবাস যোজনা অথবা গীতাঞ্জলী- এই ধরণের সরকারি আবাস প্রকল্পের সুবিধা আগে পেয়ে থাকলে আর ‘আবাস যোজনা’র সুবিধা মিলবে না। খতিয়ে দেখা হবে এই প্রকল্প পাওয়ার জন্য আবেদনকারীর যুক্তি সত্যিই গ্রাহ্য কি না। নির্দেশ, যাচাই করতে হবে একশো দিনের গ্রামীণ কর্মসংস্থান প্রকল্পে থাকা জব কার্ড। কড়া নির্দেশ, ভুয়ো তথ্য জানা গেলেই ব্লক করা হবে জব কার্ড।
গাইডলাইনে উল্লেখ রয়েছে, আবেদনকারীর পরিবারের কেউ মাসিক ১০ হাজার টাকার বেশি উপার্জন করলে এই সুবিধা মিলবে না। সুবিধা মিলবে না সরকারি চাকরি করলেও। নাম থাকবে না আবেদনকারী বা তাঁর পরিবারের কেউ আয়কর বা বৃত্তিকর দিলেও। শুধু তাই নয়, ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত ঋণ নেওয়ার অধিকারী কিষাণ ক্রেডিট কার্ড, চাষের জন্য যান্ত্রিক সরঞ্জাম, যন্ত্রচালিত নৌকা বা গাড়ি থাকলেও পাওয়া যাবে না এই সুবিধা।
তথ্য খতিয়ে দেখার কাজ করবেন গ্রামীণ পুলিশ, আশাকর্মী, প্রাণি বন্ধু, অঙ্গনওয়াড়ি কর্মী এবং গ্রাম পঞ্চয়েতের কর্মীদের নিয়ে গঠিত দল। জানা গিয়েছে, ১০ শতাংশ তথ্য বিডিও অফিস, ৩ শতাংশ মহকুমা শাসক অফিস থেকে যাচাই হবে ও ২ শতাংশ তথ্য যাচাই করবেন জেলাশাসক। বিডিও অফিসের সঙ্গে আলোচনা করে তথ্য যাচাই করবে ওসি এবং আইসি। অভিযোগ এলে এলাকায় গিয়ে তা তদন্ত করবেন বিভিন্ন দফতরের দায়িত্বপ্রাপ্ত আধিকারিকরা। কোনও আবেদন বাতিল হলে নতুন নামের অনুমোদন হবে গ্রামসভার উপস্থিতিতে।