এই মুহূর্তে

নৈহাটির বড়মার মন্দিরের সামনে থেকে বরিশালের দুই শিশুসহ এক মহিলাকে আটক করল পুলিশ

নিজস্ব প্রতিনিধি, নৈহাটি ও কৃষ্ণগঞ্জ: নিশুতি রাত। বুধবার উত্তর চব্বিশ পরগণা জেলার নৈহাটির বড়মার মন্দিরের কাছে একজন মহিলা দুটি ছোট শিশুকে নিয়ে ঠান্ডার মধ্যে বসে কাঁপছিলেন। গঙ্গার হাওয়ায় জবু থুবু অবস্থা শিশু দুটির। নৈহাটির বড়মা মন্দির কমিটির সদস্যরা বিষয়টি দেখতে পান। ওই মহিলাকে গিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করলে জানতে পারেন তিনি সেখানে মৌলবাদীদের নির্যাতনের হাত থেকে বাঁচতে নিজের দুধের দুটি সন্তানকে নিয়ে প্রাণভয়ে চোরা পথে ভারতে পালিয়ে এসেছেন। রাতেই বড়মা মন্দির কমিটির পক্ষ থেকে ওই মহিলা এবং সন্তান দুটিকে শীতবস্ত্র প্রদান করা হয়। তাদের রাতের খাবারের ব্যবস্থা করা হয়। এরপর খবর দেওয়া হয় স্থানীয় নৈহাটি থানায়(Naihati P.S.)।

পুলিশ এসে তাদের থানায় নিয়ে যায়। জেরায় জানতে পারে পুলিশ ওই মহিলার নাম শোভা মল্লিক। বাড়ি বাংলাদেশের বরিশালে(Barishal)। প্রাণভয়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে নিজের কোলের দুটি সন্তানকে বুকে আঁকড়ে পালিয়ে এসেছেন ভারতে। সেখানে মোল্লা ইউনূস সরকারের মদত পুষ্ট মৌলবাদীরা প্রতিনিয়ত হিন্দুদের উপর অত্যাচার চালাচ্ছে। তাই প্রাণ বাঁচাতে পালিয়ে এসেছেন এ রাজ্যে। বিনা পাসপোর্টে ভারতে প্রবেশ করার অপরাধে বাংলাদেশী ওই মহিলাকে গ্রেফতার করে নৈহাটি থানার পুলিশ। নৈহাটির বড় মা মন্দির সংলগ্ন অরবিন্দ রোড এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এই মহিলার সঙ্গে তার দুই সন্তান রয়েছে এক ছেলে ও এক মেয়ে রয়েছে।14 ফরেন এ্যাক্ট মামলা রুজু করে তাদেরকে বৃহস্পতিবার ব্যারাকপুর আদালতে পেশ করে নৈহাটি থানার পুলিশ।

পুলিশ সুত্রে জানা গিয়েছে, ঐ মহিলা বাংলাদেশের বরিশালের বাসিন্দা।নাম শোভা মল্লিক। নৈহাটি থানার পক্ষ থেকে ওই মহিলা এবং তার দুই সন্তানকে খাবারের ব্যবস্থা করা হয়। অন্যদিকে,নদিয়ার কৃষ্ণগঞ্জে ফের গ্রেফতার বাংলাদেশী মহিলা।বৃহস্পতিবার সকালে নদিয়ার কৃষ্ণগঞ্জ থানার (Krishnaganj P.S.)পুলিশ পরভিন বেগম (৩২) বছর বয়সী নামে এক বাংলাদেশি মহিলাকে গ্রেফতার করে।ওই বাংলাদেশী মহিলা মুম্বাইতে কবরখানা এলাকায় পরিচারিকার কাজ করত বলে জানায়। সেখানে পুলিশের ধর পাকড় হচ্ছে। আর সেই ভয়ে পালিয়ে এসেছে।পুলিশ ওই মহিলার কাছ থেকে ৩টি মোবাইল,দুটো নতুন ঘড়ি ,একটি ক্যামেরা একটি আধার কার্ড,একটি প্যান কার্ড , ও কিছু ভারতীয় টাকা উদ্ধার করে। গত ৮ মাস আগে উত্তর ২৪ পরগনার বনগাঁ সীমান্ত দিয়ে অবৈধ ভাবে ভরতে আসে সে। আটক হওয়া মহিলার

মূল উদ্দেশ্য ছিল কোনো অসৎ উপায়ে রোজগার করে বাংলাদেশে ফেরত যাওয়া। কিন্তু তার আগেই কৃষ্ণগঞ্জ থানার পুলিশের হাতে ধরা পড়ে যায় সে। তার বাড়ি বাংলাদেশের নড়াইল জেলার ,কালিয়া থানার কেরলিয়া গ্রামে । প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের পর তার বৈধ কাগজপত্র না থাকায় তাকে গ্রেফতার করে কৃষ্ণগঞ্জ থানার পুলিশ । বৃহস্পতিবার তাকে কৃষ্ণনগর জেলা আদালতে(Krishnagar Court) পাঠায়। জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়,তারা মোট ৭ জন ছিল। বাকিরা পালিয়ে গেলেও ধৃত মহিলা পুলিশের হাতে ধরা পড়ে যায়। ইতিমধ্যেই সীমান্ত লাগোয়া এলাকায় বাকিদের খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে পুলিশ। তবে পুলিশ সূত্রে খবর, সম্ভবত গেদে সীমান্ত দিয়ে অসৎ উপায়ে বাংলাদেশে যাওয়াই তাদের একমাত্র উদ্দেশ্য ছিল।

Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

নির্জন শ্মশানে আয়োজন হয় ১৫ রকমের ভূতের পুজোর, আঁধার নামলেই শুনশান এলাকা

কালিয়াচকে ৭২ ঘন্টার মধ্যে তৃণমূল কর্মী খুনে মূল অভিযুক্ত গ্রেফতার

‘ধর্ষকদের সমাজে কোনও জায়গা নেই’, গুড়াপ কাণ্ডে চরম সাজার পর প্রতিক্রিয়া মমতার

জন্মদিনে মিলল ন্যায়বিচার ! গুড়াপে শিশু ধর্ষণ-খুন মামলায় দোষীর ফাঁসির সাজা

পাচার চক্রের পর্দা ফাঁস ! উদ্ধার ১১টি হরিণের শিং ও প্যাঙ্গোলিনের আঁশ

কাঁকড়া ধরতে যাওয়াই কাল, বাঘের হামলায় বেঘোরে প্রাণ গেল মৎস্যজীবীর

Advertisement
এক ঝলকে
Advertisement

জেলা ভিত্তিক সংবাদ

দার্জিলিং

কালিম্পং

জলপাইগুড়ি

আলিপুরদুয়ার

কোচবিহার

উত্তর দিনাজপুর

দক্ষিণ দিনাজপুর

মালদা

মুর্শিদাবাদ

নদিয়া

পূর্ব বর্ধমান

বীরভূম

পশ্চিম বর্ধমান

বাঁকুড়া

পুরুলিয়া

ঝাড়গ্রাম

পশ্চিম মেদিনীপুর

হুগলি

উত্তর চব্বিশ পরগনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

হাওড়া

পূর্ব মেদিনীপুর